• দেখা-শোনা-পাঠ

    ফিরে এসো চাকায় গায়ত্রীবাসনা

    ফিরে এসো চাকার পুরোটা আমি পাঠকের কাছে এক সাইকিজার্নি। বিনয়ের অবচেতন থেকে উঠে আসা প্রত্যাখ্যানের মর্মর উচ্চারণ ছিল এসব কবিতা। তার কতটা বাস্তবের কোনো গায়ত্রীকে ভেবে তিনি লিখেছেন, আর কতটা কল্পনায় গরিয়ান গায়ত্রীর জন্য নিবেদন, তার বিন্দুবিসর্গ অনুমানের সাধ্য আমার নেই। সে-আগ্রহ কখনো ভিতরে তীব্র হয়নি। তবু কেন মনে হচ্ছে,—এর সবটাই হে দেবী, কেবল তোমারে লক্ষ করে! বিনয়ের পক্ষে প্যাথলজিক্যাল লায়ার হওয়া সম্ভব নয় বলে পাগল হয়েছিলেন। বলা ভালো, ফিরে এসো চাকায় পাগলামির বীজ আগেভাগে বপন করেছেন কবি। কলম ফেটে বেরিয়ে এসেছিল এরকম স্তবকগুচ্ছ...

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    কোয়েলিয়া গান থামা এবার

    উর্দুভাষী বেগম আখতার বাংলায় কোয়েলিয়া যবে গাইলেন, এবং তাও জ্ঞানপ্রকাশের অধীনে,—সোনা হতে সময় লাগেনি। বগা তালেব এখন নতুন যুগের পরিবেশে গানটি গেয়েছেন। আখতারকণ্ঠে গীত গানের সঙ্গে এর তুলনা অনাবশ্যক। দুজনের গায়কি আলাদা। সময় পৃথক। কাজেই দুটির মধ্যে তুলনা সমীচীন নয় কোনোভাবে।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    জনপ্রিয় সংগীতের নন্দন-২

    জনপ্রিয় সংগীতে চোখে পড়ার মতো গুণগত ও মৌলিক পার্থক্য না থাকায় এর কোনো কেন্দ্রীয় বার্তা থাকে না। তবে জনপ্রিয় সংগীত যে-দার্শনিক দৃষ্টিকোণ ধারণ করে, এর ভিতর দিয়ে অর্থ-সামাজিক প্রবাহের চিত্রখানা পাওয়া যায়, এবং এ-কারণে তার প্রভাব বাড়তেই থাকে। আধুনিক পুঁজিবাদে বিচ্ছিন্নতাবাদের সমস্যাকে সে প্রকট করে তোলে। জনপ্রিয় সংগীতে নিহিত ক্ষণিক আনন্দ হলো বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে একধরনের মুক্তি। সত্যিকার তৃপ্তি দিতে না পারায় অবিচ্ছিন্ন একটি চক্রে মানুষকে সে বেঁধে ফেলে। ভোগ, বিচ্ছিন্নতা, বিরক্তি ও বিক্ষিপ্ততাকে যেটি কিনা প্রলোভিত করে ।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    গানপারঘাটে সাত বছর

    পাঠআকালের মধ্যেও এই-যে গানপার নিরন্তর সক্রিয়, নানান ছাদের লেখায় ভরতি তার সংগ্রহশালা, সেখানে কবি ও গদ্যকার জাহেদ আহমদকে মাঝেমধ্যে ভীষণ একলা, একরোখা আর জেদি দেখায়! তিনি জানেন,- তাঁর এই খাটনির মূল্য পোড়াকপাল দেশে জুটবে না একরতি। কাল যদি গানপার নিজেকে নজরুলের মতো স্তব্ধ করে দেয়, কেউ তার কারণ জানতে চাইবে না। চাপ দেবে না ফেরত আসার।... মানুষটি ও তাঁর সহযোদ্ধারা এমন এক গানপারঘাটে বসে সাতটি বছর ধরে গানের খাতা বাঁধছেন আর বাঁধছেন; চারদিকে থই থই পানির সাগর, তবু হায় তার এক ফোঁটা মুখে তোলার নয়। সবটাই লবণাক্ত। পোড়ার দেশে লেগে থাকার এই হলো পুরস্কার! লবণাক্ত এই একরোখা লড়াকুদের তথাপি সেলাম।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    গুহাচিত্র ও প্রাগৈতিহাসিক মনোচাপ

    বস ওরফে মাতবরকে পেছন দিয়া দাঁড়ানো নারীর কারবার আরো ইন্টারেস্টিং। অ্যালান রেড্ডি সূক্ষ্ম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রায় ঠুকছেন,- নারীটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত। তার হাতে পাথরের টুকরা। উরুদেশ দিয়া রক্ত ঝরতেছে। কেন ঝরতেছে সেইটা অনুমান করা দুঃসাধ্য। ওইসময় কী ঘটছিল তার কিছুই আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। আগুন জ্বালাইতে না পারায় মাতবর হয়তো পুরুষটির সঙ্গে নারীকেও ঝাড়ছেন একচোট। মনের ঝাল মিটাইতে পাথরের টুকরা নিজ উরুতে ঘঁষে আগুন জ্বালানোর তালে আছে সে। নারী চিরকালের জেদি হাসিনা! এই ঘটনায় তা পুনরায় প্রমাণিত। মনের খেদ জুড়াইতে নিজেকে জখম করতেসে খামোখা।