বাংলাদেশের সীমানা ও সার্বভৌমত্ব অটুট থাকুক, এটি আমাদের একমাত্র চাওয়া। আমাদের বিদেশনীতির মধ্যে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটুক, কোনো ব্লকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কৌশলী হয়ে উঠুক এই নীতি;—ছোট্ট দেশটির জন্য এটুকু যথেষ্ট। কিন্তু পরিস্থিতি সেরকম কি? শেখ হাসিনার ওপর অতিমাত্রায় ভারত নির্ভরতার অভিযোগ ছিল। ইউনূস কার ওপর নির্ভর করছেন সে এক খোদা জানে! কমলা হ্যারিস ইলেকশনে ডাব্বা মেরে তাঁকে বড়ো বিপাকে ফেলে দিয়েছেন। মার্কিন সরকার আর জর্জ সোরসের পোষা খেলনাটি বোধহয় নিজের গন্তব্য ঠার করতে পারছেন না। এসব কার্যকারণে ভারত যদি হাসিনাকে বংলাদেশে পুনর্বাসিত করার ছক কষে থাকে, যাকে আমরা গুজব ধরে নিচ্ছি আপাতত,—আখেরে সেটি ঘটলে অবাক হওয়ার কারণ থাকবে না।
-
-
মনে করি ভুল হচ্ছে; আসলে যা হচ্ছে তা আমার কর্ম ছিল, যে-ব্যবহার আমার সাথে হচ্ছে তা আমি আরেকজনের সাথে করে এসেছি; অথচ মনে করছি ভুল হচ্ছে অঙ্ক? না, প্রকৃতির অঙ্ক ভুল হয় না। যা যা আমি হারিয়েছি, সব আমি ফিরে পেয়েছি শতগুণ বেশি করে; তবু সবাইরে জানান দেই—সূর্য দেখি না অনেক দিন। ... আজ ফেসবুকে দেখলাম বাচ্চারা একজন দেশপ্রধানের প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ করছে; দেখে শরীর যেন রক্তশূন্য মনে হচ্ছে, সারাটা শরীর কান্নায় ভেঙে পড়ছে, কারণ প্রকৃতির হিসাব এখন সামান্য কিছু বুঝি। আজকের এই দৃশ্য একজনের পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতি, আর বাচ্চারা তাদের হিসেব তুলে রাখছে হালখাতায়।
-
জুলাই আন্দোলনের মুখ্য এজেন্ডাগুলার মধ্যে রাজাকার জিকিরকে লেজিটিমেসি দেওয়ার এজেন্ডাকে সবচেয়ে সিগনিফিকেন্ট বইলা ধরা যাইতে পারে। একাত্তরের পর হইতে যে-ছাপ্পা উনাদের পিঠে অকাট্য ছিল, এখন সেইটা মুছে দেওয়ার উপলক্ষ তারা পাইতেছেন। কালক্রমে বিহারি কমিউনিটি হইতে উঠে আসা বুদ্ধিজীবী ফাহাম আবদুস সালামের মতো একাত্তর সনের মরণপণ জনযুদ্ধকে বিগ স্ক্যাম ও চব্বিশকে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা বইলা আবাল জাতির মগজে পুশ করতে অসুবিধা হবে না। ব্যাপার না, উনাদের সেবা দিতে তৎপর ব্রাত্য রাইসু তো বলেই ফেলছেন,- ফ্যাক্ট কোনো বিষয় না, ন্যারেটিভ বা বয়ান হইতেছে আসল। আপনি কীভাবে ন্যারেটিভ তৈয়ার করতেছেন তার উপ্রে ইতিহাস আপনারে গোনায় ধরবে।