জামায়াতে ইসলামী যে-ধারায় রাজনীতি করে সেটি কখনো স্বস্তিকির ছিল না। আজকে বা আগামীতেও এই রাজনীতিকে স্বস্তিকর ভাবা সম্ভব নয়। ধর্মীয় উগ্রবাদের চাষাবাদে বহাল থেকে ক্ষমতাচর্চার রাজনীতি শুভ হতে পারে না। জামায়াত গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের রাজনৈতিক কনটেক্সেট বিবেচনায় সেটি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে না। এমন এক শাসন কায়েম করা তাদের মৌল উদ্দেশ্য যেটি যুগানুকূল নয়। ইরানের মতো বিপ্লবী রাষ্ট্র গঠন ও অনুরূপ কোনো শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য। এখন ইরান কি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে ভালো অবস্থায় আছে? বিশ্বে এই মুহূর্তে খোমেনিছকে শাসিত রাষ্ট্রের যুগান্তকারী কেনো অবদান কি আমরা দৃশ্যমান দেখছি?
-
-
একচ্ছত্রবাদের বিরুদ্ধে আকস্মিক উদগীরণ এভাবে সমাজে তৈরি হইতে থাকে। আমেরিকায় ওইসময় ঘটনাটি ঘটছিল। পাকিস্তানে এখনো ঘটতেছে। বাংলাদেশে যদি উগ্রবাদ অতিরিক্তি মাথাচাড়া দিতে থাকে, সেইটা যে-আকারে দেখা দিক সমাজে, আমাদের মিয়া ও খাতুনদের এই জোর নাই যে বেশিদিন চাপ নিতে পারে। মোদের রেহানা মরিয়ম নূর বাঁধন ম্যামরা পয়লা চাপেই ধসে পড়বে। অচিরে পাঙ্ক টাইপের রিভার্স কিছু ঘটতে দেখবে বাংলাদেশ। নিউটনের থার্ড ল ইজ ইনঅ্যাভিটেবল। মনে রাইখো,- প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। আমরা তো পড়ছি ইস্কুলে। নাকি?
-
প্রাকৃতিক সত্তা ও স্বজ্ঞা মানুষের মাঝে ক্রিয়াশীল থাকার পরেও সে অপ্রাকৃত ও নিজস্ব হইতে চায়। মাটি তেমন নয়। বৃক্ষরা নয়। জগতের কোনোকিছু নয়। জগতের সমুদয় বস্তুর সঙ্গে মানুষের তফাতটা এখানে ভীষণ মৌলিক। মাটির মধ্যে সহজাত পরার্থপরতার আলাপ মারিয়াম মাহজাবিন তাঁর ভিডিও পডকাস্টে তুলছিলেন। পিওর থটস বলা যাইতে পারে। শোনার পর মনে হবে, দারুন তো! এভাবে কখনো ভেবে দেখে নাই! তো উনি মাটির যেসব গুণ মানুষের মধ্যে থাকা উচিত বইলা মনে করেন, এখন সেইটা বনিআদমে সক্রিয় করানো কঠিন। যতক্ষণ না সে কান্টীয় তরিকায় যুক্তি দিয়া উপলব্ধি করতে পারতেছে,- তারে মাটির মতো হইতে হবে।
-
মিশরের মতো বাংলাদেশেও মার্কিনছকে সম্পাদিত রঙিন বিপ্লবের মধ্য দিয়া উনাদের এই আত্মপ্রকাশকে তাই অভিনন্দন। ডিয়ার ওয়ারিওয়র্স, ওয়েলকাম... ওয়েলকাম ফর দ্য হ্যাপি রিটার্ন। ইউ পিপল প্রুভ দ্যাট শিবির ক্যান নেভার ডাই। শিবির কখনো মরে না। সে মারা গেলে মানুষ থাকবে না ধরায়, যেহেতু মানুষ মূলতই শিবির। তো নিনজা টেকনিকের পয়লা কদমে জামায়াতকে আওয়ামীরা অনুসরণ করতে পারেন। ... রাজনীতি নোংরা খেলা। সকল কালে নোংরা ছিল, নোংরা আছে, নোংরা থাকবে। সুতরাং নোংরা গায়ে মাখতে লীগের দ্বিধা করার প্রয়োজন নাই।
-
কাহিনি ও চরিত্র নির্মাণের অভ্যস্ত প্রথাকে ছেটে ফেলে আখ্যান রচনা দুরূহ কাজ। মোটেও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ওরবিটাল-এ অস্বাভাবিক এই ঘটনাটি সামান্থা ঘটিয়েছেন। তাঁর কল্পআখ্যানের মূল শক্তি সেখানে। অলঙ্কার বাদ দিয়ে এমন এক ভাষাচিত্র তিনি গড়েছেন, যার জোরে প্রচলিত অর্থে আখ্যান না হয়েও অরবিটাল মনে হয় উতরে গেছে। লেখার নতুন ধরন বটে, এবং আমাদের ভাবা উচিত। আগামীর পৃথিবীতে চিন্তাপ্রধান বিবরণ ভাষাচিত্রে রূপ নেবে। চরিত্র যেখানে স্বয়ং ভাষাচিত্রের বাহক। রানার বা ডাকপিয়ন। এর অধিক তাকে ফিল না করলেও বোধহয় ক্ষতি নেই।