এখানে আবার দুটি ভাগ দেখতে পাচ্ছি। শওকত ওসমান, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আবু জাফর শামসুদ্দীন বা রশীদ করীম উইরোসেন্ট্রিক বয়ানের মধ্য দিয়ে নিজেকে মুসলমানের গৎবাঁধা সংজ্ঞা থেকে বের করে আনতে তৎপর ছিলেন। এর বিপরীতে ফররুখ আহমদ, সৈয়দ আলী আহসান, শামসুদ্দীন আবুল কালামরা ইউরোসেন্ট্রিক বয়ানে গমন করলেও মোডারেট অথবা সেকুলার মুসলিম হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাদের মনে কস্মিনকালে জন্ম নেয়নি। মুসলমান সমাজকে তাঁরা ধারণ করছেন এবং এর উজ্জীবনের নিশান ইসলামি জাতীয়তাবাদে দেখতে পাচ্ছিলেন বেশ। অদ্য যে-বিষয়টিকে মর্মান্তিক পর্যায়ের প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন গত তিন-চার দশকে দেখা দেওয়া কবিলেখকের দল। এই জায়গা থেকে ভাবলে আবু জাফর শাসুদ্দীনের পদ্মা মেঘনা যমুনার বয়ানবিশ্বকে তাঁরা হয়তো প্রত্যাখ্যান করবেন এখন।
-
-
ব্যথা এখনো টের পায় নাই উনি। যখন পাইবে নিজ দেহটারে ভৌতিক বোধ হবে। দেখবে, পেছনটা কারা জানি রক্তাক্ত করে দিছে। বেঁচে থাকাটারে তখন টুল ব্যান্ডের শব্দ ধার করে বলি,- হোলি গিফট ভাবাটা কঠিন মনে হবে উনার। বিগ প্লেয়ার জীবন ও দেহটারে নিয়া কতভাবে তামাশা করে সেইটা জানত বইলা গানের কথায় নির্বেদের আভাস আনছিল তারা। মাঠে বিগ প্লেয়াররা নামার টাইমে বাকিরা কিন্তু ফুটনোটে রূপ নিতে থাকে। মেসি-রোনালদো যদি মাঠে নামে তখন কী অন্য কারো দিকে তাকাইতে মন চাইবে? চাইবে না। এ-কারণে তারা GOAT। কাজেই মোজো ছেড়ে Taste the feeling পান করার সময় মনে হইতেছে আমাদের জন্য বেশি দূরে নাই।