কথায় আছে, আগে পেট, তারপরে চেট। এখন পেটে ক্ষুধা রেখে প্রেম ও সেক্স কোনোটাই কাজ করবে না। অভাব যখন আসে, ভালোবাসা জানালা দিয়া পালায়;—প্রবচনটি মানুষ নিজের জীবন-অভিজ্ঞতা থেকে আবিষ্কার করেছে বৈকি। তবে এটি মানতে হবে,—পেটের খিদের মতো মানুষের মধ্যে প্রেমের বাসনা ও যৌনচাহিদা নিতান্ত মৌলিক। এমনকি অভাবের মধ্যেও যৌনরিপু মানুষকে ত্যক্ত করে মারে।
-
-
মানুষের কাছে দুর্নীতি ফ্যাক্টর হলেও পুঁজিবাদী সমাজবিকাশের প্রাথমিক ধাপে পা রাখার দিনে এসব রোধ করা সত্যি কঠিন। চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাস যদি হাতে নেই তাহলে দেখব,- উপনিবেশ বিস্তারের সুবাদে ইংল্যান্ডে শিল্পায়ন ও উন্নয়ন শুরু হলেও রাষ্ট্রের খোলনলচে তখনো সংহত রূপ পায়নি। অ্যানার্কি ব্যাপক ছিল। দারিদ্র্য ও বৈষম্যের বিপরীতে অর্থনীতির পুরোটাই সমাজের একটি স্তরে পুঞ্জীভূত ছিল। ডিকেন্স তার ছবি আঁকছিলেন কেবল। ইংল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা অবান্তর, তবে একুশ শতকে আমরা সামান্য মাত্রায় হলেও এরকম ট্রানজিশনের ভিতর দিয়ে যেতে আরম্ভ করেছিলাম। একে এখন ধরে রাখতে পারলে ভালোমন্দ মিলিয়ে একটা ফলাফল অবশ্যই আসত। এখন কী আসছে বা আসতে চলেছে তার বিষয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!
-
ফাল্লাচি দেখিয়ে গেছেন, এ্যাথিকাল জার্নালিজম মানে মিউ-মিউ টাইপের প্রশ্ন নয়, তার মধ্যে থাকতে হবে বারুদ। থাকতে হবে উসকানি। তাৎক্ষণিক সব মুহূর্ত, যা সাংবাদিক তৈরি করে নেবেন আসল মানুষটাকে সামনে আনতে। প্রভোকেটিভ জার্নালিজমের কারণে প্রচণ্ড বিতর্কিত ফাল্লাচি কিন্তু সাংবাদিকতার ডিকশন পাল্টে দিয়েছিলেন তখন। ফাল্লাচি বিশ্বাস করতেন একজন সাংবাদিক স্রেফ কোনো টেপরেকর্ডার নয়। তার নিজের একটি অবস্থান থাকতে হবে, এবং সেই অবস্থানটা অবশ্যই পরিবর্তনের স্বপক্ষে হবে। এবং, যে-সাংবাদিকের কোনো শত্রু নেই, সাংবাদিকতার বাইবেলে তাকে ভালো সাংবাদিক বলার কোনো মানে থাকে না। মতিউর রহমানের কাছে এটি আশা করা বাতুলতা।