• গানালেখ্য - দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    গানালেখ্য : ঘুম তোমার জন্য

    গানের মতো প্রচণ্ড সৃষ্টিশীল যজ্ঞে মানুষকে টেক্কা দিতে যন্ত্রের অ্যালগরিদম সক্ষমতা অবিশ্বাস্য মাত্রায় পৌঁছাতে হবে। তখনো দেখা যাবে,—মানুষ নতুন আঙ্গিক খুঁজে নিচ্ছে। এমনকি এআই অ্যাপসকে সহায়ক রূপে কাজে লাগিয়ে নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে গানে। মানবীয় অনুভূতির বৈচিত্র্য ও নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেরিব্রাল কর্টেক্সের সক্ষমতা এক্ষেত্রে মানুষের আয়ুধ হতে থাকবে।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    অসমাপ্ত লড়াই ও আহমদ রফিকের প্রস্থান

    ট্রাজেডিই বটে! নির্মম আমাদের ঔদাসীন্য! আহমদ রফিক স্বয়ং চিকিৎসক হলেও ডাক্তারিকে পেশা করেননি। রবীন্দ্র সাহিত্য ও ভাষা আন্দোলনে সকল শক্তি ব্যয় করেছিলেন। জীবনের শেষ বয়সে সেই মানুষটিকে চিকিৎসার খর্চা যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। একজন ভাষাসৈনিকের প্রতি রাষ্ট্র থেকেছে উদাসীন। তবু কী অনড় মনোবল ছিল তাঁর! রাষ্ট্রের কাছে কোনো কিছু প্রাপ্তির আশা ভুলেও করেননি আহমদ রফিক। শেষ বয়সে এসে হাসিনা সরকারের পতন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বুঝে নিতেও বিলম্ব হয়নি তাঁর। ফিরে-ফিরে ভুল আর অসমাপ্ত আন্দোলনের খেসারত দেখে-দেখে নিভে গেল আয়ু! আমরা কিছুই দিতে পারিনি তাঁকে! নির্মম অবহেলা ছাড়া!

  • নেটালাপ - পোস্ট শোকেস

    নিরীক্ষা ও বিনির্মাণে জীবনানন্দ দাশের অন্ধকার-২

    ভাষার এই অদ্ভুত কনট্রাস্টই জীবনানন্দের অপার শক্তি, এবং সে-কারণে বিশ্বের চিরমহান কবিদের একজন তিনি। কিংবা আলো পৃথিবীর রাত্রি কবিতা যদি পাঠ করি পুনরায়,—বিস্ময়কর নির্মিতি। অভবানীয় ও অদ্ভুত! কিন্তু নিজের ম্যাসেজ প্রদানে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। জীবনানন্দ ইহজীবনে আর্ট ফর আর্ট সেক বা শিল্পের জন্য শিল্প লেখেননি। তিনি বিশুদ্ধ জীবনচাক্ষিক।

  • পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    দুর্গাবন্দনা : মহাসপ্তমী ও কুমারী পূজা — সুমন বনিক

    কুমারী প্রকৃতি বা নারী জাতির প্রতীক ও বীজাবস্থা। তাই কুমারী বা নারীতে দেবীভাব আরোপ করে তার সাধনা করা হয়। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারীর অন্তর্নিহিত শুভ দেবীশক্তিটাই জাগ্রত করা হয়। এই অন্তর্নিহিত দৈবীশক্তি জাগালেই দেবীপূজা সার্থকতা লাভ করে। ব্যাপক অর্থে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে আমাদের ঘরের মা, ভগিনী, পত্নী, কন্যা প্রভৃতি নারী রূপিণীদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। এই পূজা নারীর পবিত্র জীবন চেতনার পূজা, নারীর নারীত্বের পূজা, নারীর প্রতি তীব্র প্রেমভাবের পূজা।

  • পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    হাওরজীবন-১ : চেনা গান অচেনা গীতিকার — সজল কান্তি সরকার

    ধামাইল গানে ভণিতায় গীতিকারের নিয়ম ভাঙার প্রচলন শুরু থেকেই। তবে সেটা কারো গান দখল করে বা গীতিকারকে আড়াল করে নিজের জন্য নয়। ধামাইল গায়ক কখনো স্বেচ্ছায় নিজের নাম ভণিতায় জুড়ে দেন না। বরং ভালোবেসে নিজের লেখা গান অন্য ভণিতায় উৎসর্গ করেন। গীতিকার নিজের পরিচয় গোপন করে সকলের জন্য গান উৎসর্গ করেন, এমন নজির ধামাইল গানে ভাটি গাঁয়ের বধূসমাজে অনেক। তাই পছন্দের গানে পছন্দের গীতিকার এর পরিচয় খুঁজে না পাওয়ার বেদনাও আছে অনেক।