যে-অনিশ্চয়তা, যে-অন্ধকারচ্ছন্নতা, যে-সংশয় কবিকে ডোরবেল বাজাকে উপেক্ষা করতে বলেছে তা একটা অবরুদ্ধ সময়েরই বিমূঢ় প্রবাহ। আর এই অবরুদ্ধ সময়টি ‘করোনাকাল’। যে সময় লকডাউনে গৃহবন্দী জীবনে মৃত্যুর অপেক্ষাই করছিলেন সমস্ত মানুষ। কিংবা হয়তো জীবনের অপেক্ষাও। তাই নতুন সকালের এবং জীবন উদযাপনের আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠেছিল।
-
-
হোসনে আরা কামালীর কবিতা কখনও যেন শূন্যে আলো ফেলার মতো—নিঃশব্দ অথচ দীপ্তিমান। তিনি নির্মাণ করেন এক গভীর সংবেদনশীল প্রতীকময় কবিতাভুবন।... নিকট থাকো বৃক্ষ এক আত্মগভীর যাত্রাপথের পথিকসঙ্গী। জীবনের পরতে-পরতে জমাটবাঁধা স্মৃতি-বিস্মৃতি, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিরহ কামালীর কবিতায় ফুটে ওঠে শরত-প্রভাতে শাপলাবিলের মতোই। একজন সমাজচিন্তকের ভাবনারাশিও তাঁর কবিতা-অক্ষরে জ্বলজ্বল করে। পাঠক-হৃদয়ে তারা বুনে দেয় নিকটতার বৃক্ষ। এই বৃক্ষ ছায়া দেয়, বাতাস দেয়, কখনও-বা কাঁপে নিঃশব্দ।
-
ললিতা নামে কত গান আমরা মা-খুড়ির মুখে শুনি। কিন্তু কে সেই ললিতা কে জানে! এমনও হইতে পারে, গাঁও-গেরাম যে-মহিলারা গোপনে গান লেখে তারাই ললিতা! … অবাক হওয়ার কিছু নাই। গান লিখলে সাধনা লাগে, লেখাপড়া লাগে। তাই আগে গাঁয়ের সাধারণ মহিলারা গান লেখলেও লজ্জায় প্রকাশ করছেন না। শুনছি তারা নানাজনের নামে গান চালাইয়া দিছে। কি আর করবে বলো? গান তো গাইতে হইবো। নিত্য-নতুন এত গান পাইতো কই? না লিখে উপায় আছে!
-
ধামাইল গানে ভণিতায় গীতিকারের নিয়ম ভাঙার প্রচলন শুরু থেকেই। তবে সেটা কারো গান দখল করে বা গীতিকারকে আড়াল করে নিজের জন্য নয়। ধামাইল গায়ক কখনো স্বেচ্ছায় নিজের নাম ভণিতায় জুড়ে দেন না। বরং ভালোবেসে নিজের লেখা গান অন্য ভণিতায় উৎসর্গ করেন। গীতিকার নিজের পরিচয় গোপন করে সকলের জন্য গান উৎসর্গ করেন, এমন নজির ধামাইল গানে ভাটি গাঁয়ের বধূসমাজে অনেক। তাই পছন্দের গানে পছন্দের গীতিকার এর পরিচয় খুঁজে না পাওয়ার বেদনাও আছে অনেক।
-
জল সেতো অনন্তেই গেছে পাশে কেউ নেই চিরদিন দেখা নেই চিরদিন দূরে দূরে চিরদিন সন্ন্যাস