ললিতা নামে কত গান আমরা মা-খুড়ির মুখে শুনি। কিন্তু কে সেই ললিতা কে জানে! এমনও হইতে পারে, গাঁও-গেরাম যে-মহিলারা গোপনে গান লেখে তারাই ললিতা! … অবাক হওয়ার কিছু নাই। গান লিখলে সাধনা লাগে, লেখাপড়া লাগে। তাই আগে গাঁয়ের সাধারণ মহিলারা গান লেখলেও লজ্জায় প্রকাশ করছেন না। শুনছি তারা নানাজনের নামে গান চালাইয়া দিছে। কি আর করবে বলো? গান তো গাইতে হইবো। নিত্য-নতুন এত গান পাইতো কই? না লিখে উপায় আছে!
-
-
কলিম খানরা এই ফাইট দিতে চেয়েছিলেন,—বাংলা বর্ণমালার একটি বর্ণও নিছক সিম্বলিক বা প্রতীকী নয়, যেমনটি আমরা ইংরেজি বা অন্য ভাষায় সচরাচর দেখে থাকি। প্রতিটি বর্ণ সুনির্দিষ্ট ক্রিয়া সম্পাদনের দায় মিটাতে গিয়ে উদ্ভুত হয়েছিল। সমাজে বর্ণগুলোর উৎপত্তি ও বিকাশ-বিবর্তন এই নিয়মছকে ঘটেছে। আজকে আমরা ধোপা বলছি, একসময় ধোপাও বলত না লোকজন;—তারা বলত ধোপ।
-
প্রথমত, ইন্টেলেকচুয়ালের পরিভাষা হিসেবে বুদ্ধিজীবী শব্দের ব্যবহার আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি কখনো। শব্দটির মধ্যে পরগাছাসুলভ ভাব বেশ তীব্র। বুদ্ধি বেঁচে জীবিকা নির্বাহে সম্পৃক্ত থাকায় শুরুতেই সংকীর্ণ একটি ভাব মনে চলে আসে। কলিম খানরা এখানে মনীষী শব্দটির ব্যাখ্যায় যে-অর্থে পৌঁছান, সেটি বরং আমার কাছে অধিক যৌক্তিক মনে হচ্ছে।