পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

জিন্দাবাজার

Reading time 6 minute
5
(23)

সম্পাদকের জবানবন্দি : দ্বিতীয় সংখ্যা

Zindabazar, 2nd Issue; Editor – Mohammad Zayed Ali; Image Source – Collected; @thirdlanespace.com

জিন্দাবাজার—শুধু একটি নাম কিংবা বাজার নয়, আমাদের হৃদয়-নিঃসৃত এক শব্দতরঙ্গ। এ এক মানসিক অবস্থা, এক জেগে থাকা শহর, যেখানে লেখকরা বিশ্বাস করেন—যে লেখে, সে এখনও জীবিত। জিন্দাবাজারে ‘আমি’ আর ‘আমরা’ একাকার। আমরা থাকতে চাই শব্দের কাছে; এবং শব্দের কাছে থাকা মানে এখনও বেঁচে থাকা। কিন্তু, দেশের বাস্তব বাজার আজকাল দ্রুত চলে, কেউ কারও কথা শোনে না। আমরা শুনতে চাই যে-কথাগুলো বাজারের ভিতরেও বেঁচে থাকে, কফিশপে নয়, চায়ের দোকানের প্রাণে। আর, জিন্দাবাজার এই সংখ্যাও তাই একরকম মফস্বলি ম্যানিফেস্টো—ফেসবুকনির্ভর সাহিত্যকালেও যেখানে শব্দ এখনও চায়ের কাপে ফেনা তোলে, মানুষ এখনও এক কাপ চায়ের সঙ্গে গল্পেও বিশ্বাস রাখে। আর, আমরা বলতে পারি—শব্দই আমাদের বাজার। আমরা উপলব্ধি করি, শব্দেরও একটা রাজনীতি আছে—যা পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু হয়ে পৌঁছে যায় ইতিহাসের পাদটীকায়।

উপলব্ধি করা যায়—সাহিত্য আজকাল দামি কফিশপে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা? আসলে আমরা আছি এক মিশ্র অবস্থায়। আমাদের দশ-বিশ টাকার চায়ের কাপে অজস্র কথা, ভাবনা, গল্প। আমরা কি হারিয়ে ফেলব আমাদের দায়? কাঁটাযুক্ত পথেও আমরা কবিতা/গল্প লিখি। আবার কফিশপের গল্পগুজবে নিজের গল্প-কবিতাও ভুলে যাই। আমরা জানি, এই দেশে এখন পত্রিকা বের করা মানে একপ্রকার সামাজিক আত্মহত্যা। কারণ সাহিত্য আজ এক ধরনের অপ্রয়োজনীয় বিলাসবস্তু—যার দর নেই সমাজে, সরকারে। তবু আমরা আছি—যেহেতু লেখার, লেখকের ভাবনার, উচ্চারণের পাশে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষাকে লালন করি আমরা। প্রথম সংখ্যায় আমরা বলেছিলাম, ‘বিনষ্টির গড্ডালিকায় চিরতরে ভেসে যাওয়ার আগে মরিয়া-সাঁতার হতে চায় জিন্দাবাজার।’ দ্বিতীয় সংখ্যায় শুধু যোগ করছি—এই সাঁতার চলছে।

না, আমরা কোনও সাহিত্যগুরু নই। আমরা সেইসব লোক—যারা গল্পের ফাঁকে ফাঁকে জীবনের কথাও বলতে চাই। আমরা জানি, সময় কঠিন। এই সময়ে কবিতাও যেন রাষ্ট্রযান্ত্রিক নোটিশের নিচে জন্ম নেয়। সমাজের হৃদস্পন্দনেও যেন কোনও ভৌতিক আবহ বিরাজে। আর মানুষ ভাবে, ‘চুপ থাকা’ নিরাপদ। কিন্তু, সাহিত্য মানে কি চুপ থাকা? লিট্ল ম্যাগাজিন কি সেভাবে চুপ থাকতে শেখায়? লিট্ল ম্যাগাজিন কি পুরনো রোমান্টিকতা? এই ‘লিট্ল’ মানে তো ছোটো নয়, এর মানে অব্যবহৃত দিকটাকে খুঁজে বের করা। লিট্ল ম্যাগাজিন আজও দরকারি। লিটল ম্যাগাজিন ভাঙা রিকশা, ছেঁড়া পোস্টার আর শহরের ধূসর দেয়ালের ফাঁকে খুঁজে ফিরে সেইসব তাজা শব্দ, বাক্য—যেগুলো এখনও বিক্রি হয়নি।

Writer’s Index: Zindabazar, 2nd Issue; Editoor – Mohmmad Zayed Ali; Image Source – Collected; @thirdlanespace.com

জিন্দাবাজার এই বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে চায় যে, শব্দের বাজার ঘুমোয় না। এখানে ভাষা জাগ্রত। যে কবিতা-লেখা নিজের হৃদয়ের খবর রাখে—সেইসবই নিজের পাতায় ছড়িয়ে রাখতে চায়। বৃহৎ পরিসরে না হলেও এই সংখ্যার পাতাগুলো একটা বাজারের, একটা সময়ের। বাজারের কেন্দ্রবিন্দু, চায়ের গন্ধ, ট্রাফিকের হর্ন, কবি-লেখকদের নিশ্বাস, আর একফোঁটা বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়া ব্যানার—সব মিলেমিশে এখানে তৈরি হয় এক অন্যরকম কোলাজ। আর, এই কোলাজেই জিন্দাবাজার খুঁজতে চায় কথা বলার পরিসর—কবিতার ছায়ায়, গদ্যের ক্যানভাসে, গল্পের শিরা-উপশিরায় কিংবা কোনও পাঠনাট্যের প্রাণভরা উচ্চারণে। তাই, প্রথম সংখ্যায় আমরা দরজাটা খুলেছিলাম। দ্বিতীয় সংখ্যায় আরও একটু ভিতরে ঢোকা। মাত্র দুটি সংখ্যায় কোনও কোনও চেনা নামের পাশে আছে কোনও কোনও অচেনা বা কম-চেনা নাম/মুখ। আসলে আমরা সকলেই সকলকে চিনি না।

এই সংখ্যায় রাখা থাকল কবি, কবিতা, গান ও তার রচয়িতা নিয়ে কিছু কথা, রাখা থাকলো প্রবন্ধ—যাতে যুক্তি ও নন্দনের দ্বন্দ্বে জেগে ওঠে সত্যের সুর…বাক্য। আর, গল্প ও অনুগল্পেও আছে দৈনন্দিনের ধূসর আলো—জীবনের লুকানো রসায়ন; আছে কিঞ্চিৎ অনুবাদ; আছে একখানি পাঠনাট্য—যা মঞ্চের বাইরে থেকেও পাঠকের অন্তরে একটা আলো জ্বালাতে কিংবা প্রশ্ন তুলতে পারে।

আমরা চাই—জিন্দা থাকুক শব্দ। জিন্দা থাকুক পাঠক এবং জিন্দা থাকুক জিন্দাবাজার। আমাদের সাহিত্যযাত্রা হোক বহমান জনজীবনের উপাখ্যান।
. . .

জিন্দাবাজার : দ্বিতীয় সংখ্যা, নভেম্বর ২০২৫
সম্পাদক : মোহাম্মদ জায়েদ আলী
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : নাজমুল হক নাজু
মুদ্রক : ছাপাকানন, সিলেট
প্রাপ্তিস্থান :
বাতিঘর : সিলেট, পাঠক সমাবেশ, লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ, ঢাকা
সংযোগ :
jaayedali.syl@gmail.com; ০১৭১১-৭২৯৯৩৫
মূল্য : ট ২০০/-

. . .

সম্পাদকের জবানবন্দি : সূচনা সংখ্যা

Zindabazar, 1st Issue; Editor – Mohammad Zayed Ali; Image Source – Collected; @thirdlanespace.com

নয়া আরেকটা কাগজ বা সাময়িক পত্রিকার প্রকাশ কেন?

দশক-দুই আগে এমন প্রশ্ন উঠত ‘সম্পাদকীয়’ মুসাবিদাকালে যে-কোনও সম্পাদকের মনে, কেউ তলব না-করলেও কৈফিয়ত হিশেবে একটা ভাষ্য রচনা করতেন সম্পাদক, এতটাই ছিল পত্রিকাপ্রাচুর্য দশক-দুই আগেও যে, দেড়ফর্মা কাগজ প্রকাশের সময় সম্পাদক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সম্পাদকীয় মুখবন্ধে একটি নতুন পত্রিকা প্রকাশের প্রয়োজনগত যৌক্তিকতা ছাড়াও গাদাগুচ্ছের পত্রিকাগুলোর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে স্বীয় বিবেচনা দাখিল করতেন, পত্রিকার প্রাক-কথায় সেই বাস্তবতা, দশক-দুই বাদে এসে, আজ আর নাই। শতজলঝরনার ধ্বনিপুঞ্জ প্রকাশকারী লিট্ল ম্যাগাজিনগুলো অথবা সাহিত্যপত্রগুলো উধাও। সরকারি নিয়ন্ত্রণে এখন প্রত্যেক জেলায় বছরে একবার প্রকাশিত হয় আশ্চর্য ‘লিট্ল ম্যাগাজিন’ নামের অথর্ব বস্তুসমূহ! ততোধিক আশ্চর্য অথবা স্বাভাবিকভাবে লেখকেরা সরকারি কর্মচারীর অধীনে সেইসব ‘শিল্পকলামাধুর্যমণ্ডিত’ পত্রিকায় লাইন ধরে লেখেন, গর্ব করেন সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিজেদের ‘সাহিত্যচর্চা’ ও রচনারাশির ‘বিকাশ’ সাধিত হতে দেখে।

এদিকে, গোটা দেশে একটাও ‘সর্বজনীন’ সাহিত্যপত্রিকা নাই যেখানে ‘তৃণমূল পর্যায়ের লেখক’ ও ‘জাতীয় পর্যায়ের লেখক’ প্রভৃতি বিপর্যয়কর বর্গীকরণের বাইরে লেখার ভিত্তিতে লেখক চিনে নেওয়ার ন্যূনতম বন্দোবস্ত লভ্য। যদিও, হতভম্বকর হলেও সত্য, পত্রিকাবিরল এই দেশে প্রতিবছর শ-খানেক ‘প্রকাশক ও ‘প্রকাশনালয়’ আবির্ভূত হয় যাদের কাজ ‘মুর্গাধরা’ ও সে মোতাবেক ‘টুপাইস’ কামানো। বোঝা যায়, দেশের আর দশটা ‘ব্যবসায়’ এবং ‘উন্নয়ন’ কর্মকাণ্ডের ন্যায় সাহিত্যজগতেও বর্তমানে ‘সকলের হিত’-কল্পে নয় বরং ‘ব্যক্তির স্বার্থ’-সিদ্ধির নিমিত্তে বেবাক আবর্তিত। ‘সংঘবদ্ধতা’ ভালো, তবে সে-সংঘবদ্ধতা বা ‘সিন্ডিক্যাশন’ যদি সমষ্টির কথা না-ভেবে ব্যক্তির বৈষয়িক বাড়বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ব্যাপৃত থাকে তখন যে-‘বিকাশ’ যে-‘উন্নয়ন’ যে-সংস্কৃতি’ চালু হয় তার পোশাকি নাম ‘বাংলাদেশ’ তথা বাংলাদেশের ‘সাহিত্য’, ‘সিনেমা’, ‘শিল্পকলা’, ‘ব্যবসাবাণিজ্য’, ‘পলিটিক্স’, ‘প্রশাসন’ ও অন্যান্য প্রতারণা যাবতীয়।

অতএব, কৈফিয়তের বা জবাবদিহির সওয়ালই পয়দা হয় না যেখানে, সে-বোধটুকু পুরোপুরি বিলুপ্ত যে-ভূখণ্ডে, সেই নিরিবিলিনির্বিকার ইন্দারার তলা থেকে এই পত্রিকার জন্ম।

. . .
জন্ম হোক যথাতথা কামকাজ হোক ভালো। প্রবাদবাক্যটির ঈষৎ বদল ঘটিয়ে একটা সাময়িক পত্রিকার কাজ, তার কাম তথা বাসনাকামনা, কী হতে পারে এ-বিষয়ে নিজেদেরে ভাবনানিষ্ঠ রাখতে এই এবং অন্যান্য সকল সমমনা সাময়িক পত্রিকা সামনের দিনগুলায় যত্নশীল হবে। লেখকের যদি নিজের লেখার মর্মবস্তু ও লেখকসত্তার মর্যাদা নিয়ে একরত্তি পরিমাণে চেতনা থাকে তাহলে লেখা প্রকাশের জমিজিরাত ফড়িয়া-মুতসুদ্দিদের খপ্পর থেকে ফের নিজের কব্জায় ফিরিয়ে আনতে হবে। ফেরানোর কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। আজ থেকে দশক-দুই আগে যেমনটা প্রায় নিস্তরঙ্গ সমাজে একমুখী বিনোদনদুনিয়ায় লিট্ল ম্যাগাজিনের পেটের ভিতর দু-চারটা ‘তারুণ্যস্পন্দিত’ পদ্যরচনা আর ‘পণ্ডিতিক্ষীত’ ‘বৈপ্ল-বিক’ গদ্যগর্জন পুরেঠেসে বেশ আত্মশ্লাঘায় আপ্লুত থাকা যেত, দশক-দুই বাদে এসে এ-বেসময়ে সেই ‘প্রীতিকর পরিস্থিতি’ আর নাই। মিডিয়ায়, মঞ্চে, ময়দানে, ন্যাক্কারজনক প্রশাসনের প্রশ্রয় মেগে লেখকেরা যা যা চালাচ্ছেন সেসবের লগে লেখালেখির যোগ থোড়াই। কৃশ হোক বা নাদুসনুদুস, সাময়িক পত্রিকার পাতাভুক্ত লেখকসূচি থেকে শুরু করে লেখাজোখায়, মায়াবিজ্ঞাপনে এমনকী পত্রিকার নামে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করা যায় সেই পত্রিকার অভিপ্রায় বা মকসদ।

উপর্যুক্ত অংশে যে-অনেক উদ্ধৃতিচিহ্নিত শব্দকল্প ছড়িয়ে আসা হয়েছে এবং হয়তো পরের অংশেও হতে যাচ্ছে, সেসবের আখ্যা-ব্যাখ্যা টিপ্পনী-টীকাসমেত ‘অস্তিত্ব রক্ষার প্রতিবেদন’ ও বাংলাদেশের বশংবদ প্রায় সমুদায় লেখক-সমাজের ‘কৃতমর্যাদা’ পুনরুদ্ধারে এই পত্রিকা কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর। যদিও সাধ ও সাধ্য দুয়েরই বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে যে-কোনও মুহূর্তে, এই নির্বুদ্ধিজীবিতার সাড়ে-সতেরো আনা সেয়ানা বাংলাদেশের সাহিত্যচর্চিত’ সমাজে, সেহেতু সূচনা-সংখ্যা কাগজের মুখবন্ধে এরচেয়ে বেশিকিছু বলাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।

Writer’s Index: Zindabazar, 1st Issue; Editoor – Mohmmad Zayed Ali; Image Source – Collected; @thirdlanespace.com

এই পত্রিকার নামকরণ প্রসঙ্গে একটা আবরণমোচন জরুরি। ‘জিন্দাবাজার’ শব্দটা কানে এলে যে-কেউ কোনও একটা শাহরিক/জেলা শাহরিক ‘কর্পোরেশনধর্ষিত’ ‘উন্নয়নোত্তম’ অঞ্চল/এলাকা ভাবতে পারেন, অতি স্বাভাবিক সেই ভাবা, তাতে এমন অসুবিধার কিছু নাই। কিন্তু, বলা বাঞ্ছনীয়, ভয়াল দুঃস্বপ্নের মতো (অধঃপতিত) কোনও শহরের সঙ্গে এ-নামকরণের আদৌ সংযোগ নাই। মিল যদি কিছু খুঁজিয়া পাওয়া যায়, যেমন ধ্বনিগত সাযুজ্য, তা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও কাকতালীয়। তবে, এমন একটা প্রাণস্ফূর্ত শহর আমরা জাগরণে এবং স্বপ্নে দেখি যে-শহরের অধিবাসীরা হবে ন্যায়দীপ্ত, প্রখর চৈতন্যের অধিকারী, বুদ্ধিবিদ্যায় এবং দায়বোধে শানিত। খোয়াবে এমন একটা ‘নাগরিক আদব’ সম্বলিত শহর দেখতে পাই যেখানে একটা বানর কুকুর বাছুর কাচপোকা জোনাকি ঝিঁঝিঁ হিজল করচ ফণীমনসা থানকুনি লিচু সফেদা ডালিম সহাবস্থান করবে মানুষের সঙ্গে। এমন একটা ‘সারস্বত’ শহরবেষ্টিত সমাজ আমরা কল্পনা করি যেখানে লেখকেরা পাঙ্গাশ মাছের মতো মরামুখে চেয়ে থাকবে না আগন্তুক খদ্দেরের পকেট লক্ষ করে। এমন একটা সাবলীল শহর, যেখানকার মানুষেরা মনে-মগজে আচারে ও আচরণে হবে জ্যান্ত, প্রাণবন্ত ও তরতাজা।

. . .
প্রথম হাজিরায় ‘জিন্দাবাজার-অঙ্গীভূত রচনাপত্তরে এই পত্রিকার পথমানচিত্র অংশত হলেও ফুটে উঠেছে বলে মনে হয়। কিন্তু, বলাবাহুল্য, পথের শেষ এখানেই নয়। আরও বহু পথ পেরিয়ে গেলে পরে হয়তোবা যাবে পাওয়া কাঙ্ক্ষিত সরাইখানা। তারপরও লক্ষ করা যাবে এই সংখ্যায় ধরা রইল প্রথিতযশা ‘বাউল’ মহাজনদের রচনা নিয়ে লেখকদের সুপরিসর আলোচনার পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত অল্পপরিচিত পদকারদের নিয়ে আলোকপাত, রইল বাংলাদেশখণ্ডের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন কবির কাজ নিয়ে লেখকদের চিন্তাশ্রয়ী বিবেচনা। আর, কবিতা তো রইলই। ঠিক এইখানে বলে রাখতে হয় ‘জিন্দাবাজার’ শুধু কবিতার নয়, সাহিত্যের পাড়াপ্রতিবেশী বিচিত্র প্রসঙ্গ ও অনুষঙ্গের আধার হয়ে উঠতে চায়। লেখক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের সহায়তা না-পেলে এমন অভিপ্রায় শুধুশুধু অভিপ্রায়ই থেকে যাবে।

এ-সংখ্যায় লেখকদের অন্তরপূর্ণ সহায়তা ছাড়া সাময়িকপত্রটির দাঁড়াদিশা পাওয়া সাধ্যাতীত হতো সম্পাদকের পক্ষে, এ-কথা প্রারম্ভেই স্বীকার্য। পরবর্তী প্রকাশোদ্যোগগুলোতেও বর্তমান সংখ্যার লেখক ও সহযোগীদের অবারিত প্রশ্রয় জিন্দাবাজার’ পাবে, সেইসঙ্গে যুক্ত হবেন আরও অনেকে, এই বিশ্বাসে আমরা বলীয়ান থাকতে চাই।

. . .
বিনষ্টির গড্ডালিকায় চিরতরে ভেসে যাবার আগে একবার মরিয়াসাঁতার হতে চায় “জিন্দাবাজার’।

. . .

জিন্দাবাজার : সূচনা সংখ্যা, জুলাই ২০২৪
সম্পাদক : মোহাম্মদ জায়েদ আলী
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : ইবনে মাহমুদ
মুদ্রক : ছাপা কানন, সিলেট
প্রাপ্তিস্থান :
বাতিঘর, বইপত্র, সিলেট; কোরাস, মৌলভীবাজার পাঠক সমাবেশ, লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ, ঢাকা বুক কর্নার, রাজশাহী; বাতিঘর, চট্টগ্রাম পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, কলকাতা
সংযোগ :
jaayedali.syl@gmail.com; ০১৭১১-৭২৯৯৩৫
মূল্য : ট ২০০/-

. . .

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 5 / 5. Vote count: 23

No votes so far! Be the first to rate this post.

Contributor@thirdlanespace.com কর্তৃক স্বত্ব সংরক্ষিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *