প্রাচ্যে এই গুরুবাদী পন্থা মানুষকে ক্রমে যুক্তিবিরহিত মিথপূজারী করে তুলেছে। জাগতিক সংকটকে যে-কারণে সুফি ও মাজারপন্থীরা এখন আর মোকাবিলার শক্তি রাখেন না। সময় যত যাবে, তাদের এই জীবনধারা তাদেরকে মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপে রূপান্তরের সম্ভাবনা তৈরি করবে। সুফিকেও জীবনবাদী হতে হয়। তার মধ্যে সৃষ্ট ইশকের লহর যদি সমাজকে প্রভাবিত করতে না পারে, ভালোবাসার প্রয়োজনকে অমোঘ করে তোলার শক্তি না ধরে, প্রেমের প্রচারে শহিদ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে অগ্রসর হতে না পারেন, অন্যায়ে জড়োসড়ো থাকেন, ভক্তিরস ও কাওয়ালে নিরাময় খোঁজেন কেবল... এগুলো তাকে প্রকারান্তরে পলায়নবাদী করে তোলে।
-
-
সকল প্রকার সংকীর্ণতা ও কূপমুণ্ডুকতার বিরুদ্ধে শানিত তলোয়ার হিসেবে রবীন্দ্র সাহিত্য ও গানকে ব্যবহার করেছেন সন্জীদা খাতুন। তাঁর এই রাবীন্দ্রিকতা তাদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে, যারা এরকম ভাবছেন,— মুসলমান হিসেবে একজন মানুষের বিদায়যাত্রা ইসলামি আচার মেনে সম্পন্ন হওয়া উচিত ছিল। কলেমা পড়ে শেষ নিঃশ্বাস তিনি ত্যাগ করতে পারতেন। সন্জীদা ওভাবে বিদায় নিতে ইচ্ছা করেননি। কেন করেননি সেটি বরং অগে অবধান করা প্রয়োজন।