জীবনানন্দ দাশের টেক্সটের একটি যৌথ মালিকানা কিন্তু এভাবে তৈরি হচ্ছে এখানে! তাঁরা দুজন একই শেয়ারিং ক্লাউডে বিরাজ করছেন এখন। অনুভবটি মনে আসত না, যদি দেখা যেত,—জীবনানন্দ দাশের রেখে যাওয়া বিশ্বে নিজের বিশ্বটি তিনি সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা তখন একে নকল বা প্রভাবদুষ্ট বলে দিতাম সরাসরি। ঝুঁকিটি হেলাল ভাই উতরে গেছেন মোটামুটি।
-
-
সৃষ্টি এখানে কেবল তাঁর অনন্যনির্ভর গুণের বিচ্ছুরণ। আলাদা করে এক-একটি গুণের সাহায্যে স্রষ্টাকে দায়বদ্ধ চিহ্নিত করা স্বয়ং তাঁর একত্বের বরখেলাফ। মানব জগতে ভালোমন্দ যা কিছু ঘটছে, এর সঙ্গে তাঁকে জড়িত করা যুক্তিসংগত নয়। তিনি হলেন আবশ্যিক অনন্যতা;—যেখান থেকে সৃষ্টির সূচনা ও বিস্তার ঘটছে। এই শর্তের বাইরে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই।
-
মানুষ জন্মদোষে গোল্ডফিশ। তার সভ্যতাযাত্রা মানে হইতেছে মহা বিস্মরণের পানে যাত্রা। বিস্মরণে সহজাত হওয়ার কারণে সে নিষ্পাপ। শত হাজার আউশভিৎস, অগণিত গণকবরকে নিমেষে বিস্মৃত হয়ে কবিতা লিখতে পারে। সকল হত্যা ও নারকীয়তা তার কাছে মমিকরা তুতেনখামেন। তুতুনেখামেনকে সে তাই আদর জানাইতে চুম্বন করে। মৃত ফারাওর মুখচুম্বনের ক্ষণে তার দেহে দ্যুতি দেখা যায়। বড়ো সুন্দর দ্যুতি! যেমন সুন্দর তার এই অনায়াস রোমন্থন,- ওল্ড ইজ অলওয়েজ গুড। এখন যেমন আছি তারচাইতে তখন ভালো ছিলাম;- এই বিস্মরণ ছাড়া তার পক্ষে মানুষ থাকা সুকঠিন।