বায়বীয় এক চরিত্রকে এভাবে সমাজমাধ্যমে রাতারাতি ছড়িয়ে দেওয়ার খেলাটি কেন ধরতে পারলেন না সেকথা ভেবে নিজের ওপর রাগ হচ্ছে অনেকের! ধোঁকা খেয়ে হাবা হাসমত বনে যাওয়ার জেরে উঠেছে নতুন বিতর্ক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি এই পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে মানুষের কী হবে? সৃষ্টিশীলতা বলে কিছুই কি থাকবে না তার হাতে? সব কি একাই খেয়ে নেবে এআই দানব? অনেকে শাপশাপন্ত করছেন। অনেকে আবার সপক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন বেশ।
-
-
থিক কোয়াং ডুকের মতো মানুষ বাধ্য হয়েছিলেন রাষ্ট্রকে এই বার্তা দিতে,—নিখিল প্রকৃতিতে কেউ কারো দেহের মালিক নয়। না-কারো হক আছে এটি বলার,—এখন থেকে তার ইচ্ছা ও ফরমানে সব চলবে। এখানে এসে তিউনিসিয়ার ফলবিক্রেতা মোহাম্মেদ বুয়াজিজি কিংবা ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের রোহিত ভেমুলারা অভিন্ন হতে থাকেন।
-
বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি মানুষের প্রতিটি পদক্ষেপকে পর্যবেক্ষণে রাখে। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, ক্যামেরা,—সবকিছু তার গতিবিধি অনুসরণ ও লিপিবদ্ধ রাখায় নিয়োজিত। মানুষ এখন ‘ডিজিটাল প্যানোপটিকন’ (digital panopticon)-এ বসবাস করে। নিজেও জানে না,—তাকে সেখানে কারা, কখন ও কীভাবে নজরে রাখছে। নজরদারির ভয় তাকে তাড়া করে বেড়ায়! ওই ভয় থেকে স্বেচ্ছায় তার আচরণ পালটে নিচ্ছে সে। নিজেকে নিয়ন্ত্রিত রাখার অভ্যাস তার মধ্যে তীব্র হতে দেখছি আমরা। এই মানুষকে সুতরাং স্বেচ্ছা-শৃঙ্খলিত বলা যেতেই পারে।
-
সেলেবদের বুক ক্লাব, অস্বীকার করা যাবে না, তথাপি একটি পণ্যমূল্য ও বাজার তৈরির ভাবনা মাথায় রেখে জন্ম নিয়েছে। এটি একজন সেলিব্রিটিকে বাকিদের চোখের সামনে রাখছে সবসময়। ডুয়া লিপার বুক ক্লাবটিও ব্রান্ডিংয়ের প্রয়োজন মেটাচ্ছে সেখানে, তবে বাকি সেলেবদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এর চরিত্র।
-
জলের উট গ্রীবায় তোলপাড় চূড়ায় পিলসুজপ্রদীপ ঈগলের চোখ, অন্ধকারে খুঁজে ফিরি আমি দারুচিনি দ্বীপ—আমি চিরসৌমিক।