• পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    বাংলার খেত, কৃষি : ফজলুররহমান বাবুল

    ভূমির প্রশ্ন—এখনও সভ্যতার যুদ্ধক্ষেত্র। কিন্তু এসবের বাইরেও খেতের একটি অন্যরকম ভূমিকা আছে। মানুষ মৃত্তিকাকে মা বলে—কারণ মৃত্তিকা সন্তানকে ধারণ করে, প্রতিপালন করে, আর শস্যের রূপে ফিরিয়ে দেয় ভালোবাসা—জীবন। মানুষ যখন একটি শস্যভরা খেতের দিকে তাকায়—সে দেখে নিজেরই প্রতিচ্ছবি—মৃত্তিকার সন্তান হয়ে আকাশপানে ওঠার সংগ্রাম।

  • পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    গানের শ্রোতা যখন মহান প্রাণীকুল

    প্রকৃতি এক মহান শিল্পী, আর আমরা সকলে তার গর্ভ থেকে ধরায় ভূমিষ্ঠ হয়েছি। প্লুমস (Plumes) ওই-যে বব ডিলান থেকে আরো যত শিল্পীর গান পশুপাখিদের শোনালেন, সেখানে শব্দতরঙ্গে নিহিত স্বর ও সুরধ্বনির সবটা আদিতে তাদের কাছ থেকে মানুষের নেওয়া। তিনি এখন কেবল এর অতি উন্নত ও বৈচিত্র্যে বর্ণিল সংস্করণ নিয়ে হাজির হয়েছেন তাদের সামনে। তাদের মস্তিষ্ক এই শব্দকম্পনকে মিত্র বলে বুঝে নিতে ভুুল করেনি।

  • পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    দুর্গাবন্দনা : মহাসপ্তমী ও কুমারী পূজা — সুমন বনিক

    কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারীর অন্তর্নিহিত শুভ দেবীশক্তিটাই জাগ্রত করা হয়। এই অন্তর্নিহিত দৈবীশক্তি জাগালেই দেবীপূজা সার্থকতা লাভ করে। ব্যাপক অর্থে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে আমাদের ঘরের মা, ভগিনী, পত্নী, কন্যা প্রভৃতি নারী রূপিণীদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। এই পূজা নারীর পবিত্র জীবন চেতনার পূজা, নারীর নারীত্বের পূজা, নারীর প্রতি তীব্র প্রেমভাবের পূজা।

  • পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    বিসর্জনে প্রতিরোধ

    থিক কোয়াং ডুকের মতো মানুষ বাধ্য হয়েছিলেন রাষ্ট্রকে এই বার্তা দিতে,—নিখিল প্রকৃতিতে কেউ কারো দেহের মালিক নয়। না-কারো হক আছে এটি বলার,—এখন থেকে তার ইচ্ছা ও ফরমানে সব চলবে। এখানে এসে তিউনিসিয়ার ফলবিক্রেতা মোহাম্মেদ বুয়াজিজি কিংবা ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের রোহিত ভেমুলারা অভিন্ন হতে থাকেন।

  • পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    কবি ও বিদূষক এরশাদ

    এরশাদকে নিয়ে প্রশ্নটি অগত্যা তোলাই যায়,—তিনি কি একালের অনেক শাসকের মতো কর্তৃত্ববাদী? কর্তৃত্ববাদের নতুন যে-স্বরূপ বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে আমরা কমবেশি ব্যাপক হতে দেখছি, এখন এর সঙ্গে তাঁর আমলে দেখা দেওয়া কর্তৃত্ববাদকে অভিন্ন ভাবা কি সম্ভব? ক্ষমতা ও রাজনৈতিক অস্তিত্বের প্রশ্নে বিরোধীকে দমনের অপকৌশল আর নিজের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে তাকে নিস্তেজ করে ফেলার মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। এরশাদকে এদিক থেকে যে-পরিমাণ কৌতুককর দেখায়, সমপরিমাণ আগ্রাসী তিনি হতে পেরেছিলেন কি?