• দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    গানপারঘাটে সাত বছর

    পাঠআকালের মধ্যেও এই-যে গানপার নিরন্তর সক্রিয়, নানান ছাদের লেখায় ভরতি তার সংগ্রহশালা, সেখানে কবি ও গদ্যকার জাহেদ আহমদকে মাঝেমধ্যে ভীষণ একলা, একরোখা আর জেদি দেখায়! তিনি জানেন,- তাঁর এই খাটনির মূল্য পোড়াকপাল দেশে জুটবে না একরতি। কাল যদি গানপার নিজেকে নজরুলের মতো স্তব্ধ করে দেয়, কেউ তার কারণ জানতে চাইবে না। চাপ দেবে না ফেরত আসার।... মানুষটি ও তাঁর সহযোদ্ধারা এমন এক গানপারঘাটে বসে সাতটি বছর ধরে গানের খাতা বাঁধছেন আর বাঁধছেন; চারদিকে থই থই পানির সাগর, তবু হায় তার এক ফোঁটা মুখে তোলার নয়। সবটাই লবণাক্ত। পোড়ার দেশে লেগে থাকার এই হলো পুরস্কার! লবণাক্ত এই একরোখা লড়াকুদের তথাপি সেলাম।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    তাসনিফ জামান ও রোড ৩১

    গানের ভিত্রে ব্রায়ান শুরু থেকে ক্লিয়ার ছিল,- পাষাণীরে আটকানো যাবে না। এর জন্য নিজেকে দায়ী করতেছে সে। কিন্তু ওই যে চলে যাইতেছে, এইটা এখন বেচারা নিতে পারতেছে না। ভালোবাসা হয়তো এ-কারণে এতটা মর্মঘাতী! তাসনিফের উৎসর্গ এখানে ব্রায়ানস্বরে চলে যাওয়াকে মেনে নিলেও গানের প্রতিটা চরণে কাউন্টার জারি রাখে সে। কারণটা ওই অন্ধ চোখের উপমায় নিহিত। অন্ধকে যে আলো দিলো, সে যখন আলোটা ফেরত নিয়ে চলে যায় তখন নিজেকে অভিশপ্ত ভাবা ছাড়া উপায় থাকে না। তার জীবনে এরচেয়ে বড়ো প্রলয় আর নাই। তাসনিফের গায়কি এতটাই নিখাদ... ধাক্কাটা ভিত্রে গিয়া লাগে!

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    গুহাচিত্র ও প্রাগৈতিহাসিক মনোচাপ

    বস ওরফে মাতবরকে পেছন দিয়া দাঁড়ানো নারীর কারবার আরো ইন্টারেস্টিং। অ্যালান রেড্ডি সূক্ষ্ম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রায় ঠুকছেন,- নারীটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত। তার হাতে পাথরের টুকরা। উরুদেশ দিয়া রক্ত ঝরতেছে। কেন ঝরতেছে সেইটা অনুমান করা দুঃসাধ্য। ওইসময় কী ঘটছিল তার কিছুই আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। আগুন জ্বালাইতে না পারায় মাতবর হয়তো পুরুষটির সঙ্গে নারীকেও ঝাড়ছেন একচোট। মনের ঝাল মিটাইতে পাথরের টুকরা নিজ উরুতে ঘঁষে আগুন জ্বালানোর তালে আছে সে। নারী চিরকালের জেদি হাসিনা! এই ঘটনায় তা পুনরায় প্রমাণিত। মনের খেদ জুড়াইতে নিজেকে জখম করতেসে খামোখা।