নীরবতা ভোট দেয়— আঙুলে নীল কালি, মুখে স্থবির আস্থা। আর আমরা বিশ্বাস করি— পরিবর্তন আসবে, একদিন, যেন ঘড়ির কাঁটা হঠাৎ বিপরীত দিকে ঘুরবে।
-
-
হোসনে আরা কামালীর কবিতা কখনও যেন শূন্যে আলো ফেলার মতো—নিঃশব্দ অথচ দীপ্তিমান। তিনি নির্মাণ করেন এক গভীর সংবেদনশীল প্রতীকময় কবিতাভুবন।... নিকট থাকো বৃক্ষ এক আত্মগভীর যাত্রাপথের পথিকসঙ্গী। জীবনের পরতে-পরতে জমাটবাঁধা স্মৃতি-বিস্মৃতি, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিরহ কামালীর কবিতায় ফুটে ওঠে শরত-প্রভাতে শাপলাবিলের মতোই। একজন সমাজচিন্তকের ভাবনারাশিও তাঁর কবিতা-অক্ষরে জ্বলজ্বল করে। পাঠক-হৃদয়ে তারা বুনে দেয় নিকটতার বৃক্ষ। এই বৃক্ষ ছায়া দেয়, বাতাস দেয়, কখনও-বা কাঁপে নিঃশব্দ।
-
জল সেতো অনন্তেই গেছে পাশে কেউ নেই চিরদিন দেখা নেই চিরদিন দূরে দূরে চিরদিন সন্ন্যাস
-
মনে রেখো বই পড়বার মতো কিছু না তাকে সাজিয়ে রেখে তৃপ্তি অর্জন প্রদর্শন বা বিক্রি কোনটাই না বইয়ের ভেতরকার আকাঙ্ক্ষা খিদে রক্ত বিষ যন্ত্রণা নিজের ভেতর অনুভব করতে পারাটাই আসল
-
আমি চুপচাপ চেয়ে থাকি নিষ্পলক মহিষদের চোখের দিকে—তারাও আমাকে দেখে পরম মমতায়। গভীর রাত। চারদিকে জলের নীরবতার পাশে বসে হঠাৎ বাঁশি হাতে নেয় ব্যাংকার ফয়সাল হাবিব। আমি চমকে উঠে দেখি আমাদেরকে ঘিরে আছে হাজার হাজার মহিষ... ভয়ে, বিস্ময়ে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। বন্ধুরে জিগাই—এতো মহিষ এখানে আসল কীভাবে! সে বাঁশি বাজানো থামিয়ে বলে—ওরা আশেপাশের বাথানেই থাকে। মাঝেমধ্যে আমাকে দেখতে আসে। বাঁশির সুর ওদের খুব পছন্দ।