তাঁর কবিতায় নিশ্চয় এমন কোনো দ্রবগুণ রয়েছে, যে-কারণে বিশ্বের শতাধিক ভাষায় দ্য প্রফেট অনূদিত ও পঠিত হয়ে চলেছে! পাশ্চাত্যে মাওলানা রুমির পরে তিনি সম্ভবত সর্বাধিক পঠিত কবি। রুমির চেয়ে বেশিও হতে পারেন। এতো মানুষ যাঁর কবিতা পড়ছেন, সে তো এমনি-এমনি নয়;—নিগূঢ় ব্যঞ্জনা ও বোধির সাক্ষাৎ মিলছে দেখে পাঠ করছেন তাঁকে। এমন কোনো সান্ত্বনা হয়তো কাহলিল জিবরান মানুষকে দিতে পেরেছেন, যেটি প্রেমের দিকে, মানবিক বিভূতির দিকে, চিরন্তন মানবিক আভার দিকে মানুষকে ফেরত আসতে বলে।
-
-
পথের সারার্থ সময়ের সঙ্গে রং পালটায়। আমরা যেমন নিশ্চিত নই এখন,—বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের কোথায় দাঁড়িয়ে ঠিকঠাক! আমরা কি তাহলে রবার্ট ফ্রস্টের মতো দুই পথের মিলনস্থলে দাঁড়িয়ে? নাকি, জেমসের লেখা ও রককণ্ঠে ধ্বনিত একমুখী কোনো পথের সামনে আছি দাঁড়ানো? কেবল মনে হচ্ছে,—যে-পথেই দাঁড়িয়ে থাকি-না-কেন, সেই পথটি হতে চলেছে অন্তহীন কষ্ট ও হতাশার! ঈশ্বর জানেন,—অন্তবিহীন কি আছে/ এই পথের শেষে...।
-
বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি দিয়া কিন্তু দ্য রোড নট ট্যাকেন কবিতার শুরুয়াত। পরবর্তী স্তবকগুলায় যোগ হইতেছে অতৃপ্ত হাহাকার। ফাঁদ থেকে বের হইতে কবি নিজেকে বোঝান,- দুইটা পথই ঝাক্কাস! একটা বেছে নিতে হবে তাঁকে। জনচলাচল যে-পথে অল্প, কবি সেইটা বেছে নিতেছেন। মনে অবশ্য সংশয়,- বেছে তো নিলাম ঠিক আছে,- ফেরত আসতে পারব তো? জুয়ার দান কবি খেলতেছেন এইবেলা। যে-পথে জনচলাচল আছে সেইটা তুলানমূলক নিশ্চিত ছিল তাঁর জন্য। জনবিরল পথ বেছে নেওয়ায় কপালে লক্ষ্মী জুটতে পারে, আবার ঝাঁটার বাড়িও বিচিত্র নহে। কুছ পাতা নাই কী আছে নসিবে!