ট্রাজেডিই বটে! নির্মম আমাদের ঔদাসীন্য! আহমদ রফিক স্বয়ং চিকিৎসক হলেও ডাক্তারিকে পেশা করেননি। রবীন্দ্র সাহিত্য ও ভাষা আন্দোলনে সকল শক্তি ব্যয় করেছিলেন। জীবনের শেষ বয়সে সেই মানুষটিকে চিকিৎসার খর্চা যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। একজন ভাষাসৈনিকের প্রতি রাষ্ট্র থেকেছে উদাসীন। তবু কী অনড় মনোবল ছিল তাঁর! রাষ্ট্রের কাছে কোনো কিছু প্রাপ্তির আশা ভুলেও করেননি আহমদ রফিক। শেষ বয়সে এসে হাসিনা সরকারের পতন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বুঝে নিতেও বিলম্ব হয়নি তাঁর। ফিরে-ফিরে ভুল আর অসমাপ্ত আন্দোলনের খেসারত দেখে-দেখে নিভে গেল আয়ু! আমরা কিছুই দিতে পারিনি তাঁকে! নির্মম অবহেলা ছাড়া!
-
-
ভাববাদের ভিত্তিভূমি ভারতীয় চিন্তায় এটি ছিল মারাত্মক হুমকি স্বরূপ ও বিপর্যয়ের শামিল। সুতরাং এ-ধরনের চিন্তার বিরোধিতা সকল দর্শনশাস্ত্রের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। চার্বাকপন্থীদের বিরোধিতা করে মূলত অত্র অঞ্চলের মহান ভাবুক-চিন্তক-দার্শনিকগণ নিজ দর্শনের বিস্তার ঘটিয়েছেন। .. এখন এই চার্বাক আসলে কারা? তারা কি কোনো ব্যাক্তিবিশেষ অথবা গোষ্ঠী? তাদের প্রচারিত মতবাদের মূল বক্তব্য কী? এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর ইতিহাস থেকে উদ্ধার করা খুবই দুরূহ। চার্বাক মতবাদকে খণ্ডন করতে গিয়ে বিরোধীরা যা বলছেন সেটি সেখানে একমাত্র উৎস, এছাড়া আর কিছু মিলছে না। তাদের ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন উপসংহারে পৌঁছানোর সমস্যা তাই যথেষ্ট গুরুতর।