সিলেটে অগ্নিশিখা ও মনোজ-র মতো কাগজের প্রয়োজনীয়তা আছে বৈকি। সমকালীন পরিস্থিতির নিরিখেও সাহিত্যিক তৎপরতায় বৈচিত্র্যমুখী হওয়াতে নেই ক্ষতি। সেইসঙ্গে ধারাবাহিকতাও গড়ে ওঠা দরকার। ছাপাসংখ্যার পাশাপাশি তারা যদি অনলাইনে সক্রিয় হতে পারেন, সেক্ষেত্রে ছোটকাগজের সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ হবে। সময়-উপযোগী হয়ে উঠবে অধিক। আমরা পুরাতনদের পাশাপাশি বেশি করে নবীন লেখকদের পড়তে চাই।
-
-
সিলেট অঞ্চলে বাউলা গান সিলসিলা কেন্দ্রিক নয়, বরং গ্রামীণ জনসমাজে সহজাত পন্থায় চর্চিত হওয়ার ঐতিহ্যে তা গরিয়ান। বাংলাদেশের যে-বিবর্তন এখন দেখছি আমরা, সেখানে এ-কথা ভেবে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে,—সিলেট অঞ্চলের আপামর শ্রেতাসাধারণ দীর্ঘকাল যেভাবে এই বাউল মহাজনদের গানকে স্বেচ্ছায় লালন ও ধারণ করেছেন, —সেটি আগামীতে কঠিন হতে চলেছে।
-
রাজ্জাক আসলে অতশত ভেবে গানখানা বাঁধেননি। প্রচলিত উপমা হিসেবে চণ্ডাল ও বেশ্যাকে নিয়েছেন আর কি! এটুকু বাদ দিলে গানটি মর্মস্পর্শী। বাউল, বিশেষ করে দেওয়ান ঘরানায় প্রচলিত হাদিসের প্রভাব বেশ গভীর। লালন, হাসন বা আমাদের সিলেটের বাউলরা বিস্ময়করভাবে এর থেকে মুক্ত।