• পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    বিট অ্যারাউন্ড দ্য বুশ!

    কুমার চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন। ভাববার মতো প্রশ্ন, তবে এর মধ্যে উঁকি দিচ্ছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পুরোনো বিরোধ;—যেখানে এরা আজো একজন আরেকজনকে বোঝা ও বিনিময়ের জায়গায় সবল দাঁড়িয়ে নেই। পাশ্চাত্য এখনো মোটাদাগে প্রাচ্যকে রোমান্টিসাইজ করে। নয়তো প্রাচ্যের ভাষা ও বয়নরীতির আগামাথা কিছু তারা ধরতে ও বুঝতে পারে না। ট্রাশ ভেবে বাতিলও করে হামেশা! প্রাচ্য আবার অনেকসময় অন্ধের মতো পাশ্চাত্য ন্যারেটিভকে নিজের ভাষায় ধার করতে যেয়ে অনুকরণে নিঃস্ব হয়। এটি সমস্যা। এবং এখানে এসে আমরা দেখি, দুই গোলার্ধ কমবেশি পুরাতনের পুনরাবৃত্তিতে অনেকটা নিঃস্ব।

  • পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    হাওরজীবন-২ : চেনা গান অচেনা গীতিকার — সজল কান্তি সরকার

    ললিতা নামে কত গান আমরা মা-খুড়ির মুখে শুনি। কিন্তু কে সেই ললিতা কে জানে! এমনও হইতে পারে, গাঁও-গেরাম যে-মহিলারা গোপনে গান লেখে তারাই ললিতা! … অবাক হওয়ার কিছু নাই। গান লিখলে সাধনা লাগে, লেখাপড়া লাগে। তাই আগে গাঁয়ের সাধারণ মহিলারা গান লেখলেও লজ্জায় প্রকাশ করছেন না। শুনছি তারা নানাজনের নামে গান চালাইয়া দিছে। কি আর করবে বলো? গান তো গাইতে হইবো। নিত্য-নতুন এত গান পাইতো কই? না লিখে উপায় আছে!

  • আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

    সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম তবে কার জন্য ‘বাঁচবেন’!

    সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম কাজেই আমাদের জন্য বিরাট সমস্যা! এই-যে তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ, হ্যানত্যান,—সেখানে লোকটির কথাসাহিত্যে নতুনত্ব তৈরির চেষ্টা আমরা বড়ো একটা আমলে নিতে চাই না! ভাব দেখে মনে হয়,—নব্বই থেকে শুরু হওয়া সাহিত্যের মচ্ছব কস্মিনকালেও তাঁর সৃজনশীল লেখক হয়ে ওঠার ধারাবাহিকতাকে আমলে নেবে না অতটা!

  • গানালেখ্য - দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    গানালেখ্য : ঘুম তোমার জন্য

    গানের মতো প্রচণ্ড সৃষ্টিশীল যজ্ঞে মানুষকে টেক্কা দিতে যন্ত্রের অ্যালগরিদম সক্ষমতা অবিশ্বাস্য মাত্রায় পৌঁছাতে হবে। তখনো দেখা যাবে,—মানুষ নতুন আঙ্গিক খুঁজে নিচ্ছে। এমনকি এআই অ্যাপসকে সহায়ক রূপে কাজে লাগিয়ে নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে গানে। মানবীয় অনুভূতির বৈচিত্র্য ও নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেরিব্রাল কর্টেক্সের সক্ষমতা এক্ষেত্রে মানুষের আয়ুধ হতে থাকবে।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    অসমাপ্ত লড়াই ও আহমদ রফিকের প্রস্থান

    ট্রাজেডিই বটে! নির্মম আমাদের ঔদাসীন্য! আহমদ রফিক স্বয়ং চিকিৎসক হলেও ডাক্তারিকে পেশা করেননি। রবীন্দ্র সাহিত্য ও ভাষা আন্দোলনে সকল শক্তি ব্যয় করেছিলেন। জীবনের শেষ বয়সে সেই মানুষটিকে চিকিৎসার খর্চা যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। একজন ভাষাসৈনিকের প্রতি রাষ্ট্র থেকেছে উদাসীন। তবু কী অনড় মনোবল ছিল তাঁর! রাষ্ট্রের কাছে কোনো কিছু প্রাপ্তির আশা ভুলেও করেননি আহমদ রফিক। শেষ বয়সে এসে হাসিনা সরকারের পতন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বুঝে নিতেও বিলম্ব হয়নি তাঁর। ফিরে-ফিরে ভুল আর অসমাপ্ত আন্দোলনের খেসারত দেখে-দেখে নিভে গেল আয়ু! আমরা কিছুই দিতে পারিনি তাঁকে! নির্মম অবহেলা ছাড়া!