• আসুন ভাবি

    চতুর্থ রাজনীতি

    পুতিনশাসিত রাশিয়ার কথাই ধরি। পরাশক্তি হিসেবে সে আসলে কী চায়, কোনখানে যাইতে চায়, কীভাবে দেশবাসীকে একটা কাঠামোয় রাখতে চায় ইত্যাদি সকলের কাছে বোধগম্য করে তুলতে আমরা পুতিনকে সক্রিয় দেখতেছি। নেপথ্যে যিনি বা যারা আছেন তারা পুতিনের পরামর্শক হিসেবে ভূমিকা রাখতেছেন। ভলাদিমির পুতিনের সমুদয় কাণ্ডকারখানার নেপথ্যে সচল দার্শনিক ভিতের প্রণেতা হিসেবে আমরা যেমন আলেকজান্ডার ডুগিনকে পাইতেছি সেখানে। ডুগিনের ব্যাপারে যদি তল্লাসি করি তাহলে বুঝতে পারব কেন বা কী কারণে আসিফ মাহতাব দার্শনিক ভিত গঠনের আলাপ সামনে নিয়া আসছেন। সময়ের সঙ্গে যা নতুন আঙ্গিকে মোড় নিতে পারে, কিন্তু জাতিরাষ্ট্র গঠনে এর প্রয়োজন আছে বৈকি!

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    কুইয়ারনামায় লিঙ্গ রাজনীতি

    LGBTQ-র ছাতার নিচে থাকা কুইয়ার হইতেছে এমন লোক যে কিনা নিজের যৌনঅস্তিত্বের ব্যাপারে ঘোরতর সন্দিহান। এখান থেকে একজন কুইয়ারের ঝামেলা শুরু হয়। উভকামী, নারী বা পুরুষ সমকামী অথবা হিজড়ার মতো দ্বৈত যৌনসত্তায় নিজের আত্মপরিচয় নিয়া সে পেরেশান হইতে থাকে। তার মনে তখন এমনসব ফ্যান্টাসি প্রকট হয়, বাস্তবতাকে ইগনোর যাইতে সেগুলাকে সে প্রয়োগ করে। সৌরভ রায় তাঁর রচনায় যেসব আর্টপিস সংযুক্ত করছেন, সেগুলোকে এখন যদি আমলে নেই তাহলে বিষয়টি আমরা ধরতে পারব। আমার ধারণা,- সামনে যে-যুগ আসতেছে সেখানে LGBTQ বইলা কোনো ছাতার অস্তিত্ব থাকবে না। পুরোটাকে কুইয়ার নামক ছাতার নিচে সমাজবিজ্ঞানীরা গোনায় ধরতে বাধ্য হবেন। উনাদের বর্গীকরণে অনেককিছু এখনো মিসিং।