বন এক জিনিস আর একটি অরণ্য... পুরোপুরি আলাদা ব্যাপার। সময় যত অতিক্রান্ত হয়েছে, কমল আর কমল থাকেননি। বৃক্ষ থেকে অরণ্যে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর দেহে কান্টের সমুদয় নোমেনারা ছিল ক্রিয়াশীল। তারা তরঙ্গিত সেখানে। মানুষ কমল চোখ বুজেছেন, কিন্তু বৃক্ষনাথ কমল এখনো জীবিত। শুনতে পাই, ভালোপাহাড়ের চূড়ায় অরণ্যকমলে পরিণত আমাদের কবি উপনিষদের শান্তিবাণী জপ করছেন...
-
-
প্রাকৃতিক সত্তা ও স্বজ্ঞা মানুষের মাঝে ক্রিয়াশীল থাকার পরেও সে অপ্রাকৃত ও নিজস্ব হইতে চায়। মাটি তেমন নয়। বৃক্ষরা নয়। জগতের কোনোকিছু নয়। জগতের সমুদয় বস্তুর সঙ্গে মানুষের তফাতটা এখানে ভীষণ মৌলিক। মাটির মধ্যে সহজাত পরার্থপরতার আলাপ মারিয়াম মাহজাবিন তাঁর ভিডিও পডকাস্টে তুলছিলেন। পিওর থটস বলা যাইতে পারে। শোনার পর মনে হবে, দারুন তো! এভাবে কখনো ভেবে দেখে নাই! তো উনি মাটির যেসব গুণ মানুষের মধ্যে থাকা উচিত বইলা মনে করেন, এখন সেইটা বনিআদমে সক্রিয় করানো কঠিন। যতক্ষণ না সে কান্টীয় তরিকায় যুক্তি দিয়া উপলব্ধি করতে পারতেছে,- তারে মাটির মতো হইতে হবে।