বস ওরফে মাতবরকে পেছন দিয়া দাঁড়ানো নারীর কারবার আরো ইন্টারেস্টিং। অ্যালান রেড্ডি সূক্ষ্ম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রায় ঠুকছেন,- নারীটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত। তার হাতে পাথরের টুকরা। উরুদেশ দিয়া রক্ত ঝরতেছে। কেন ঝরতেছে সেইটা অনুমান করা দুঃসাধ্য। ওইসময় কী ঘটছিল তার কিছুই আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। আগুন জ্বালাইতে না পারায় মাতবর হয়তো পুরুষটির সঙ্গে নারীকেও ঝাড়ছেন একচোট। মনের ঝাল মিটাইতে পাথরের টুকরা নিজ উরুতে ঘঁষে আগুন জ্বালানোর তালে আছে সে। নারী চিরকালের জেদি হাসিনা! এই ঘটনায় তা পুনরায় প্রমাণিত। মনের খেদ জুড়াইতে নিজেকে জখম করতেসে খামোখা।
-
-
মার্ক জাকারবার্গ সত্যি ভিনগ্রহ থেকে বদ মতলবে পৃথিবীতে ঘুরতে আসে নাই তো? ইবলিশের এজেন্ট রূপে কাম করতেছে কি এখানে? স্বয়ং আল্লা তারে এই সুরতে অ্যাক্টিং করতে পাঠাইলেন ভবে? ভেবে মাখা আউলা-ঝাউলা ছিল তখন। ঘটনা যেমন হোক, আলতামিশদের বিচিত্র কারবারের চক্করে পড়ায় নিজের ব্যাপারেই আমি এখন আর নিশ্চিত নই। আমি কি আলতামিশ? আলতামিশের ভেকধারী কোনো ইবলিশ? এলিয়েন? অন্য গ্রহে ছিলাম বা আমার মতো কেউ হয়তো সেখানে আছে, আমার আসল রূপ ধরে মজাসে ঘুরতেছে সেখানে। আমি শালা আটকা পড়ছি এই গ্যালাকটিক জেলখানায়!
-
মনে-মনে ঠিক করে ফেলি, এই ছবিটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হবে। শরবত গুলাকে আপাতত কাবুলিওয়ালার মেয়ে বলে চালিয়ে দেবো। অদ্ভুত এই মুখচ্ছবিতে তার কৌতূহল হয়তো কিছুটা হলেও কমবে। অনেকগুলো ছবি থেকে ভালো দেখে একটি প্রিন্ট দিয়ে ঘুমাতে যাই।
-
এই প্রথম সে বুঝতে পারছিল তাকে দিয়ে ঘটনা ঘটানো হচ্ছে এবং এছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন। অনতিউচ্চ টিলা যেমন বলতে পারছে না, সে কেন পৃথিবীতে জায়গা দখল করে রেখেছে? তার পক্ষেও বলা সম্ভব নয় কী কারণে তাকে ঠিক তাই এবং তাই করতে হবে যা সবাই করছে! সুতরাং এটি অনিবার্য ছিল, কোনো একদিন তার নিজেকে সে সন্দেহ করতে বাধ্য হবে। তার মনে হবে,- সে একটি প্রস্থানবিন্দুর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং সমতলের মাটি চোরাবালি হয়ে তাকে নিচে টানছে। নিমিষে বুঝে ফেলবে, এইটে হচ্ছে সেই বিন্দু যেখানে একবার প্রবেশ করতে পারলে আর ফেরত আসা যায় না।
-
বিশ্বাসী মানেন বা না-মানেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে মিথ প্রসূত বিষয়াদির সংযোগ নিবিড়। মিথ নিজে হইতেছে এমন একখান কারণ যেইটা প্রকারান্তরে ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্মকারণ। আবার মিথ কিন্তু Indoctrination বা ভাবাদর্শ বা মতাদর্শে অতটা ঘনীভূত না। যারপরনাই ধর্মীয় বিশ্বাস যখন পরিষ্কার ভাবাদর্শ বা মতাদর্শ-এ পরিণত হয় তখন সেইটা আবার তার গা থেকে সকল মিথকে অপসারিত করতে চায়। অলৌকিককে সে তখন Etiology বা কারণবাদের এমন এক প্রস্তাবনায় একীভূত করে, যার আভাস ভারতীয় দর্শনে গেলে আপনি ভালোমতন পাইতেছেন। ... জসোয়া দি পাওলোর গোছানো আলোচনায় এই দিকটি আরো উদাহরণ সহকারে আসলে পাঠকের উপকার হইত।