এখানে পৌঁছে জাহেদ স্বয়ং হয়ে উঠছেন বেমানান। একরোখা ও নিঃসঙ্গ হতে হচ্ছে তাঁকে। একে এখন বেঁচে থাকার পন্থা হিসেবে পোষ মানাতে হচ্ছে। লেডি গাগার বর্ন দিস ওয়ে গানের সারবস্তু ধার করেই বলি না-হয় : দিস ওয়াজ মাই ওয়ে। আই লিভ দিস ওয়ে, বিকজ গড মেইকস নো মিসটেক। লিভ দিস ওয়ে-র ইশতেহার হয়তো গ্রাসরুটসের পরিহাসমুখর কবিতা সিরিজে রেখে দিয়েছেন জাহেদ। তার একটি নমুনা এখানে তুলে রাখছি। বেমানান বিশ্বে যারা বেমানান,—তাদের করকমলে কবিতাটি নিবেদন করেছেন কবি;—যে-দলে তিনি রয়েছেন সগৌরব!
-
-
আমাদের কাজবাজে স্থানিকতার বিচিত্র রং প্রায়শ অনুপস্থিত থাকে। যে-কারণে এগুলো প্রাণের জিনিস হয়ে ওঠে না। বিশ্বযোগ সারতে হলে ওটা কিন্তু লাগবে। স্থানিকতা হচ্ছে সেখানে কাঁচামাল। বিশ্ব থেকে যা কুড়িয়ে-বাড়িয়ে পেলেন,—সেগুলোর সঙ্গে এই কাঁচামাল ঠিকঠাক জুড়তে পারলে সত্যিকার বিশ্বযোগ ঘটে। সাধ্য থাকলে আমীনুর রশীদের মতো আরো যাঁরা ছিলেন বা এখনো রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে কাজে নামাটা বোধহয় জরুরি হয়ে উঠছে ক্রমশ।
-
পাঠআকালের মধ্যেও এই-যে গানপার নিরন্তর সক্রিয়, নানান ছাদের লেখায় ভরতি তার সংগ্রহশালা, সেখানে কবি ও গদ্যকার জাহেদ আহমদকে মাঝেমধ্যে ভীষণ একলা, একরোখা আর জেদি দেখায়! তিনি জানেন,- তাঁর এই খাটনির মূল্য পোড়াকপাল দেশে জুটবে না একরতি। কাল যদি গানপার নিজেকে নজরুলের মতো স্তব্ধ করে দেয়, কেউ তার কারণ জানতে চাইবে না। চাপ দেবে না ফেরত আসার।... মানুষটি ও তাঁর সহযোদ্ধারা এমন এক গানপারঘাটে বসে সাতটি বছর ধরে গানের খাতা বাঁধছেন আর বাঁধছেন; চারদিকে থই থই পানির সাগর, তবু হায় তার এক ফোঁটা মুখে তোলার নয়। সবটাই লবণাক্ত। পোড়ার দেশে লেগে থাকার এই হলো পুরস্কার! লবণাক্ত এই একরোখা লড়াকুদের তথাপি সেলাম।