• পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    হাওরজীবন-২ : চেনা গান অচেনা গীতিকার — সজল কান্তি সরকার

    ললিতা নামে কত গান আমরা মা-খুড়ির মুখে শুনি। কিন্তু কে সেই ললিতা কে জানে! এমনও হইতে পারে, গাঁও-গেরাম যে-মহিলারা গোপনে গান লেখে তারাই ললিতা! … অবাক হওয়ার কিছু নাই। গান লিখলে সাধনা লাগে, লেখাপড়া লাগে। তাই আগে গাঁয়ের সাধারণ মহিলারা গান লেখলেও লজ্জায় প্রকাশ করছেন না। শুনছি তারা নানাজনের নামে গান চালাইয়া দিছে। কি আর করবে বলো? গান তো গাইতে হইবো। নিত্য-নতুন এত গান পাইতো কই? না লিখে উপায় আছে!

  • নেটালাপ - পোস্ট শোকেস

    ‘ধোপা’ নিয়ে নেটালাপ

    কলিম খানরা এই ফাইট দিতে চেয়েছিলেন,—বাংলা বর্ণমালার একটি বর্ণও নিছক সিম্বলিক বা প্রতীকী নয়, যেমনটি আমরা ইংরেজি বা অন্য ভাষায় সচরাচর দেখে থাকি। প্রতিটি বর্ণ সুনির্দিষ্ট ক্রিয়া সম্পাদনের দায় মিটাতে গিয়ে উদ্ভুত হয়েছিল। সমাজে বর্ণগুলোর উৎপত্তি ও বিকাশ-বিবর্তন এই নিয়মছকে ঘটেছে। আজকে আমরা ধোপা বলছি, একসময় ধোপাও বলত না লোকজন;—তারা বলত ধোপ।

  • আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

    বাধ্য বনাম অবাধ্য ভাষা

    ফ্যাসিজম আদতে যমরাজ হয়ে মানুষের উপ্রে নিজের কাজবাজ চালাইতে থাকে। কাজেই এখানে ইজম-এ নিহিত প্রতীকী অর্থটারে ভাঙতে ফ্যাসিযম লেখা যাইতে পারে। যম কে বা কী-কারণে তার এহেন নামকরণ, সেইটা হয়তো কলিম খান ও রবি চক্রবর্তী জীবিত থাকলে ঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারতেন, তবে যম শব্দের ক্রিয়াভিত্তিক বুৎপত্তি বাদ দিলেও হিন্দু পুরাণের সুবাদে তার যে-বয়ান আমরা জানি, সেখান থেকে তার কাজের ধারা ভালোই ঠার করা যায়। সুতরাং ফ্যাসিজম নয়, আমরা অনায়াস লিখতে পারি ফ্যাসিযম। জুকারবার্গের অ্যালগরিদমকে এই ব্যাপারে ইনপুট দিলে তখন আবার শব্দটাকে ধরবে সে। অসুবিধা নাই, ফ্যাসিযম-এর মাঝখানে গাণিতিক অথবা অন্য চিহ্ন বসিয়ে নতুন অপিরিচিতকরণে আমরা যাবো তখন।