ভাষার এই অদ্ভুত কনট্রাস্টই জীবনানন্দের অপার শক্তি, এবং সে-কারণে বিশ্বের চিরমহান কবিদের একজন তিনি। কিংবা আলো পৃথিবীর রাত্রি কবিতা যদি পাঠ করি পুনরায়,—বিস্ময়কর নির্মিতি। অভবানীয় ও অদ্ভুত! কিন্তু নিজের ম্যাসেজ প্রদানে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। জীবনানন্দ ইহজীবনে আর্ট ফর আর্ট সেক বা শিল্পের জন্য শিল্প লেখেননি। তিনি বিশুদ্ধ জীবনচাক্ষিক।
-
-
কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারীর অন্তর্নিহিত শুভ দেবীশক্তিটাই জাগ্রত করা হয়। এই অন্তর্নিহিত দৈবীশক্তি জাগালেই দেবীপূজা সার্থকতা লাভ করে। ব্যাপক অর্থে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে আমাদের ঘরের মা, ভগিনী, পত্নী, কন্যা প্রভৃতি নারী রূপিণীদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। এই পূজা নারীর পবিত্র জীবন চেতনার পূজা, নারীর নারীত্বের পূজা, নারীর প্রতি তীব্র প্রেমভাবের পূজা।
-
ধামাইল গানে ভণিতায় গীতিকারের নিয়ম ভাঙার প্রচলন শুরু থেকেই। তবে সেটা কারো গান দখল করে বা গীতিকারকে আড়াল করে নিজের জন্য নয়। ধামাইল গায়ক কখনো স্বেচ্ছায় নিজের নাম ভণিতায় জুড়ে দেন না। বরং ভালোবেসে নিজের লেখা গান অন্য ভণিতায় উৎসর্গ করেন। গীতিকার নিজের পরিচয় গোপন করে সকলের জন্য গান উৎসর্গ করেন, এমন নজির ধামাইল গানে ভাটি গাঁয়ের বধূসমাজে অনেক। তাই পছন্দের গানে পছন্দের গীতিকার এর পরিচয় খুঁজে না পাওয়ার বেদনাও আছে অনেক।
-
এই জুবিন জীবদ্দশায় ফকিরির ভাও রপ্ত করেছিলেন। দূর ভবিষ্যতে সকল পরিচয় ছাপিয়ে ওই সন্ত-ফকির-দরবেশ রূপে মানুষ তাঁকে স্মরণ করবে ফিরেফিরে। মিথ এভাবেই তৈরি হয়, এমনকি সংকীর্ণতা ও বিভাজনের অন্ধকূপে নিমজ্জিত একুশ শতকেও!
-
জল সেতো অনন্তেই গেছে পাশে কেউ নেই চিরদিন দেখা নেই চিরদিন দূরে দূরে চিরদিন সন্ন্যাস