মানুষের কাছে দুর্নীতি ফ্যাক্টর হলেও পুঁজিবাদী সমাজবিকাশের প্রাথমিক ধাপে পা রাখার দিনে এসব রোধ করা সত্যি কঠিন। চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাস যদি হাতে নেই তাহলে দেখব,- উপনিবেশ বিস্তারের সুবাদে ইংল্যান্ডে শিল্পায়ন ও উন্নয়ন শুরু হলেও রাষ্ট্রের খোলনলচে তখনো সংহত রূপ পায়নি। অ্যানার্কি ব্যাপক ছিল। দারিদ্র্য ও বৈষম্যের বিপরীতে অর্থনীতির পুরোটাই সমাজের একটি স্তরে পুঞ্জীভূত ছিল। ডিকেন্স তার ছবি আঁকছিলেন কেবল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা অবান্তর, তবে একুশ শতকে আমরা সামান্য মাত্রায় হলেও এরকম ট্রানজিশনের ভিতর দিয়ে যেতে আরম্ভ করেছিলাম। একে এখন ধরে রাখতে পারলে ভালোমন্দ মিলিয়ে একটা ফলাফল অবশ্যই আসত। এখন কী আসছে বা আসতে চলেছে তার বিষয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!
-
-
ব্যথা এখনো টের পায় নাই উনি। যখন পাইবে নিজ দেহটারে ভৌতিক বোধ হবে। দেখবে, পেছনটা কারা জানি রক্তাক্ত করে দিছে। বেঁচে থাকাটারে তখন টুল ব্যান্ডের শব্দ ধার করে বলি,- হোলি গিফট ভাবাটা কঠিন মনে হবে উনার। বিগ প্লেয়ার জীবন ও দেহটারে নিয়া কতভাবে তামাশা করে সেইটা জানত বইলা গানের কথায় নির্বেদের আভাস আনছিল তারা। মাঠে বিগ প্লেয়াররা নামার টাইমে বাকিরা কিন্তু ফুটনোটে রূপ নিতে থাকে। মেসি-রোনালদো যদি মাঠে নামে তখন কী অন্য কারো দিকে তাকাইতে মন চাইবে? চাইবে না। এ-কারণে তারা GOAT। কাজেই মোজো ছেড়ে Taste the feeling পান করার সময় মনে হইতেছে আমাদের জন্য বেশি দূরে নাই।
-
গত পনেরো বছর সাহিত্য মারানোর নামে যত কাগজ খর্চা হইছে তার পুরাটাই ছিল অপচয়। ফি বচ্ছর একুশের বারোয়ারি বইমেলায় উৎপাদিত টন-টন কিতাবের সিংহভাগকে গার্বেজ হিসেবে ভাগাড়ে নিক্ষেপ করা যাইতে পারে।... এখন তাহলে থাকতেছে কী? থাকতেছে অতিকায় দেখতে এক উত্তেজনা। উত্তেজনার আবেশে ফ্যাসিবাদ বা ফ্যাসিস্ট আদতে কী জিনিস… ইত্যাদি গভীরচোখে বীক্ষণের পরিবর্তে বেহুদা লম্পজম্প সার হইতেছে কেবল। থাকতেছে গেলো পনেরো বছরে নেতিয়ে যাওয়া শিশ্নকে খাড়া করার কসরত। ... হাসিনা আমলে যেমন তাদের ভূমিকা শিশ্নপরায়ণ ছিল, ইউনূস আমলেও তাই। যারপরনাই ওই ড. ইউনূসকে নিয়া রোদ্দুর রায়ের খিস্তিভরা সার্কাজমে উগড়ে দেওয়া সংক্ষোভটাই প্রকট হইতে থাকে। যেইটা প্রকারান্তরে আমাদের কবিলেখকদের গালে চপেটাঘাতই বটে।
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধা করে উনি রায় দিয়া দিলেন। যেন চায়ের স্টলে বসে আমরা যেমন করি আর কি, যারে যা ইচ্ছা বলি, উনি এখন চাস্টলে বসে স্যাটায়ার মারাইতেছেন! প্রথমবার ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প আর এবারের ট্রাম্প এক বিষয় নাহে জনাব খালেদ মুহিউদ্দীন। এবার আপনার ওই আস্ত পশ্চিমা গণমাধ্যম তারে সিরিয়াস কেস হিসেবে নিতে বাধ্য হইছে। প্রথমবার যারা তারে জোকার সাজাইছিল এবার তারাই ট্রাম্পের সিগনিফিকেন্সকে নানা মাত্রায় বোঝার তালে আছে।