জল সেতো অনন্তেই গেছে পাশে কেউ নেই চিরদিন দেখা নেই চিরদিন দূরে দূরে চিরদিন সন্ন্যাস
-
-
কটি গানকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে লম্বা সময় ধরে গাইতে থাকেন উম্মে কুলসুম। একটাই গান এভাবে ফিরে-ফিরে গেয়ে চলার সময় গানের মেজাজ খুব-যে পালটায় তা নয়, কিন্তু শ্রোতা তথাপি নিবিষ্ট হয়ে শুনে চলে। নির্দিষ্ট কোনো স্তবক অথবা চরণ ঘুরেফিরের বারবার গাইবার সময় শ্রোতার এরকম মনে হয়,—ধ্বনিব্যঞ্জনা এখানে অন্তহীন সময় ধরে বইছে, এবং এই প্রবাহন বন্ধ না হলে ক্ষতি নেই। গলার খাঁজভাঁজ থেকে বেরিয়ে আসা গানকে এভাবে অপূর্ব সম্মোহন বিস্তারের মাধ্যমে গাওয়ার ক্ষমতা সত্যিই বিরল!
-
আমাদের কাছে আকরাম খান বিশিষ্ট মূলত দেশ-এর কোরিওগ্রাফির জন্য। প্রায় সাত-আট বছর আগে এই পরিবেশনায় আমরা এমন এক শিল্পীকে দেখি,—যিনি বাংলাদেশের সংক্ষুব্ধ যাতনা ও লড়াইয়ের মধ্যে মিশিয়ে দিচ্ছেন শিকড়ের প্রতি দরদ ও টান। অনেকদিন পর দেশ দেখতে বসে মনে হলো, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হাতে দেশকে স্বেচ্ছায় তুলে দিতে থাকা আমাদের মতো মেরুদণ্ডহীন হতভাগাদের জন্য আকরাম খানের এই পরিবেশনা এখন আরো বেশি প্রাসঙ্গিক।
-
মনে রেখো বই পড়বার মতো কিছু না তাকে সাজিয়ে রেখে তৃপ্তি অর্জন প্রদর্শন বা বিক্রি কোনটাই না বইয়ের ভেতরকার আকাঙ্ক্ষা খিদে রক্ত বিষ যন্ত্রণা নিজের ভেতর অনুভব করতে পারাটাই আসল
-
আমি চুপচাপ চেয়ে থাকি নিষ্পলক মহিষদের চোখের দিকে—তারাও আমাকে দেখে পরম মমতায়। গভীর রাত। চারদিকে জলের নীরবতার পাশে বসে হঠাৎ বাঁশি হাতে নেয় ব্যাংকার ফয়সাল হাবিব। আমি চমকে উঠে দেখি আমাদেরকে ঘিরে আছে হাজার হাজার মহিষ... ভয়ে, বিস্ময়ে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। বন্ধুরে জিগাই—এতো মহিষ এখানে আসল কীভাবে! সে বাঁশি বাজানো থামিয়ে বলে—ওরা আশেপাশের বাথানেই থাকে। মাঝেমধ্যে আমাকে দেখতে আসে। বাঁশির সুর ওদের খুব পছন্দ।