আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

আসছে শ্রাবণে তাঁরা আরও অদম্য হয়ে উঠবেন

Reading time 6 minute
5
(60)

শ্রাবণ মাসটা লম্বা সময় ধরে রবীন্দ্রনাথের একলার ছিল। বাইশে শ্রাবণ দেহ রাখেন রবি। প্রতি বছর পঁচিশে বৈশাখের মতো বাইশে শ্রাবণ আসে বাংলায়। রবি কবির জন্মবার ও মরণবারকে স্মরণ করেন দুই বাংলার কবি-লেখক ও সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ। সমাজমাধ্যমে পোস্ট দেন। রবিস্মরণের গতানুগতিক প্রথাটি এবার মাত্রার দিক থেকে অনেক বেশি তীব্র ছিল।

ভারত ভেঙে জন্ম নেওয়া পাকিস্তানে রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেন প্রবল প্রতিপক্ষ। তাঁকে দাবিয়ে রাখার কত চেষ্টাই না রাষ্ট্র করেছে তখন! শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। উলটো আরো প্রবল হলেন রবীন্দ্রনাথ। এতটাই প্রবল,—ছায়ানট জন্ম দিয়ে বসলেন সন্‌জীদা খাতুনরা। একাত্তরেও রবিকিরণ ঝরেছে অবিরল।

বাংলাদেশ জন্ম নিলো। জাতীয় সংগীত হয়ে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশকে জুড়লেন কবি;—নিজের করে নিলেন। চেষ্টা পুনরায় শুরু হলো তাঁকে দাবিয়ে দমিয়ে পিষে মারার। ছ-ফুটি ঠাকুর তথাপি সটান। দুইহাজার চব্বিশে এসে মনে হচ্ছিল তাঁকে অনেকটা পর্যদুস্ত করা গেল বুঝি! মোল্লার দল রবির নামনিশানা মুছে দিতে সবসময় তৎপর ছিল। চব্বিশে তা সকল মাত্রা অতিক্রম করেছিল বৈকি।

অন্যদিকে, মোল্লাদের লাই দিয়ে মাথায় তোলা ফরহাদ-সলিমুল্লাহ-আজম-এবাদ গংরা চেয়েছে রবীন্দ্রনাথের ভার্সন টু বাংলাদেশে জন্ম দিতে। ভার্সন ওয়ান-এ থাকছেন কলকাত্তাইয়া রবীন্দ্রনাথ; ভারতনিষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ; এবং তাদের ভাষায় হিন্দু জাতীয়তাবাদের পৃষ্ঠপোষক রবীন্দ্রনাথ। বাংলাদেশ টু-র মতো রবীন্দ্র টু-র যুগান্তকারী প্রস্তাব কাজেই পেশ হলো বাংলায়! এই রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশী গজফিতার মাপে তৈরি। গ্যাড়াকলে পরে রবি বেচারা আবারো প্রান্তিক! মনে হচ্ছিল মরণ বুঝি ঘনাইছে কবির!

Rabindranath Tagore; Image Source – Google Image

মরণ যে হচ্ছে না তা বোঝা গেল ১৪৩২ বঙ্গাব্দের বাইশে শ্রাবণ উদযাপনের ঘটা দেখে। সমাজমাধ্যম, বিশেষ করে ওপারবাংলা থেকে রবিরশ্মিকে নিয়ে এতো-এতো পোস্ট ও রিলসের বন্যা অন্য বছরগুলোয় দেখিনি! বাংলাদেশের কবিলেখকদের বড়ো অংশও নিজ মাপে তাঁকে ইয়াদ করলেন অধিক।

রবিবিরোধীরা অবশ্য লাগাতার গালিগালাজে সক্রিয় থেকেছে। তাতে করে এই শ্রাবণে কবি যথারীতি প্রাসঙ্গিক থাকলেন। বুঝিয়ে দিলেন,—মনের আশ মিটিয়ে গালিগালাজ করতে গেলেও তিনিই ভরসা। গালির উত্তরে বরং অনেকে জিদ থেকে তাঁকে স্মরণ করলেন বেশি-বেশি করে। রবিস্মরণ থামবে না বোঝা গেল।

প্রতিবছর নিয়ম করে রবি-নজরুলের জন্মবার ও মরণবার স্মরণ এখন আর আনুষ্ঠানিকতায় দাঁড়িয়ে নেই। বাঙালি মধ্যবিত্তের সংস্কৃতিমনস্ক অংশে এটি অভ্যাসে রূপ নিয়েছে। এই স্মরণ বিহনে অনেকের তাই অস্বস্তি হয়। শূন্য লাগে সবকিছু। শূন্যতা পূরণের প্রয়োজন পুরা করতে রবিস্মরণ কাজেই চলতে থাকবে। না চলে উপায় নেই অভাগা দীন জাতির। এতো বড়ো ঘটনা বেশি নেই তো তাদের জীবনে!

রবীন্দ্রনাথ এতটাই বিরাট, যে-কেউ তাঁকে নিজের মতো ইয়াদ করতে পারে প্রতি বছর। বুকের খাঁচায় তাঁকে লালন ও পরিপোষণ ব্যাপার নয় সেখানে। রবিজীবনের বৈচিত্র্য ও ব্যাপ্তি সুযোগটি বাঙালিকে করে দিয়েছে। কবিতার রবি। গানের রবি। গল্প-উপন্যাস ও গীতিনাট্যের রবি। গদ্য আর একগাদা পত্রসাহিত্যের রবি। চিত্রকলার রবি। বিশ্বভ্রমী রবি। রাষ্ট্রচিন্তায় রবি। নারীজীবনে রবি। ধর্মচিন্তাক রবি… তালিকা টানতে বসলে হয়রান হতে হবে! আলোচনা-সমালোচনায় তাঁকে স্মরণে রাখতে বাঙালি কাজেই বাধ্য। রবিকে নিয়ে সময় প্রাসঙ্গিক তর্ক-বিতর্ক ও অন্বেষণে যদিও তারা এখন পর্যন্ত যৎসামান্য কামিয়াবি দেখাতে পেরেছেন!

সমস্যা রবির নয়;—হতদরিদ্র বাঙালির। ওপারবাংলায় মধ্যবিত্ত সমাজ তাঁকে ঠাকুর-দেবতা বানিয়ে ছিবড়ে করছে অবিরাম। বাংলাদেশের শিক্ষিত পাপীরা উচ্ছেদ নয়তো ভক্তিতে পিষে মারছে তাঁকে। স্বাভাবিক! বাঙালি নোলায় রবিতেজ গুরুপাক;—বদহজমের সমস্যা তাই আজো পিছু ছাড়ছে না। রবিকে হজম করার ঘটনায় অম্লশূল-পিত্তশূলের সমস্যায় জর্জরিত থাকাটা বাঙালির নিয়তি!

Humayun Azad; Image Source – Google Image

সে যাইহোক, শ্রাবণে ফিরি আবার। মাসটিকে রবীন্দ্রনাথ একলার করে রেখেছিলেন। সেখানে ভাগ বসালেন হুমায়ুন আজাদ। মরণবার গুনতে বসে শ্রাবণ মাসকে বেছে নিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রধান কবিতা-র সংকলক। রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রচিন্তাকে হুমায়ুন আজাদ একসময় চাকু দিয়ে ফালা-ফালা করেছিলেন। নারীমুক্তির প্রশ্নেও তাঁকে নিয়েছেন একহাত। আধুনিক বাংলা কবিতা বাছাই করতে বসে রবিকে সংকলনের বাইরে রাখলেন নিজ যুক্তি ও বিবেচনায়।

অভিন্ন সেই আজাদ আবার রবীন্দ্রনাথকে পরীক্ষিত ও যুগ-উত্তীর্ণ প্রতিভা শিরোনামে কুর্নিশ জানানোয় ছিলেন সদা অকপট। তাঁর কবিতা পড়তে বসে নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্বের মানবিক অম্লযানে চোখ ভিজে ওঠার কথা বলতে বাকি রাখেননি। রবীন্দ্রনাথকে নিজের মতো করে এভাবে বুকের খাঁচায় পুষতেন হুমায়ুন আজাদ। তাঁকে তিনি খোঁচাতেন, এবং পরিণামে ভালোবাসতেন অধিক! তিরিশি কবিকুল… বুদ্ধদেব বসুরাও এরকম ছিলেন বটে! এছাড়া রবীন্দ্র হিমালয় পেরিয়ে নিজের ভাষায় কথা বলা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হতো না। তাঁরা যদি নিজ-ভাষা খুঁজে না নিতেন,—বাঙালি আজো রবিছকে লিখত কবিতা ও গান। সকল দশকের সাহিত্য ও শিল্পকলায় যদিও রবিপ্রবাহ নীরব বহমান।

রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে বাঙালিরা কীভাবে দূষিত করেছে, সেটি নিয়ে হুমায়ুন আজাদের নিজস্ব বীক্ষণ আমরা পাঠ করেছি অতীতে। নজরুলের প্রতি আজাদ সেখানে অবিচার করেছেন মারাত্মক। এটি তাঁর সীমাবদ্ধতা গণ্য হবে সবসময়! তবে, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে হুমায়ুন আজাদের করা বিখ্যাত উক্তি (আসলে রচনাংশ) এবার বাইশে শ্রাবণ স্মরণ করতে যেয়ে অনেকে উদ্ধৃত করেছেন। ছায়ানট যেমন সমাজমাধ্যমে রিলস বানিয়ে ছেড়েছেন তা।

বাংলাদেশের এই মহা দুর্যোগে হুমায়ুন আজাদের হাত ধরে রবি অথবা রবির হাত ধরে আজাদ প্রাসঙ্গিক থাকলেন যথারীতি। কারণফেরে তা জরুরিও বটে। সকল প্রকার উগ্রতা, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বাড়াবাড়ি প্রকোপ থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে অনেকে মরিয়া এখন;—তাদের কাছে রবি, নজরুল ও আজাদের প্রয়োজন শেষ হওয়ার নয়। রবিকে নিয়ে হুমায়ুন আজাদের মূল্যায়ন ১৪৩২ বঙ্গাব্দের বাইশে শ্রাবণকে যে-কারণে পৃথক মহিমা দান করেছে। মূল্যায়নটি কমবেশি পঠিত, তবু ফিরতি পাঠে ক্ষতি নেই। হুমায়ুন আজাদ সেখানে বলছেন :

Amar Shonar Bangla – National Anthem – Khiyo Band; Source – KhiyoBand YTC

রবীন্দ্রনাথ—যাঁকে বাতিলের চেষ্টা করে আসছে নষ্টরা পবিত্র পাকিস্তানের কাল থেকে; পেরে ওঠে নি। এমনই প্রতিভা ঐ কবির, তাঁকে বেতার থেকে বাদ দিলে তিনি জাতির হৃদয় জুড়ে বাজেন; তাঁকে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিলে তিনি জাতির হৃদয়ের কাব্যগ্রন্থে মুদ্রিত হয়ে যান, তাঁকে বঙ্গভবন থেকে বাদ দেওয়া হলে তিনি সমগ্র বঙ্গদেশ দখল করেন; তাঁর একটি সঙ্গীত নিষিদ্ধ হলে তিনি জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠেন।

প্রতিক্রিয়াশীল নষ্টরা অনেক লড়াই করেছে তাঁর সাথে, পেরে ওঠে নি; তাঁকে মাটি থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি আকাশ হয়ে ওঠেন; জীবন থেকে তাঁকে নির্বাসিত করা হলে তিনি রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন জাতির স্বপ্নালোকে। নষ্টরা তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে আপ্রাণ। যদিও তিনি জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা, তবুও তিনি জাতীয় কবি নন। তাঁর নামে ঢাকায় একটি রাস্তাও নেই; সংস্থা তো নেই। তাতে কিছু যায় আসে নি তাঁর; দশকে দশকে বহু একনায়ক মিশে যাবে মাটিতে। তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙলায় ও বিশ্বে।

রবি ও আজাদের এই যৌথ বেঁচে থাকা ও ফিরে-ফিরে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠা প্রমাণ করে,—বাংলার মাটিকে চিরতরে আফগানিস্তান বানানোর মিশন সহজ থাকছে না। মিশন সফল হতে সময় লাগবে;—এবং তা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হওয়া বিচিত্র নয়। ভারতকে গজওয়াতুল হিন্দ বানানোর খোয়াবঘন বাসনার মতো বাংলাদেশকেও মুমিন মুসলমান করে তোলার ইমানি দিবাস্বপ্ন আখেরে দুঃস্বপ্নে মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

কথার কথা ধরে নিচ্ছি বাংলাদেশ টু অবশেষে সত্যি হলো, যদি হয়ে যায়,—গেরিলা লড়াই তা-বলে শেষ হওয়ার নয় জনতার সংগ্রাম চলবেই-র মতো রবিকে বুকে পুষে রাখার লড়াই ভিন্ন-ভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে চলতে থাকবে। চোরাগুপ্তা পথে তাঁকে টিকিয়ে রাখার লড়াই খতম নেহি হোগা। বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে ইরানে তা দেখছি আমরা। বাঙালির মনোজগৎ এক্ষেত্রে ইরানিদের চেয়ে ঢের কিম্ভূত ও অনিশ্চিত। বিখ্যাত আবেগপ্রবণ স্বভাব আর অতিমাত্রায় হুজুগে হওয়ার কারণে রবিবিনাশে তৎপর মোল্লাদের পুংটামি অনেকে মেনে নিতে নারাজ থাকবে। মোল্লা বাহিনি ও তাদেরকে লাই দিয়ে মাথায় তোলা ফরহাদ-সলিমুল্লাহ-আজম-এবাদ গংদের ঘুম হারাম করতে তারা তৎপর থাকবে সদা।

Jatin Sarker; Image Source – Google Image

শ্রাবণকে আরো শক্তিশালী করতেই বুঝি রবি ও আজাদের সঙ্গে যোগ দিলেন যতীন সরকার। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের মধ্যে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন তার মরণবীজ। আজীবনের বামপন্থায় বিশ্বাসী যতীন সরকার মতান্ধ ছিলেন না। সুবেদী ও বিবেচক থেকেছেন আগাগোড়া। বাংলাদেশের উত্থান-পতনের রেখাচিত্র তাঁর মতো দরদ দিয়ে কম লোক পর্যবেক্ষণ করেছে। বাম ঘরানার রাজনীতির জটিল দ্বন্দ্ব ও ভবিতব্য বোঝার জন্যও তিনি প্রাসঙ্গিক। বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতির রেখাচিত্র পাঠে তাঁর প্রয়োজন জাতির কাছে অমলিন থাকবে। এসব নিয়ে সকলে কমবেশি বলবেন ধারণা করি। আমার কেবল তাঁর একটি উক্তি এখন মনে পড়ছে। মুন্নী সাহার সঙ্গে আলাপে অনেকটা এভাবে বলেছিলেন কথাগুলো :

ধর্মীয় পরিচয়টাও পরিচয়। এই পরিচয়ের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য আমি অস্বীকার করতে যাবো না, তাহলে নিজের বেড়ে ওঠা ও বিকাশকে অস্বীকার করা হবে। এদিক থেকে আমি সাম্প্রদায়িক, কিন্তু কোনোভাবে সম্প্রদায়-বিদ্বেষী নই।

বাংলাদেশের প্রগতিপন্থী বয়ানে সাম্প্রদায়িক শব্দের যতীন সরকার প্রণীত ব্যাখ্যা অধিক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমার অন্তত চোখে পড়েনি। সাম্প্রদায়িক মানে সংকীর্ণ, অনুদার, রক্ষণশীল ও ধর্মান্ধ নয়। জাতীয় জীবনে ব্যক্তির একাধিক ভূমিকা ও পরিচয় থাকে। সাম্প্রদায়িক তার অন্যতম। এখন একে অতিরিক্তি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা হলে অন্যান্য পরিচয়ের সঙ্গে তার স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। অতএব, সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে লালন-পালনের ঘটনায় বিবেচনা থাকা জরুরি। বাংলাদেশে যদিও বিপরীতচিত্র আমরা অহরহ ঘটতে দেখছি।

সাম্প্রদায়িক পরিচয়টি মানুষকে ধর্মীয় বিশ্বাস প্রসূত সংস্কৃতিজালে কেন্দ্রীভূত রাখে। এই মানুষটি এখন থেকে কোনো একটি কওমের সদস্য। কওমের শর্ত মেনে সে সাম্প্রদায়িক, কিন্তু সম্প্রদায় বিদ্বেষী হওয়ার সুযোগ কওম তাকে সেখানে দিচ্ছে না। ধর্মীয় পরিচয়ের মাহাত্ম্য প্রমাণের স্বার্থে হলেও অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ ও ঘৃণা পোষণের খাসলত তাকে পরিহার করতেই হবে। তা যদি না করে, তাহলে সকলের আগে এই লোকটিকে কাফির রূপে চিনে নেওয়া প্রয়োজন;—এবং তা ধর্মসংগত।

যতীন সরকার এরকম একটি ছকে বামঘরানা ও ধর্মীয় ঘরানায় সুরাহা করে নিয়েছিলেন। প্রতিক্রিয়াশীলরা যে-কারণে তাঁকে বেশি কাবু করতে পারেনি। সামনে কী করবে তা অবশ্য বলা যাচ্ছে না। তবে এ-কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়,—আসছে শ্রাবণ মাসে রবি, আজাদ ও যতীন মিলে আরো বেশি অদম্য হতে চলেছেন। দুঃসময়ে পতিত বাংলাদেশে এই প্রাপ্তি কম কিছু নয়।
. . .

Tabu Mone Rekho – Tagore Own Voice; Source – Powerball Power YTC

. . .


How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 5 / 5. Vote count: 60

No votes so far! Be the first to rate this post.

Contributor@thirdlanespace.com কর্তৃক স্বত্ব সংরক্ষিত

One comment on “আসছে শ্রাবণে তাঁরা আরও অদম্য হয়ে উঠবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *