সেলিম রেজা নিউটন ততক্ষণে ছাবালের ন্যায় বিচলিত মাথা নেড়ে বলতে থাকেন,- আমারে বুঝাইয়া লাভ নাই বুঝছেন! আপনারা নিজেই বোঝেন না কী বুঝাইতে আসছেন আমারে! মাঝখান দিয়া আমার বুঝটারে খালি আউলা করে দিতেছেন সবাই। কথা ফাইনাল,- মাহফুজের মধ্যে ফিদেল ও চে পুনরায় দেহধারণ করছে। বিপ্লব পুনর্জন্ম লাভ করছে। বাকিরা হতাশ ভঙ্গিতে শ্রাগ করিলে ফরহাদ মজহার ফট করে জিগান,- হাসিনার পদত্যাগপত্র আপনারা দেখছেন কেউ? উনারা মাথা নেড়ে ‘না’ জানাইলে মজহার বলতে থাকেন,- এভাবে হবে না। চলেন ড. ইউনূসের কাছে যাই। ঝামেলা উনি তৈরি করছে। উনাকে বলতে হবে মাহফুজ কেন ও কী কারণে মাস্টারমাইন্ড। আমরা কী দুধভাত?
-
-
জুলাই আন্দোলনের মুখ্য এজেন্ডাগুলার মধ্যে রাজাকার জিকিরকে লেজিটিমেসি দেওয়ার এজেন্ডাকে সবচেয়ে সিগনিফিকেন্ট বইলা ধরা যাইতে পারে। একাত্তরের পর হইতে যে-ছাপ্পা উনাদের পিঠে অকাট্য ছিল, এখন সেইটা মুছে দেওয়ার উপলক্ষ তারা পাইতেছেন। কালক্রমে বিহারি কমিউনিটি হইতে উঠে আসা বুদ্ধিজীবী ফাহাম আবদুস সালামের মতো একাত্তর সনের মরণপণ জনযুদ্ধকে বিগ স্ক্যাম ও চব্বিশকে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা বইলা আবাল জাতির মগজে পুশ করতে অসুবিধা হবে না। ব্যাপার না, উনাদের সেবা দিতে তৎপর ব্রাত্য রাইসু তো বলেই ফেলছেন,- ফ্যাক্ট কোনো বিষয় না, ন্যারেটিভ বা বয়ান হইতেছে আসল। আপনি কীভাবে ন্যারেটিভ তৈয়ার করতেছেন তার উপ্রে ইতিহাস আপনারে গোনায় ধরবে।