• ছবির অন্তরালে

    ইরার উড়ান

    এখন দুইহাজার পঁচিশ চলে। রাহমান তাঁর কবিতাটি ইরাকে উৎসর্গ করবেন বলে মনস্থির করেছেন। ঘুরছেন ঢাকা শহর।... কবি দেখলেন,—রাজু ভাস্কর্যে ইরা ঝুলছে। ধর্ষিতা ব্যালেরিনা আসাদের রক্তমাখা শার্টের মতো হাওয়ায় পতপত করে উড়ছে যেন! সব অবিকল ঊনসত্তর! প্রতিটি দরজা কাউন্টার কনুইবিহীন! তবু তা ঊনসত্তর নয়। না তাকে দুইহাজার বাইশ বলা যায়! ইরা সেদিন মুক্তির আনন্দে শরীর ভাসিয়ে দিয়েছিল হাওয়ায়।

  • ছবির অন্তরালে

    কাবুল দেশের শরবত গুলা

    মনে-মনে ঠিক করে ফেলি, এই ছবিটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হবে। শরবত গুলাকে আপাতত কাবুলিওয়ালার মেয়ে বলে চালিয়ে দেবো। অদ্ভুত এই মুখচ্ছবিতে তার কৌতূহল হয়তো কিছুটা হলেও কমবে। অনেকগুলো ছবি থেকে ভালো দেখে একটি প্রিন্ট দিয়ে ঘুমাতে যাই।

  • ছবির অন্তরালে

    প্রস্থানবিন্দুর পর

    এই প্রথম সে বুঝতে পারছিল তাকে দিয়ে ঘটনা ঘটানো হচ্ছে এবং এছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন। অনতিউচ্চ টিলা যেমন বলতে পারছে না, সে কেন পৃথিবীতে জায়গা দখল করে রেখেছে? তার পক্ষেও বলা সম্ভব নয় কী কারণে তাকে ঠিক তাই এবং তাই করতে হবে যা সবাই করছে! সুতরাং এটি অনিবার্য ছিল, কোনো একদিন তার নিজেকে সে সন্দেহ করতে বাধ্য হবে। তার মনে হবে,- সে একটি প্রস্থানবিন্দুর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং সমতলের মাটি চোরাবালি হয়ে তাকে নিচে টানছে। নিমিষে বুঝে ফেলবে, এইটে হচ্ছে সেই বিন্দু যেখানে একবার প্রবেশ করতে পারলে আর ফেরত আসা যায় না।