মিশরের মতো বাংলাদেশেও মার্কিনছকে সম্পাদিত রঙিন বিপ্লবের মধ্য দিয়া উনাদের এই আত্মপ্রকাশকে তাই অভিনন্দন। ডিয়ার ওয়ারিওয়র্স, ওয়েলকাম... ওয়েলকাম ফর দ্য হ্যাপি রিটার্ন। ইউ পিপল প্রুভ দ্যাট শিবির ক্যান নেভার ডাই। শিবির কখনো মরে না। সে মারা গেলে মানুষ থাকবে না ধরায়, যেহেতু মানুষ মূলতই শিবির। তো নিনজা টেকনিকের পয়লা কদমে জামায়াতকে আওয়ামীরা অনুসরণ করতে পারেন। ... রাজনীতি নোংরা খেলা। সকল কালে নোংরা ছিল, নোংরা আছে, নোংরা থাকবে। সুতরাং নোংরা গায়ে মাখতে লীগের দ্বিধা করার প্রয়োজন নাই।
-
-
গত পনেরো বছর সাহিত্যের ভাষা ও শিল্পকুশলতা কাজে লাগিয়ে সার্কাজমে গমনের সাহস কবিলেখক সমাজে প্রবল হইতে দেখি নাই। উনারা বিস্তর অংবংছং লিখতেছিলেন। তার মধ্যে না ছিল ধার,- না গভীরতা। বিগত ও চলমান সময়কে বিচিত্র মাত্রায় টের পাওয়ার উপায় বাংলাদেশের বিজ্ঞ কবিলেখক বিরচিত সাহিত্যে বড়ো আকারে পাইছি বইলা একিন হয় না। রাডারে ধরা পড়বে এরকম কিছু কি সত্যি তারা পয়দা করতে পারছেন গেণ পনেরা বছর? উনাদের সাহিত্যিক তৎপরতায় না ছিল রস, না মিলতেছে গায়ে জ্বালা ধরানো পরিহাসমাখা হুল,- না পাওয়া যাইতেছে গভীর কোনো সংবেদ। কী মিলতেছে সেকথা ভেবে টাসকি খাইতেছি এখন।
-
আমি ভাই সোজা বুঝি,- বাংলাদেশে আপাতত দুইখান জিনিসের বিকল্প নাই। নাম্বার ওয়ান, যিনি দেশ চালানোর ড্রাইভারি করবেন উনাকে সিচুয়েশন কন্ট্রোলে দক্ষ হইতে হবে। গাড়ি রাস্তায় আছে না খাদে পড়তেছে এই বুঝটা থাকলে কাফি। গাড়ি চালাইতে গিয়া উনার গায়ে যদি লৌহশাসক, একনায়ক, একচ্ছত্রবাদী এবং অদ্য পপুলার লেবেঞ্চুস ফ্যাসিস্ট উপাধিখানা দেশের ছুচিল সমাজের মালপোয়ারা বসাইতে থাকে তো বসাক। হু কেয়ারস! ড্রাইভার সায়েবের ওসব মাথায় নিয়া কাম নাই। উনার গাড়ি লক্করঝক্কর। রোড এমন না যে ট্রাফিক আইন সবটা উনি মানতে পারবেন। আইন থাকবে কাগজে, গাড়ি চালাবে রোডের ভাও বুঝে;- কথা লাউড এন্ড ক্লিয়ার।
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধা করে উনি রায় দিয়া দিলেন। যেন চায়ের স্টলে বসে আমরা যেমন করি আর কি, যারে যা ইচ্ছা বলি, উনি এখন চাস্টলে বসে স্যাটায়ার মারাইতেছেন! প্রথমবার ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প আর এবারের ট্রাম্প এক বিষয় নাহে জনাব খালেদ মুহিউদ্দীন। এবার আপনার ওই আস্ত পশ্চিমা গণমাধ্যম তারে সিরিয়াস কেস হিসেবে নিতে বাধ্য হইছে। প্রথমবার যারা তারে জোকার সাজাইছিল এবার তারাই ট্রাম্পের সিগনিফিকেন্সকে নানা মাত্রায় বোঝার তালে আছে।
-
যাই হোক, আমাদের দেশে সংস্কৃতিসেবীরা মোটা দাগে মেরুদণ্ডহীন প্রাণী। নিজেকে চালাক ভাবলেও তারা আসলে বোকাসোকা মানুষ এক-একজন। ফারুকী ঐতিহ্যটা ধরে রেখেছেন। উনার ক্রেডিবিলিটি, সত্যি কথা বললে, সরকারে ভিতরে যেমন এখন থাকবে না, আওয়ামীদের কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এরকম ভঙ্গুর বলেই উনার সিনেমা একটা কোথাও যাইতে চায় কিন্তু শেষতক যাইতে পারে না। উনার ওই লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামি ছবিখানার মতো। এইটাকে উনার বায়োপিক বইলা আমি সাব্যস্ত করিলাম।