অন্ধ এই Growth Compulsion—এর উৎস কী? হান বলছেন,—প্রবৃদ্ধির এই অন্ধপ্রেরণা আসে গভীর Ontological ভয় থেকে। আর তা হলো মরণের ভয়। পুঁজিবাদে মানুষ ধ্বংস হতে চায় না। ক্ষয়প্রাপ্ত হতে চায় না। হারিয়ে যেতে চায় না। অস্তিত্বকে সে তাই সঞ্চয়, উন্নয়ন ও অর্জনের মতো ন্যারেটিভে অবিনাশী রাখতে মরিয়া হয়। Capital is accumulated as a defence against death, against absolute loss.—পুঁজির মধ্যে মানুষ নিরাপত্তা খোঁজে; সে খোঁজে অমরত্ব! এটি তাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করবে;—এই বিশ্বাসে অধীর দেখায় তাকে।
-
-
সারসংক্ষেপ করলে প্রশ্নগুলো এমন : মার্কসের মানি ম্যানেজমেন্ট স্কিল দুর্বল, এপিকিউরিয়ানদের মতো ছিল তাঁর জীবন, সবসময় দেনার ওপর থাকত ইত্যাদি। দুর্বল মানি ম্যানেজমেন্টের কারণে সে বুর্জোয়াদের বিরোধিতা করেছে, ওদিকে জীবনযাপন করেছে বুর্জোয়া পরিবেশে। ছোটবেলা থেকে অগোছালো জীবনে অভ্যস্ত।মদ, সিগারেট টানত, আর গোসল করত না। মার্কসের আর্থিক অবস্থা যদি খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে এতোগুলো বাচ্চা নিলো কেন? তার ওপর অনেকে আধ্যাত্মিকতা আরোপ করে থাকেন অথচ বাস্তবে সে ছিল ভোগবাদী;—আধ্যাত্মিকতার লেশমাত্র তাঁর মধ্যে ছিল না... ইত্যাদি... ইত্যাদি। এখন এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর কি হয় আসলে? এভাবে বিচার করা কতটা যুক্তিসংগত?
-
একজন কবি কায়িক সক্ষমতায় দুর্বল হতে পারেন, কিন্তু মানসিক উৎকর্ষ ধারণ করে এরকম কবিতা রচনায় তিনি হয়তো পটু। এখানে তার শ্রমমূল্য কীভাবে নির্ধারণ করবে সমাজ? অন্যদিকে একজন কৃষক ধান উৎপাদনে যে-খাটনি দিচ্ছেন, সেখানে তাকেও জল-মাটি-আবহাওয়া-জলবায়ুর ব্যাপারে জ্ঞানী ও সৃজনশীল হতে হচ্ছে। তার শ্রমমূল্য ও সামাজিক মর্যাদা কীভাবে নিরূপিত হবে? প্রথমটির উৎপাদন মূল্য দ্বিতীয়টির থেকে ভিন্ন। দুটির উপযোগিতাকে নিছক শ্রমমূল্য দিয়ে কাজেই গড় করা কঠিন।... উন্নত সমাজে কবি অধিক শ্রমমূল্যই পান কবিতা লিখে, যা হওয়া উচিত নয়। কাজেই পুরো বিষয়টি বেশ জটিল ধাঁধার জন্ম দিতে থাকে। সমাজতন্ত্র বাস্তবায়িত হয়েছে এমন দেশেও যার সুরাহা ঘটতে আমরা দেখিনি।