ফিরে এসো চাকার পুরোটা আমি পাঠকের কাছে এক সাইকিজার্নি। বিনয়ের অবচেতন থেকে উঠে আসা প্রত্যাখ্যানের মর্মর উচ্চারণ ছিল এসব কবিতা। তার কতটা বাস্তবের কোনো গায়ত্রীকে ভেবে তিনি লিখেছেন, আর কতটা কল্পনায় গরিয়ান গায়ত্রীর জন্য নিবেদন, তার বিন্দুবিসর্গ অনুমানের সাধ্য আমার নেই। সে-আগ্রহ কখনো ভিতরে তীব্র হয়নি। তবু কেন মনে হচ্ছে,—এর সবটাই হে দেবী, কেবল তোমারে লক্ষ করে! বিনয়ের পক্ষে প্যাথলজিক্যাল লায়ার হওয়া সম্ভব নয় বলে পাগল হয়েছিলেন। বলা ভালো, ফিরে এসো চাকায় পাগলামির বীজ আগেভাগে বপন করেছেন কবি। কলম ফেটে বেরিয়ে এসেছিল এরকম স্তবকগুচ্ছ...
-
-
বিশ্বাসী মানেন বা না-মানেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে মিথ প্রসূত বিষয়াদির সংযোগ নিবিড়। মিথ নিজে হইতেছে এমন একখান কারণ যেইটা প্রকারান্তরে ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্মকারণ। আবার মিথ কিন্তু Indoctrination বা ভাবাদর্শ বা মতাদর্শে অতটা ঘনীভূত না। যারপরনাই ধর্মীয় বিশ্বাস যখন পরিষ্কার ভাবাদর্শ বা মতাদর্শ-এ পরিণত হয় তখন সেইটা আবার তার গা থেকে সকল মিথকে অপসারিত করতে চায়। অলৌকিককে সে তখন Etiology বা কারণবাদের এমন এক প্রস্তাবনায় একীভূত করে, যার আভাস ভারতীয় দর্শনে গেলে আপনি ভালোমতন পাইতেছেন। ... জসোয়া দি পাওলোর গোছানো আলোচনায় এই দিকটি আরো উদাহরণ সহকারে আসলে পাঠকের উপকার হইত।