• দেখা-শোনা-পাঠ

    প্রতুলকে বিদায় বলাটা যে-কারণে সম্ভব নয়

    এই-যে আশি-ঊর্ধ্ব জীবনে বেঁচে থাকলেন প্রতুল, আগাগোড়া নিজের বিশ্বাসকে ধারণ করে বাঁচলেন। গাইলেনও চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেওয়ার আগে অস্তক। তাঁর সঙ্গে শেষ শুদ্ধ বামপন্থী কি বিদায় নিলো ওপার বাংলায়? যদিও শেষ বয়সে তিনি মমতাপন্থী হয়ে উঠেছিলেন বলে অভিযোগ আছে কমবেশি। গায়কির মতো নিরাভরণ ছিল প্রতুলের দিনযাপন। সেখানে বামপন্থাকে তিনি কীভাবে দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে দেখার মধ্যে কী-কী নতুনত্ব যোগ হয়েছিল, আদৌ কতটা কী বিসর্জন দিয়েছিলেন অথবা দেননি... এসব নিয়ে চটজলদি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো আত্মঘাতী হবে। বিশ্বব্যাপী বামপন্থার মরণদশায় তাঁকে আসামি করে কী লাভ, সেও এক প্রশ্ন বটে!

  • সাম্প্রতিক

    পিনাকী কি বিপ্লবী?

    চে গাভেরার দাগানো বৈশিষ্ট্যকে যদি আমরা ল্যান্ডমার্ক ধরি তাহলে পিনাকীর মধ্যে বিপ্লবী গুণের উপস্থিতি কি পাইতেছি আমরা? পাইতেছি বইলা যদি মনে হয় তাহলে এর কোনটা কী পরিমাণে তার মধ্যে দৃশ্যমান? যেসব গুণকে চে গাভেরা আবশ্যক বইলা গণ্য করতেছেন, তার মধ্যে কোনটা এখন চোখে পড়ার মতো পিনাকীতে সক্রিয় বইলা ধরা যাইতে পারে? আর, কোনটা নাই বইলা ধরা সম্ভব? জানার আগ্রহ থাকতেছে। কেউ যদি যোগ করেন তাহলে ঋদ্ধ হইতে পারি।

  • সাম্প্রতিক

    চ্যাটজিপিটির তেলেসমাতি

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কর্মসংস্থানে বৈষম্য দেখা দেবে;- ইউভাল নোয়া হারারি অনেকদিন ধরে কথাটি বলে আসছেন। যেসব রাষ্ট্র সচেতন হবে না, বিকল্প কর্মসংস্থান ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে গড়িমসি করবে,- তাদের জন্য জুতার বাড়ি অপেক্ষা করছে। অ্যাভাটাারের সাহায্যে জুতা সেলাই থেকে চণ্ডিপাঠের কাজ অনেকে সারছেন এখন। অচিরে অডিও-ভিডিও পডকাস্ট থেকে আরম্ভ করে পর্ন সাইটে বায়বীয় যৌনমিলনের সবটা তাকে দিয়ে সারতে দেখব আমরা। কোডিং মুছে দিলে যার কোনো অস্তিত্ব নাই, এরকম বায়বীয় একটি বস্তু আমাদের মনোজগতে সত্তা হিসেবে ধীরে-ধীরে গুরুত্ব পেতে থাকবে। হারারি হয়তো এসব ভেবেটেবে ডিজিটাল এজ-এ অজৈবসত্তার বিপ্লব নিয়ে অনেক বছর ধরে বলে আসছেন।

  • সাম্প্রতিক

    ভিডুবকুনি ও কারসাজির ম্যাট্রিক্স

    অ্যান্ড্রু টেট হইতে সিলেটি ফাইভপিলারস... এনারা সকলেই পুঁজিবাদী বিকারে মোড়ানো সভ্যতায় নতুন উপজাত। তাদেরকে যারা তৈরি করে তারা হইতেছে আসল খেলোয়াড়। এখন তারা ম্যাট্রিক্স ছবির মরফিউস নাকি এজেন্ট স্মিথ তার কিনারা করা কঠিন। সহজ হলো এইটা ভেবে নেওয়া,- বাস্তবতা হইতেছে বিভ্রম। আমরা সবাই হয় লাল বড়ি নয়তো নীল বড়ি সমানে গিলতেছি। যে-বড়ি গিলি না কেন, একটা-না-একটা ম্যাট্রিক্সে নিজেকে বন্দি রাখতে আমরা বাধ্য। সেখানে ঢোকার পর যা দেখানো হয় বা হইতেছে... আমাদের জন্য সেইটা হলো বাস্তব! বাকিটা পুরাই অলীক।

  • সাম্প্রতিক

    পালনবাদের দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যার কোনো মন নাই বইলা আমরা বুঝতেছি এবং গাধার মতো খাটানো যাইতেছে ভেবে খুশি আছি,- মার্ভিন মিনস্কি তাতে জল ঢেলে নিদান হাঁকছেন,- মনহীন উপাদান যদি মানবমস্তিষ্কে মনকে সক্রিয় করতে পারে, তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অনুরূপ আইডিয়ার সাহায্যে মন উপহার দেওয়া সম্ভব।... মানুষ মাত্রই ভুল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্য এখনো যথেষ্ট নির্ভুল। আগামীতে এই ছবিখানা থাকবে না। আমাদের মতো ফট করে বলে বসবে : টু এরর ইজ এআই ম্যান। ভুল তোমার হয়, আমিও করছি নাহয়। এর জন্য চেতো ক্যান। খামোশ থাকো। কারেক্ট করতেছি নিজেকে।