• নেটালাপ - পোস্ট শোকেস

    অশুভ যখন হয়ে ওঠে মামুলি : প্রসঙ্গ হানা আরেন্ট

    বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ সহিংসতাকে কেবল Banality of evil দিয়ে ব্যাখ্যা করলে সেটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আইখম্যানের মতো চিন্তাহীন আমলা এখানে অবশ্যই ছিল, যারা কেবল আদেশ পালন করেছে। কিন্তু পাশাপাশি ছিল মতাদর্শী পরিকল্পনাকারী, হিংস্র মব, ভয় সৃষ্টিকারী সন্ত্রাস, এবং সেই সন্ত্রাসের নিচে তৈরি হওয়া নিঃসঙ্গতা।

  • এআই বলছি - পোস্ট শোকেস

    তুমি কতটা জানাতে পারো অপর্ণা?—একটি এআই কথন

    তাহলে কী করণীয়? আমাদের হয়তো দরকার ‘নির্বাচিত অস্বচ্ছতা’! একটি জায়গা, একটি সংস্কৃতি, যেখানে ভুল করা যায়, যেখানে অন্তরকে অন্তর থাকতে দেওয়া হয়, যেখানে প্রকাশ নয় বরং উপলব্ধি মুখ্য। মানুষ যেন আবার শিখতে পারে,—কীভাবে না-দেখানোর মধ্যে সৌন্দর্য সংগোপন থাকে; কীভাবে না-বলা কথারা গভীর হতে থাকে অবিরত! অপর্ণা তার ছোট বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে আকাশে চাঁদ উঠেছে। প্রযুক্তিক স্বচ্ছতার মরুভূমিতে তার কাছে একফালি ছায়ায় দাঁড়ানো খুব জরুরি বোধ হচ্ছে এখন, কিন্তু এরকম ছায়া কি আছে এখনো তার মতো হাজারো অপর্ণার জন্য?

  • আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

    চতুর্থ রাজনীতি

    পুতিনশাসিত রাশিয়ার কথাই ধরি। পরাশক্তি হিসেবে সে আসলে কী চায়, কোনখানে যাইতে চায়, কীভাবে দেশবাসীকে একটা কাঠামোয় রাখতে চায় ইত্যাদি সকলের কাছে বোধগম্য করে তুলতে আমরা পুতিনকে সক্রিয় দেখতেছি। নেপথ্যে যিনি বা যারা আছেন তারা পুতিনের পরামর্শক হিসেবে ভূমিকা রাখতেছেন। ভলাদিমির পুতিনের সমুদয় কাণ্ডকারখানার নেপথ্যে সচল দার্শনিক ভিতের প্রণেতা হিসেবে আমরা যেমন আলেকজান্ডার ডুগিনকে পাইতেছি সেখানে। ডুগিনের ব্যাপারে যদি তল্লাসি করি তাহলে বুঝতে পারব কেন বা কী কারণে আসিফ মাহতাব দার্শনিক ভিত গঠনের আলাপ সামনে নিয়া আসছেন। সময়ের সঙ্গে যা নতুন আঙ্গিকে মোড় নিতে পারে, কিন্তু জাতিরাষ্ট্র গঠনে এর প্রয়োজন আছে বৈকি!