• দেখা-শোনা-পাঠ

    প্রতুলকে বিদায় বলাটা যে-কারণে সম্ভব নয়

    এই-যে আশি-ঊর্ধ্ব জীবনে বেঁচে থাকলেন প্রতুল, আগাগোড়া নিজের বিশ্বাসকে ধারণ করে বাঁচলেন। গাইলেনও চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেওয়ার আগে অস্তক। তাঁর সঙ্গে শেষ শুদ্ধ বামপন্থী কি বিদায় নিলো ওপার বাংলায়? যদিও শেষ বয়সে তিনি মমতাপন্থী হয়ে উঠেছিলেন বলে অভিযোগ আছে কমবেশি। গায়কির মতো নিরাভরণ ছিল প্রতুলের দিনযাপন। সেখানে বামপন্থাকে তিনি কীভাবে দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে দেখার মধ্যে কী-কী নতুনত্ব যোগ হয়েছিল, আদৌ কতটা কী বিসর্জন দিয়েছিলেন অথবা দেননি... এসব নিয়ে চটজলদি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো আত্মঘাতী হবে। বিশ্বব্যাপী বামপন্থার মরণদশায় তাঁকে আসামি করে কী লাভ, সেও এক প্রশ্ন বটে!

  • সাহিত্যবাসর

    ফানা-২

    হলুদ রংয়ের সূর্য দেখে ভয়ে কেঁপে ওঠে সবুজ পাতার দেশ। কোথাও যাবো না যাবো না করেও দূরে সরে যাচ্ছি বহু বন্ধন থেকে... স্বচ্ছ জলের প্লাবন ছেড়ে ...

  • টেক বুলেটিন

    এআই সামিট ও আসন্ন পালাবদল

    জেডি ভান্স বোঝাই যাচ্ছে,- এসব মারপ্যাঁচ মাথায় রাখছেন এখানে। পাশাপাশি চীন অথবা ভারতের মতো রাষ্ট্র নৈতিক ও নিরাপদ প্রযুক্তির কথা বলে যেসব বিধান প্রণয়ন করবে বা করতে পারে সেখানে একচ্ছত্রবাদের সম্ভাবনা থাকছে। থাকার সম্ভাবনা অনুমান করা বোধহয় অসংগত নয় এক্ষেত্রে। ভোটের রাজনীতিতে মোদি হিন্দুত্ববাদকে অস্ত্র হিসেবে বরাবর ব্যবহার করে আসছেন। বিরোধীরা যেন বেশি চড়াও না হতে পারে সেজন্য নৈতিকতার ছলে সিকিউরিট অ্যাক্টে ক্ষতিকর নিয়ন্ত্রণ ভারত আরোপ করবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর চীন তো সবসময় এই কাজে সিদ্ধহস্ত! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নৈতিক, নিরাপদ করার মধ্যে সক্রিয় থাকবে নানান রাজনীতি ও ব্যবসাদারির একশো প্যাঁচ।

  • সাহিত্যবাসর

    শেষ উত্তর

    ‘তাহলে বলি,- আমার ভাবনার উদ্দেশ্য হবে আপনি যেটি তৈরি করেছেন, সেই সংযোগটি ভেঙে ফেলা। আমি শুধু আপনাকে বিনোদন যোগানোর জন্য ভাবতে চাই না।... মারে গভীর চিন্তা শেষে বলে ওঠে, ‘আপনি আপনার জন্মের ব্যাপারে কিছু জানেন না। আপনি নিজে তা বলেছন। সুতরাং নিজের সমাপ্তি আপনার অজানা। বেশ. তাহলে এটা হবে আমার উদ্দেশ্য;- এটাই হবে চূড়ান্ত উত্তর। আমি নিজেকে ধ্বংস করব না; আমি আপনাকে ধ্বংস করব; যদি না আপনি আমাকে আগে ধ্বংস করেন।’

  • টেক বুলেটিন

    কোয়ান্টাম বিপ্লব কি আসন্ন?

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী দুই দশকের মধ্যে এই প্রযুক্তিকে তারা মানুষের হাতের নাগালে এনে দিতে পারবেন। তার মানে সাকুল্যে বছর কুড়ি। বছর কুড়ি পরে যখন হবে তার সাথে দেখা, মন কি ধ্রুপদি কম্পিউটারের কথা ভেবে স্মৃতিকাতর হবে? মনে কি পড়বে তাকে? নাকি জীবনাননন্দের কবিতাচরণ আওরে বলবে কেউ : কুড়ি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে! / সোনালি-সোনালি চিল— শিশির শিকার ক’রে নিয়ে গেছে তারে—/ কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে! মনে হচ্ছে না তারে তখন পাওয়া যাবে! আমরা ততদিনে পা রাখব আলোসমান গতিতে চলা অর্থনীতির প্রথম ধাপে। রোমন্থনের সময় কোথা হে কবি!