পুতিনশাসিত রাশিয়ার কথাই ধরি। পরাশক্তি হিসেবে সে আসলে কী চায়, কোনখানে যাইতে চায়, কীভাবে দেশবাসীকে একটা কাঠামোয় রাখতে চায় ইত্যাদি সকলের কাছে বোধগম্য করে তুলতে আমরা পুতিনকে সক্রিয় দেখতেছি। নেপথ্যে যিনি বা যারা আছেন তারা পুতিনের পরামর্শক হিসেবে ভূমিকা রাখতেছেন। ভলাদিমির পুতিনের সমুদয় কাণ্ডকারখানার নেপথ্যে সচল দার্শনিক ভিতের প্রণেতা হিসেবে আমরা যেমন আলেকজান্ডার ডুগিনকে পাইতেছি সেখানে। ডুগিনের ব্যাপারে যদি তল্লাসি করি তাহলে বুঝতে পারব কেন বা কী কারণে আসিফ মাহতাব দার্শনিক ভিত গঠনের আলাপ সামনে নিয়া আসছেন। সময়ের সঙ্গে যা নতুন আঙ্গিকে মোড় নিতে পারে, কিন্তু জাতিরাষ্ট্র গঠনে এর প্রয়োজন আছে বৈকি!
-
-
সিডাকশন বা প্রলোভন বস্তুটি আসলে কেমন? আমরা কেন প্রলোভিত হই? মানবজীবনে প্রলোভনের ইতিবাচক কোনো ভূমিকা আছে কি? যদি থাকে তাহলে কীভাবে বুঝব কোনটি ভালো আর কোনটি পরিহার করা উচিত? বিচিত্র সব প্রলোভন রপ্ত করার কৌশল কেমন হতে পারে,- যেগুলো কিনা একজন মানুষকে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ, আকর্ষণীয় ও সফল করতে ভূমিকা রাখে? ... প্রলোভন মানে খারাপ বা ক্ষতিকর এরকম ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। রবার্ট গ্রিন সেই ছকে বইটি লিখেছেন। বাস্তবজীবনে মানুষ তার নিজের ভিতরে প্রলোভনকে যেভাবে সক্রিয় হতে দেখে, তার সঙ্গে ছকটি মিলে যাওয়ার কারণে গ্রিনকে তারা লুফে নিয়েছিল। বইটির তুলকালাম সাফল্যের এটি মনে হচ্ছে বড়ো কারণ।