• দেখা-শোনা-পাঠ

    মরুর বুকে বব মার্লে

    পৃথিবীতে বব মার্লে একবার আসছিল, বারবার আসবে না। অমরত্ব পাইতে আসছিলেন,- অমরত্ব লাভ করছেন। তথাপি মরুর বুকে তিনি নির্বাসিত ছিলেন একপ্রকার। সৌদি যুবরাজ সালমানের কল্যাণে মহামেদ এলবকরির কণ্ঠে ডেজার্টল্যান্ডে অবশেষে গীত হইতেছেন তিনি! বড়ো আনন্দ। হুমায়ূন আহমেদের পাগলাটে কোনো চরিত্রের মতো বলতে ইচ্ছা করতেছে,- বড়োই সৌন্দর্য! চোখে জল আসতেছে। জল কি মুছব? না থাক, মুছব না। এলবকরি গাইতে থাকেন গেট আপ, স্ট্যান্ড আপ, স্ট্যান্ড আপ ফর ইওর রাইটস।

  • সাহিত্যবাসর

    ওড টু দ্য ক্যাটকিনসফিল্ড

    কাশফুল নয় শুভ্র বা বাদামি। সে এখন মসিবর্ণ। পোড়া কয়লা। কোথায় পালাইতেছে এইসব মসিবর্ণ কাশফুল? মাটির ভিত্রে? শরৎপ্রভায় জ্বলজ্বল আসমানে? বোঝার উপায় নাই। উপায় নাই বোঝার,- জেগে আছি, নাকি ঘুমের ভিত্রে পোড়া কাশবন ধরে হাঁটতে-হাঁটতে সাদা অথবা বাদামি কাশফুল দেখতেছি। ভ্রান্তি ছাড়া কিছু নাই। সাদা কাশবন নাই। আছে নিরোর পোড়া বাঁশি, আর ঠাকুরের একফালি শরৎ অঞ্জলি।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    মাতাল রাজ্জাকের আল্লাহী

    রাজ্জাক আসলে অতশত ভেবে গানখানা বাঁধেননি। প্রচলিত উপমা হিসেবে চণ্ডাল ও বেশ্যাকে নিয়েছেন আর কি! এটুকু বাদ দিলে গানটি মর্মস্পর্শী। বাউল, বিশেষ করে দেওয়ান ঘরানায় প্রচলিত হাদিসের প্রভাব বেশ গভীর। লালন, হাসন বা আমাদের সিলেটের বাউলরা বিস্ময়করভাবে এর থেকে মুক্ত।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    সুবোধ কি ফিরেছে?

    স্মরণ-বিস্মরণের ঘোরপ্যাঁচে দিনগুলা যখন ম্যাড়মেড়ে মনে হইতেছে তখন হাসিনাপতনের ডঙ্কা বাইজা ওঠে। ঢাকা শহর গ্রাফিতিতে সয়লাব হয়। সয়লাব হইতে থাকে দেশ। দেয়ালগুলায় খালি প্রতিরোধের শ্লোগান! সবটাই শোভন না। হাসিনা ও তার দোসরদের তাক করে খিস্তিভরা বাক্যই বেশি চোখে পড়ে। তো এর মধ্যে আমি সুবোধরে খুঁজি। সে কি ফেরত আসছে? নাকি এখনো জন কবিরের গানে তাল দিয়া গা ঢাকার মতলবে ইধার-উধার ঘুরাঘুরি করতেছে? খুঁজি কিন্তু পাই না। হালায় কই যে আছে কে জানে!