কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কর্মসংস্থানে বৈষম্য দেখা দেবে;- ইউভাল নোয়া হারারি অনেকদিন ধরে কথাটি বলে আসছেন। যেসব রাষ্ট্র সচেতন হবে না, বিকল্প কর্মসংস্থান ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে গড়িমসি করবে,- তাদের জন্য জুতার বাড়ি অপেক্ষা করছে। অ্যাভাটাারের সাহায্যে জুতা সেলাই থেকে চণ্ডিপাঠের কাজ অনেকে সারছেন এখন। অচিরে অডিও-ভিডিও পডকাস্ট থেকে আরম্ভ করে পর্ন সাইটে বায়বীয় যৌনমিলনের সবটা তাকে দিয়ে সারতে দেখব আমরা। কোডিং মুছে দিলে যার কোনো অস্তিত্ব নাই, এরকম বায়বীয় একটি বস্তু আমাদের মনোজগতে সত্তা হিসেবে ধীরে-ধীরে গুরুত্ব পেতে থাকবে। হারারি হয়তো এসব ভেবেটেবে ডিজিটাল এজ-এ অজৈবসত্তার বিপ্লব নিয়ে অনেক বছর ধরে বলে আসছেন।
-
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যার কোনো মন নাই বইলা আমরা বুঝতেছি এবং গাধার মতো খাটানো যাইতেছে ভেবে খুশি আছি,- মার্ভিন মিনস্কি তাতে জল ঢেলে নিদান হাঁকছেন,- মনহীন উপাদান যদি মানবমস্তিষ্কে মনকে সক্রিয় করতে পারে, তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অনুরূপ আইডিয়ার সাহায্যে মন উপহার দেওয়া সম্ভব।... মানুষ মাত্রই ভুল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্য এখনো যথেষ্ট নির্ভুল। আগামীতে এই ছবিখানা থাকবে না। আমাদের মতো ফট করে বলে বসবে : টু এরর ইজ এআই ম্যান। ভুল তোমার হয়, আমিও করছি নাহয়। এর জন্য চেতো ক্যান। খামোশ থাকো। কারেক্ট করতেছি নিজেকে।