সিলেটে অগ্নিশিখা ও মনোজ-র মতো কাগজের প্রয়োজনীয়তা আছে বৈকি। সমকালীন পরিস্থিতির নিরিখেও সাহিত্যিক তৎপরতায় বৈচিত্র্যমুখী হওয়াতে নেই ক্ষতি। সেইসঙ্গে ধারাবাহিকতাও গড়ে ওঠা দরকার। ছাপাসংখ্যার পাশাপাশি তারা যদি অনলাইনে সক্রিয় হতে পারেন, সেক্ষেত্রে ছোটকাগজের সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ হবে। সময়-উপযোগী হয়ে উঠবে অধিক। আমরা পুরাতনদের পাশাপাশি বেশি করে নবীন লেখকদের পড়তে চাই।
-
-
ওই-যে স্ল্যাবের চিপায় পা হড়কাচ্ছেন কবিবর, গোঁসাইকে বলতেছেন হাতটা ধরে তারে পুরীষস্তূপে পতিত হওয়ার হাত থেকে পরিত্রাণ করতে, কায়সারের কবিসত্তার এইটা হইতেছে মূল সুর। এবং আমাদের সকলের ক্ষেত্রে সুরটা প্রযোজ্য। আমরা তো আদতে টাবুলা রাসা ছিলাম বাহে। প্লেটোর গুহায় বন্দি ছিলাম। গুহার মধ্যে যা দেখছি সেইটা ছিল চেনা। তার বাইরে যা ছিল তার সবটা অচেনা। আমাদের মধ্যে প্রথম যে-পামর ঘটনাচক্রে গুহা থেকে বাহির হয় ও পরম বিস্ময়ে দেখতে পায় গুহার বাইরে আশ্চর্য এক জগৎ বহমান, সেইটা ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে বড়ো বিস্ময়! দাসত্বের শিকল কেটে মুক্ত হওয়ার প্রথম আলোসুর। অবিষ্কারটা পরে একইসঙ্গে সম্ভাবনা ও বিপর্যয় নিয়া আসে আমাদের জীবনে।