অতীতে এই আলাপ হয়েছিল বটে,—জীবনানন্দের টেক্সটকে প্রায় অবিকল ব্যবহার করে কবি ধরতে চাইছেন সেই সুর, যেটি এই সময়ে ঘনীভূত অন্ধকারের ওপর আলো ফেলবে। আমাদের মনের মাটিতে এভাবে জীবনানন্দের উসিলায় প্রতিভাত হবে ঘনিয়ে আসা অমাবস্যার দিনলিপি;—যেটি এখন চলছে, এবং এর অবসান কবে ঘটবে তা আপাতত সকলের অজানা।
-
-
ভারত ও পাকিস্তানে রাগ সংগীত আশ্রিত অঞ্চলে সুফিপদে বাঁধাই গানের প্রভাব গভীর। আমাদের এখানে তার আবেদন শেষাবধি আগন্তুকের। চর্চা কম হয়নি এ-পর্যন্ত, কিন্তু প্রভাব শিকড় ছড়াতে যেয়েও গভীর হতে পারেনি। এর একটি কারণ হয়তো এখানে নিহিত-যে, সুফি কাওয়াল ঘরানার গানে হিন্দুস্তানি রাগ সংগীতের সহজাত অধিকার বাংলায় এসে খেইতাল হারিয়েছে।
-
দুখভরা জীবনে পাতা তোলার কাম যেন নেশা! কিন্তু তা আর থাকছে কোথায়! একশো কাজে তাদেরকে লাগায় বাগান বাবু আর ম্যানেজার। তনখা সামান্য। রেশন পর্যাপ্ত নয় আজো। আছে অনাদর অবহেলা আর বঞ্চনা। এখন সে কোনমুখে মরদকে বলবে, তুমি বাপু পাতি তোলা এক শিল্পীকে বিহা করতে যাচ্ছো। যতনে যদি রাখতে পারো, তবে সে বিয়া বইবে।
-
গানের মতো প্রচণ্ড সৃষ্টিশীল যজ্ঞে মানুষকে টেক্কা দিতে যন্ত্রের অ্যালগরিদম সক্ষমতা অবিশ্বাস্য মাত্রায় পৌঁছাতে হবে। তখনো দেখা যাবে,—মানুষ নতুন আঙ্গিক খুঁজে নিচ্ছে। এমনকি এআই অ্যাপসকে সহায়ক রূপে কাজে লাগিয়ে নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে গানে। মানবীয় অনুভূতির বৈচিত্র্য ও নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেরিব্রাল কর্টেক্সের সক্ষমতা এক্ষেত্রে মানুষের আয়ুধ হতে থাকবে।