লেখক বলতে পারেন, আমার কিছু বলার আছে বলেই লিখি। বলার মানে তো অব্যক্ততাকে ব্যক্ত করা। যদি আমরা মনে করি লেখার কাজটা আসলে অব্যক্ততার বেদনা থেকে নিজেকে মুক্ত করার একটা প্রণালি, কিংবা আমরা যদি বলি—লেখকের নিঃসঙ্গতার মধ্যে লেখা একটা সঙ্গ, তবে কি শেষ কথা বলা হয়? নিশ্চয় না। লেখক লেখার মাধ্যমে অব্যক্ততাকে প্রকাশ করেন। এই প্রকাশটা হতে পারে নিজের সঙ্গে কিংবা পাঠকের সঙ্গে কথা বলা। লেখক কি তাঁর লেখার মাধ্যমে কথা বলতে পারেন না নিজের সঙ্গে, পাঠকের সঙ্গে? লেখা-পাঠে বোধ করি লেখকের মুখটা দেখা যায়। সবসময় দেখা না-গেলেও মাঝে মাঝে দেখা যায়।