আমার কেন জানি মনে হয়, আমাদের পাঠঅভ্যাস অত্যন্ত ক্লিশে। ইনফ্যাক্ট, আমরা মার্কা মারতে পছন্দ করি। মার্কার বাইরে একজন ভালোমন্দ অন্য যা-কিছু লিখুক-না-কেন, সেগুলো নিয়ে আলাপ করি না বা করার উৎসাহ বোধ করি না। আলাপ করা গেলে ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা হয়তো তৈরি হতো।
-
-
ড. জাফর ইকবালের মধ্যে যেটি সবসময় ছিল ও আজোবধি রয়েছে, সেটি ওই বহুচর্চিত বাক্যটি মনে করায় : ল্যাঞ্জা ইজ ডিফিকাল্ট টু হাইড। হাসিনা পতনের তুঙ্গ মুহূর্তে যে-কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি অচেনা বলে সাব্যস্ত করেছিলেন। যেহেতু, তাঁর হিসাব অনেক আগে থেকে জানাচ্ছিল,— বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজাকারপন্থীতে ভরে গেছে।
-
সৌমিত্রর মধ্যে বিপ্লবী বিকার গেড়ে বসতে পারেনি। পল্টি নেওয়ার মতলব সেখানে ছিল না। তার নিজস্ব রাজনৈতিক বোধ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাঙালি জাতিসত্তাকে সে এতদিন যেভাবে জেনেবুঝে এসেছে, হৃদয়ে লালন-পালন ও আশাকারা দিয়ে গেছে সমানে, এবং এভাবে একটি সমীকরণে অকাট্য হয়েছে এতদিনে,—এখন সেটি ঝেড়ে ফেলতে যেসব যুক্তি ও বয়ান হাজির করা হচ্ছিল, সেগুলোকে ভ্যালিড ধরে নেওয়া সৌমিত্রর পোষায়নি। সুতরাং লাল বিপ্লবে সক্রিয় মতলবি ফ্যাসিবাদের চাষাবাদে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে নিজের বিশ্বাসে অটল থেকেছে কবি।