• পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    ঝরা দীপশিখা

    বিদেশে অন্য কিছু বানাতে হতো তাকে। সেটি হতে পারত মালয়েশিয়ার জনজীবন। হতে পারত সেখানে বাস করতে থাকা বাঙালি সমাজ। অনেক কিছু হতে পারত বা সে করতে পারত, যদি যেত আরো কিছুদিন পর। এতো অল্প বয়সে একলা যাওয়াটা নিতে পারেনি ছেলেটি। সবাই সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। দীপের পক্ষে কঠিন ছিল পরিজনহীন বিদেশ-বাড়িতে নিজেকে অভ্যস্ত করা।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    বিট অ্যারাউন্ড দ্য বুশ!

    কুমার চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন। ভাববার মতো প্রশ্ন, তবে এর মধ্যে উঁকি দিচ্ছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পুরোনো বিরোধ;—যেখানে এরা আজো একজন আরেকজনকে বোঝা ও বিনিময়ের জায়গায় সবল দাঁড়িয়ে নেই। পাশ্চাত্য এখনো মোটাদাগে প্রাচ্যকে রোমান্টিসাইজ করে। নয়তো প্রাচ্যের ভাষা ও বয়নরীতির আগামাথা কিছু তারা ধরতে ও বুঝতে পারে না। ট্রাশ ভেবে বাতিলও করে হামেশা! প্রাচ্য আবার অনেকসময় অন্ধের মতো পাশ্চাত্য ন্যারেটিভকে নিজের ভাষায় ধার করতে যেয়ে অনুকরণে নিঃস্ব হয়। এটি সমস্যা। এবং এখানে এসে আমরা দেখি, দুই গোলার্ধ কমবেশি পুরাতনের পুনরাবৃত্তিতে অনেকটা নিঃস্ব।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    অসমাপ্ত লড়াই ও আহমদ রফিকের প্রস্থান

    ট্রাজেডিই বটে! নির্মম আমাদের ঔদাসীন্য! আহমদ রফিক স্বয়ং চিকিৎসক হলেও ডাক্তারিকে পেশা করেননি। রবীন্দ্র সাহিত্য ও ভাষা আন্দোলনে সকল শক্তি ব্যয় করেছিলেন। জীবনের শেষ বয়সে সেই মানুষটিকে চিকিৎসার খর্চা যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। একজন ভাষাসৈনিকের প্রতি রাষ্ট্র থেকেছে উদাসীন। তবু কী অনড় মনোবল ছিল তাঁর! রাষ্ট্রের কাছে কোনো কিছু প্রাপ্তির আশা ভুলেও করেননি আহমদ রফিক। শেষ বয়সে এসে হাসিনা সরকারের পতন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বুঝে নিতেও বিলম্ব হয়নি তাঁর। ফিরে-ফিরে ভুল আর অসমাপ্ত আন্দোলনের খেসারত দেখে-দেখে নিভে গেল আয়ু! আমরা কিছুই দিতে পারিনি তাঁকে! নির্মম অবহেলা ছাড়া!

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    কাঞ্চনজঙ্ঘা জুবিন

    এই জুবিন জীবদ্দশায় ফকিরির ভাও রপ্ত করেছিলেন। দূর ভবিষ্যতে সকল পরিচয় ছাপিয়ে ওই সন্ত-ফকির-দরবেশ রূপে মানুষ তাঁকে স্মরণ করবে ফিরেফিরে। মিথ এভাবেই তৈরি হয়, এমনকি সংকীর্ণতা ও বিভাজনের অন্ধকূপে নিমজ্জিত একুশ শতকেও!

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    জাফর ইকবাল তবে একমাত্র গতি এখন?

    ড. জাফর ইকবালের মধ্যে যেটি সবসময় ছিল ও আজোবধি রয়েছে, সেটি ওই বহুচর্চিত বাক্যটি মনে করায় : ল্যাঞ্জা ইজ ডিফিকাল্ট টু হাইড। হাসিনা পতনের তুঙ্গ মুহূর্তে যে-কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি অচেনা বলে সাব্যস্ত করেছিলেন। যেহেতু, তাঁর হিসাব অনেক আগে থেকে জানাচ্ছিল,— বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজাকারপন্থীতে ভরে গেছে।