সকল প্রকার সংকীর্ণতা ও কূপমুণ্ডুকতার বিরুদ্ধে শানিত তলোয়ার হিসেবে রবীন্দ্র সাহিত্য ও গানকে ব্যবহার করেছেন সন্জীদা খাতুন। তাঁর এই রাবীন্দ্রিকতা তাদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে, যারা এরকম ভাবছেন,— মুসলমান হিসেবে একজন মানুষের বিদায়যাত্রা ইসলামি আচার মেনে সম্পন্ন হওয়া উচিত ছিল। কলেমা পড়ে শেষ নিঃশ্বাস তিনি ত্যাগ করতে পারতেন। সন্জীদা ওভাবে বিদায় নিতে ইচ্ছা করেননি। কেন করেননি সেটি বরং অগে অবধান করা প্রয়োজন।
-
-
সমাজ ও অর্থনীতির চালক হিসেবে বণিকনির্ভর সুগঠিত বুর্জোয়া শ্রেণি পাকিস্তান ও বাংলাদেশে গড়ে না উঠায় এখানকারর শ্রেণিশোষণের ছক বা এর বিরুদ্ধে লড়াই সর্বদা ঘোলাটেই থেকে গেছে। হাসিনা আমলে ব্যবসায়ীদের দাপট আমরা দেখেছি, তবে খেয়াল করা প্রয়োজন,—ব্যবসায়ী শ্রেণিটি সেখানে মার্কসকথিত পুঁজবাদী শক্তিতে নিজেকে রূপান্তরিত করতে সক্ষম ছিল না। সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে নেপথ্য চালিকাশক্তি মেনে নিয়ে তারা কেবল লুম্পেনে পরিণত করেছে নিজেকে। আর গেল তিরিশ বছরের ছকে এই অলিগার্কিকে পূর্ণতা দিতে মোল্লারা যুক্ত হয়েছেন। আলভীর অতি উন্নত রাষ্ট্রের পরিহাসকে যেটি বাংলাদেশে সত্য প্রমাণ করছে।
-
অভ্যাস বা হুজুগে পড়ে মানুষ বই কেনে ও পাঠের ভান করে;—এরকম যারা ভাবেন, তাদের কথাকে কাজেই চট করে খারিজ করতে মন ওঠে না। সীমিত সংখ্যক হয়তো আছেন, পাঠের অসীম খিদে মেটাতে বইদোকানে ও মেলায় হানা দেন। অনলাইনে বইয়ের অর্ডার হাঁকেন। বাদবাকিরা মনে হচ্ছে বেহুদা গাঁটের পয়সা খর্চা করেন সেখানে। বই পড়াকে মাঝেমধ্যে যে-কারণে মিথ বলে মনে হয়।
-
ভাববাদের ভিত্তিভূমি ভারতীয় চিন্তায় এটি ছিল মারাত্মক হুমকি স্বরূপ ও বিপর্যয়ের শামিল। সুতরাং এ-ধরনের চিন্তার বিরোধিতা সকল দর্শনশাস্ত্রের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। চার্বাকপন্থীদের বিরোধিতা করে মূলত অত্র অঞ্চলের মহান ভাবুক-চিন্তক-দার্শনিকগণ নিজ দর্শনের বিস্তার ঘটিয়েছেন। .. এখন এই চার্বাক আসলে কারা? তারা কি কোনো ব্যাক্তিবিশেষ অথবা গোষ্ঠী? তাদের প্রচারিত মতবাদের মূল বক্তব্য কী? এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর ইতিহাস থেকে উদ্ধার করা খুবই দুরূহ। চার্বাক মতবাদকে খণ্ডন করতে গিয়ে বিরোধীরা যা বলছেন সেটি সেখানে একমাত্র উৎস, এছাড়া আর কিছু মিলছে না। তাদের ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন উপসংহারে পৌঁছানোর সমস্যা তাই যথেষ্ট গুরুতর।
-
বল কখনো ঠিক জায়গা আসবে না জেনেই আমরা খেলি। লাইফ ইজ অ্যা গেম। আর আমরা ওই গেমটা একাগ্র উত্তেজনায় যখন খেলি, তখন মনে থাকে না গেম খেলতেছি। যেখানে আমরা মাঝেমধ্যে জিতি, তবে হারি অবিরত। এখন যেমন গোহারা হারতেছি! এদুয়ার্দো গালিয়ানো বুঝি সেরকম একখান ঘটনার আভাস দিতে তাঁর সকার ইন সান এন্ড শ্যাডোয় আলবেয়ার কামুর কাহিনি পেশ করছিলেন।