• নেটালাপ - পোস্ট শোকেস

    ‘ধোপা’ নিয়ে নেটালাপ

    কলিম খানরা এই ফাইট দিতে চেয়েছিলেন,—বাংলা বর্ণমালার একটি বর্ণও নিছক সিম্বলিক বা প্রতীকী নয়, যেমনটি আমরা ইংরেজি বা অন্য ভাষায় সচরাচর দেখে থাকি। প্রতিটি বর্ণ সুনির্দিষ্ট ক্রিয়া সম্পাদনের দায় মিটাতে গিয়ে উদ্ভুত হয়েছিল। সমাজে বর্ণগুলোর উৎপত্তি ও বিকাশ-বিবর্তন এই নিয়মছকে ঘটেছে। আজকে আমরা ধোপা বলছি, একসময় ধোপাও বলত না লোকজন;—তারা বলত ধোপ।

  • আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

    স্বত্ব ও স্বত্বহীন মহাভারত

    সমষ্টি এবং স্বত্ববিহীন রচনাপ্রক্রিয়াই কেবল মহাভারতের মতো আকরগ্রন্থ প্রসবের শক্তি রাখে। আমরা যে-যুগ বাস করি সেখানে এটা কোনোভাবে সম্ভব নয়। এমনকি অনেকজন মিলেও যদি এরকম কিছু লিখতে নামেন, দশকের-পর-দশ ধরে লেখনক্রিয়া জারি থাকে, একটা প্রসঙ্গের লেজ ধরে শত প্রসঙ্গ যুক্তও হয়, তথাপি মহাভারত সম্ভব নয়। যে-কালপর্বকে ধারণ করতে এই মহাগ্রন্থ বিরচিত, এবং সেখানে যেসব উপাদান সক্রিয়, তার মধ্যে ছিল মহাকাব্যিক ধ্রুপদি বিস্তারের সূত্র। অদ্য এর কমতি পড়ায় ওয়ার এন্ড পিস পর্যায়ের কিছু সৃষ্টি হইতে পারে, রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়াড, ওডিসি অথবা আরব্য রজনীর মতো সাহিত্য নাহি সম্ভব।