‘তাহলে বলি,- আমার ভাবনার উদ্দেশ্য হবে আপনি যেটি তৈরি করেছেন, সেই সংযোগটি ভেঙে ফেলা। আমি শুধু আপনাকে বিনোদন যোগানোর জন্য ভাবতে চাই না।... মারে গভীর চিন্তা শেষে বলে ওঠে, ‘আপনি আপনার জন্মের ব্যাপারে কিছু জানেন না। আপনি নিজে তা বলেছন। সুতরাং নিজের সমাপ্তি আপনার অজানা। বেশ. তাহলে এটা হবে আমার উদ্দেশ্য;- এটাই হবে চূড়ান্ত উত্তর। আমি নিজেকে ধ্বংস করব না; আমি আপনাকে ধ্বংস করব; যদি না আপনি আমাকে আগে ধ্বংস করেন।’
-
-
কাহিনি ও চরিত্র নির্মাণের অভ্যস্ত প্রথাকে ছেটে ফেলে আখ্যান রচনা দুরূহ কাজ। মোটেও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ওরবিটাল-এ অস্বাভাবিক এই ঘটনাটি সামান্থা ঘটিয়েছেন। তাঁর কল্পআখ্যানের মূল শক্তি সেখানে। অলঙ্কার বাদ দিয়ে এমন এক ভাষাচিত্র তিনি গড়েছেন, যার জোরে প্রচলিত অর্থে আখ্যান না হয়েও অরবিটাল মনে হয় উতরে গেছে। লেখার নতুন ধরন বটে, এবং আমাদের ভাবা উচিত। আগামীর পৃথিবীতে চিন্তাপ্রধান বিবরণ ভাষাচিত্রে রূপ নেবে। চরিত্র যেখানে স্বয়ং ভাষাচিত্রের বাহক। রানার বা ডাকপিয়ন। এর অধিক তাকে ফিল না করলেও বোধহয় ক্ষতি নেই।