• দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    ওহ কাশ্মীর!

    কাশ্মীর ও শাংগ্রিলার মতো স্থানবিবরণী ছুঁয়ে যাচ্ছে তারা, এবং এখন একে অবাস্তব ও উদ্ভট ভাবতে শ্রোতাকে বাধ্য করছে একপ্রকার! হিমালয় উপত্যকার একাংশ জুড়ে ছড়ানো কাশ্মীরে বরফঝড় হয় ঠিক আছে,—ধূলিঝড়েরর খবর অজানা! মরক্কোয় বরং সেটি স্বাভাবিক ঘটনা। গানের কথায় ছোকরাদল মরক্কোকে অবলীলায় পাঠিয়ে দিচ্ছে কাশ্মীর! অন্যদিকে তিব্বতে নাকি শাংগ্রিলা নামে এক স্থান থাকতে পারে বলে অনেকে মত দিয়ে থাকেন। বাস্তবে তার সাক্ষাৎ ইয়েতিমানবের মতো বিমূর্ত অতিকল্পনায় ভরপুর। ছোকরাদল গানের ভাঁজে শাংগ্রিলাকে রেখেছে গোপন।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    মানব স্বভাবী চন্দ্রগ্রস্ত গায়ক

    বাংলাদেশ তথা সমগ্র উপমহাদেশ মাইকেল জ্যাকসনের গায়কি ও তার গানে নিহিত বারুদমাখা ভালোবাসার আবেদন লোকজনের ভিতরে আদৌ পৌঁছায়নি। বিদেশি গানবাজনা শুনতে ভালোবাসেন এমন শ্রোতা-দর্শক-সমালোচক তাঁর গানের ব্যবচ্ছেদে কখনো উৎসাহও বোধ করেননি। এমনকি মিউজিশিয়ানরা জ্যাকসনগানে উচ্ছলিত জীবনবেদকে পাখির চোখ করে দেখার তাড়না বোধ করেননি কোনোদিন। যার ফলে অন্যান্য গায়কদের তুলনায় উপমহাদেশে জ্যাকসনের প্রভাব বিশেষ নেই।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    এক পপ কুইনের বইয়ের জগৎ

    সেলেবদের বুক ক্লাব, অস্বীকার করা যাবে না, তথাপি একটি পণ্যমূল্য ও বাজার তৈরির ভাবনা মাথায় রেখে জন্ম নিয়েছে। এটি একজন সেলিব্রিটিকে বাকিদের চোখের সামনে রাখছে সবসময়। ডুয়া লিপার বুক ক্লাবটিও ব্রান্ডিংয়ের প্রয়োজন মেটাচ্ছে সেখানে, তবে বাকি সেলেবদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এর চরিত্র।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    ফিরে এসো চাকায় গায়ত্রীবাসনা

    ফিরে এসো চাকার পুরোটা আমি পাঠকের কাছে এক সাইকিজার্নি। বিনয়ের অবচেতন থেকে উঠে আসা প্রত্যাখ্যানের মর্মর উচ্চারণ ছিল এসব কবিতা। তার কতটা বাস্তবের কোনো গায়ত্রীকে ভেবে তিনি লিখেছেন, আর কতটা কল্পনায় গরিয়ান গায়ত্রীর জন্য নিবেদন, তার বিন্দুবিসর্গ অনুমানের সাধ্য আমার নেই। সে-আগ্রহ কখনো ভিতরে তীব্র হয়নি। তবু কেন মনে হচ্ছে,—এর সবটাই হে দেবী, কেবল তোমারে লক্ষ করে! বিনয়ের পক্ষে প্যাথলজিক্যাল লায়ার হওয়া সম্ভব নয় বলে পাগল হয়েছিলেন। বলা ভালো, ফিরে এসো চাকায় পাগলামির বীজ আগেভাগে বপন করেছেন কবি। কলম ফেটে বেরিয়ে এসেছিল এরকম স্তবকগুচ্ছ...

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    হেটামারানি জীবন ও তারাপদ রায়ের কবিতা

    নিজের লেখা কবিতায় এক বন্ধুর কথা স্মরণ করছেন কবি। তার নাম ছিল শত্রুজিৎ। কার এখন ঠেকা পড়েছে তাকে শত্রুজিৎ নামে ডাকার! শত্রুজিৎ না ডেকে সবাই তাকে সংক্ষেপে শত্রু নামে ডাকা শুরু করেছিল। কাউকে বোঝানোর উপায় থাকল না,—শত্রুকে জয় করার বাসনায় বাপমা তার নাম শত্রুজিৎ রেখেছিল। আদিনাম বেচারা নিজেও ভুলে গেল বেমালুম। জীবন হচ্ছে এরকম তামাশার নাম। তাকে জয় করতে নেমে উলটো নিজেই শত্রু বনে যেতে হয়! সহজসরল প্রবচনঘন আবেশ মিশিয়ে জীবন নামের তামাশাকে নিরন্তর লিখে গেছেন তারাপদ রায়। সহজ কথা যায় না লেখা সহজে;—রবি ঠাকুরের কথাকে তিনি মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। গভীর কথাকে সহজ করে লিখেছেন আজীবন।