আমরা মানি বা না-মানি, কিছু ফ্যাক্ট বাংলাদেশে এখনো নির্মমভাবে জীবিত। উজিরেআলা রাইসু সায়েবের এই কথাখান যদিও ফেলনা নয়,- ফ্যাক্ট বইলা আসলে কিছু থাকে না শেষতক। বয়ান বা ন্যারেটিভের হাতে ফ্যাক্ট বরং অবিরত গুম-খুন-ধর্ষিত হইতে থাকে। বয়ানের হাতে নানাভাবে হেনস্থা হওয়ার পর যেইটা বাকি থাকে সেইটা তখন ফ্যাক্ট বইলা নিজেরে চেনায়। বয়ানের মধ্য দিয়া নির্মিত ও বিনির্মিত ফ্যাক্টকে কাজেই আমরা বাস্তবতা বা রিয়েলিটি বইলা একরার যাই।
রাইসুর ফ্যাক্ট-দর্শন নিয়া কথা বলার মুড আপাতত নাই। ওদিকে গমন করলে যে-উদ্দেশ্যে এই রচনার অবতারণা সেদিকে আর যাওয়া যাবে না। ইতিহাসের পাতা হইতে দেদার টুকলি করতে ওস্তাদ সলিমুল্লাহ খানের ওইসব সন, তারিখ ও ঘটনা আওরানোর চোটে খেইহারা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সুতরাং ওসব বাদ দিয়া হাসিনাপতনের সুবাদে জামায়াতে ইসলামীর ফুল গিয়ারে কামব্যাক ও এই ঠেলায় আওয়ামীদের জান নিয়া টানাটানির দুঃসময়ে কীভাবে তারা আত্মরক্ষা করতে পারেন ইত্যাদির নিনজা টিপসগুলা বুলেটে আকারে পেশ করি বরং…
নিনজা টেকনিক ওয়ান : জামায়াতে ইসলামী, উইদাউট এ্যানি কোয়েশ্চন, দেশের ভিত্রে সবচেয়ে সুগঠিত দল। জন্মের পর থেকে তারা বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি করে আসতেছে। ইসলামি জীবনবিধানের আলোকে খেলাফত শাসিত রাষ্ট্র কায়েমের ঘটনায় আবুল আলা মওদুদী ও গোলাম আজমের মধ্যে বিস্তর উদ্দেশ্যমূলক গোজামিল ও স্ববিরোধিতা থাকলেও দুজনেই বিজ্ঞ ছিলেন। রাজনৈতিক পন্থায় সমাজে ইসলাম কায়েমের তরিকা ভালো বুঝতেন উনারা। প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে পঙ্গা দিয়ে টিকে থাকার রাজনীতি কীভাবে করতে হয় তার উদাহরণ টানতে গেলে এই দুজনকে বাদ দিয়া আগানোর সুযোগ নাই। মিলিটারি ও মোল্লায় সয়লাব পাকিস্তানে জামায়াতিরা যে-কারণে অস্তিত্ব আজো ধরে রাখতে পারতেছেন। অন্যথায় এতদিনে ভ্যানিশ হওয়া লাগত।
বাংলাদেশে তো উনারা বেস্ট অব দ্য বেস্ট। প্রতিকূল পরিবেশে জান বাঁচানোর পন্থায় বিয়ার গ্রিলসের মতোই অতিব সুদক্ষ। পাহাড়-জঙ্গলে পোকামাকড় হইতে সকল বস্তুকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে প্রাণধারণ করতে হয় ইত্যাদি আমরা ডিসকভারি চ্যানেলে দেখি। গ্রিলসের জ্ঞান ও দক্ষতায় মুগ্ধ হই। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এই ব্যাপারে গ্রিলসের মতো জ্ঞানী ও চালাক। ভারত-পাকিস্তানে সক্রিয় জামায়াত অনুসারীদের জন্য বিরাট প্রেরণাও বটে!
মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড এদিক থেকে এখনো পিছিয়ে আছেন। মার্কিনিদের সাজানো ছকে আরব বসন্তের মাধ্যমে তারা মসনদে বসছিলেন। বেশিদিন টিকতে পারেননি। কারণ সহজ;- মওদুদী বা গোলাম আজম যেসব থিয়োরির সাহায্যে দলকে আদর্শিক ও সাংগঠনিক ভাষা দিয়া গেছেন, পুরোনো দল মুসলিম ব্রাদারহুড সেই কাজে কামিয়াব হইতে পারে নাই। হাসিনাপার্টির জুলুম ফেস করে পনেরো বছর টিকে থাকা চাট্টিখানি ব্যাপার না। টিকে থাকার জন্য যেসব নিনজা টেকনিক তারা ব্যবহার করছিলেন সেগুলা সফল প্রমাণিত হইছে।
মিশরের মতো বাংলাদেশেও মার্কিনছকে সম্পাদিত রঙিন বিপ্লবের মধ্য দিয়া উনাদের এই আত্মপ্রকাশকে তাই অভিনন্দন। ডিয়ার ওয়ারিওয়র্স, ওয়েলকাম… ওয়েলকাম ফর দ্য হ্যাপি রিটার্ন। ইউ পিপল প্রুভ দ্যাট শিবির ক্যান নেভার ডাই। শিবির কখনো মরে না। সে মারা গেলে মানুষ থাকবে না ধরায়, যেহেতু মানুষ মূলতই শিবির। তো নিনজা টেকনিকের পয়লা কদমে জামায়াতকে আওয়ামীরা অনুসরণ করতে পারেন।
নিনজা টেকনিক টু : ব্যাপক জনসমর্থন থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দল ওরফে ‘আমি অনাহারী’ বিএনপি আপাততত দুবলা একখান দলে পরিণত হইছেন। মতাদর্শিক বা সাংগঠনিক দিক হইতে উনারা নাজুক অবস্থা পার করতে আছেন। নাজুক হওয়ার প্রধান কারণ একটাই। জিয়া পরিবারের গ্রাস থেকে নিজেকে তারা আজাদ করতে পারে নাই। তারেক জিয়া নিজমুঠোয় মির্জা ফখরুলসহ সবাইকে বন্দি রাখছেন। বিএনপিতে জিয়াপন্থী যোগ্য লোক ছিলেন আগে। উনাগো উপ্রে খালেদার অগাধ আস্থা ছিল। সরকার তারাই চালাইছেন তখন। তারেকযুগে পা রাখার দিন থেকে সেখানে ছেদ পড়ছে।
খালেদা-পুত্রকে সাইডে রেখে আগানোর পরিস্থিতি যেহেতু নাই, বিএনপি গাছবলদা চরিত্র ধারণ করছেন। রিজভী সায়েব মাঝেমধ্যে সবাক হইলেও কাউয়া কাদেরের সঙ্গে লম্বা ফাইট দিয়া ক্লান্ত। কথাবার্তা যা আওরান তাতে সন্দেহ হয়, কাউয়া কাদের যে দেশ ছেড়ে ভাগা দিছে, সেইটা উনি এখনো বিশ্বাস করতে পারতেছেন না। ইউনূস সরকারকে কাউয়া কাদের ঠাউরে অতীত অভ্যাসে বহাল আছেন এখনো। নতুনত্ব নাই সেখানে। বাদবাকিরা মোটের উপ্রে নীরব। বিএনপির এই নীরবতা অবশ্য খারাপ কিছু না। জামায়াতকে উনারা এক্সপোজড হতে দিতে চাইতেছেন মনে হয়। এক্সপোজড জামায়াত একটা-না-একটা ভুল করবেই করবে। উনারা তখন সেইটাকে ইস্যু করে ঝড় তুলবেন। নীরবতা এখন এই কারণে যদি হয় তাইলে উনাদের এই নিনজা টেকনিক মন্দ না। আখেরে ফল মিলতেও পারে।
বয়সভারে জীর্ণ হলেও খালেদা জিয়ার মাথা কিন্তু এখনো চলে। গণতন্ত্রে ধৈর্য ধারণ করতে হয়। পরিস্থিতি প্রতিকূল থেকে অনুকূলে আসার সম্ভাবনা এই সুবাদে তৈরি হইতে থাকে। হাসিনাচাপ কিন্তু খালেদা গেল পনেরো বছর সহ্য করছেন। ফল পাইতেছেন অদ্য। জামায়াতের ক্ষেত্রেও একই পথ অবলম্বনের নির্দেশ দলনেত্রী দিলেও দিতে পারেন। ইয়াদ বিলানো দরকার,- বিএনপির প্রধান সমস্যা তৃণমূলের ‘আমি আনাহারী’ নেতাকর্মীগুলাকে লাইনে নিয়া আসা। বলদাগুলাকে বোঝানো,- গদিতে বসতে পারলে হালুয়ারুটি এম্নিতে তোদের ভাগে আসবে। তার আগে জামায়াত ও ইউনূসকে গংকে মোকাবিলার জন্য রেডি থাক।
ভারত নিয়া সাম্প্রতিক মার কাটকাট জিহাদে রিজভী সায়েব বউয়ের শাড়ি না পোড়াইলেও পারতেন অবশ্য। উনার এই অগ্নিলাঞ্ছনা নিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যম বিভ্রান্তিতে আছেন মনে হয়। ডেইলি স্টারসহ বাংলাদেশের গণমাধ্যমে রিজভী সায়েব বউয়ের শাড়ি অগ্নিতে বিসর্জন দিছেন বইলা খবর ছাপছে। ওদিকে ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতীয় গণমাধ্যম শাড়িকে ইন্ডিয়ামেড বিছানার চাদর অথবা কম্বল বইলা খবর প্রচার করতেছেন। উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক যে-জায়গায় উপনীত হইছে তাতে একজন আরেকজনকে ঠিকমতো রিড করতে নাচার বইলা আমরা ধরে নিতে পারি।
চার দিনে কলকাতা দখলের ঘোষণা নিয়া হাজির বীরদের সঙ্গে তাল দিয়া রিজভী সায়েবের ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গমন কাঁচা কাজ ধরা যাইতে পারে। রাজনীতির রং সারাক্ষণ চেঞ্জ হইতে থাকে। এমতাবস্থায় উনার এই কাণ্ড ভবিষ্যতে তারেকপার্টিকে প্যারায় ফেলবে না এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। নিনজা টেকনিকের সঙ্গে জিনিসটা একদম খাপ যায় না।
নিনজা টেকনিক থ্রি : মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বহনকারী সৈনিকের চূড়া থেকে দারুণভাবে অধঃপতিত আওয়ামী লীগের জন্য এই মুহূর্তে নিনজা টেকনিক রপ্ত করা ছাড়া জানে বাঁচা মুশকিল। জামায়াতকে অবরুদ্ধ করে হাসিনা যে-ভুল করছিলেন, এখন আওয়ামীরা আপাতত নিষিদ্ধ না হয়েও কার্যত ভূতলবাসী অবস্থায় কালাতিপাত করতেছেন। বিদেশে বাকবাকুম করলেও দেশে গর্ত থেকে মাথা তোলার অবস্থায় নাই তারা। এইটা একদিক হইতে তাদের জন্য শাপেবর হইতে পারে, যদি তারা নিনজা টেকনিট নাম্বার ওয়ান মাথায় রাখেন।
সমস্যা হলো, প্রথম টেকনিকটা জামায়াতের মতো সুসংগঠিত দলের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক করলেও আওয়ামীদের পক্ষে রপ্ত করা অতিব সুকঠিন। ছদ্মবেশী রূপে অন্য দলে যাপন করার এলেম হাসিনাপার্টির নাই। তবে হ্যাঁ, মুজিববাদ ও হাসিনাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের আদর্শিক অবস্থানে আওয়ামীরা বরাবর সুসংহত। এখন এর উপ্রে ভর দিয়া গেরিলাপন্থায় নিজেকে তারা সংগঠিত করার দিকে গমন করলে ভালো। শত খারাবির মধ্যে নিনজা টেকনিক থ্রি এস্তেমাল করলে কিছু অ্যাডভান্টেজ তারা পাবে :
এক. মাইনরিটি ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। তাগো হাতপা বান্ধা। ইসকনকে সরকার যেভাবে ফিউজ করছে তাতে পরিস্থিতি আরো প্রতিকূল হইছে তাদের জন্য। সবদিক বিবেচনা করলে আওয়ামীদের উপ্রে ভরসা রাখা ছাড়া সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর গতি নাই। হাসিনাপার্টি যদি মাইনরিটি পলিটিক্স ঠিকঠাক ডিল করতে পারেন তাইলে সময়মতো এর প্রতিদান তারা পাবে।
দুই. বাঙালি জাতীয়তাসহ একাত্তর ইত্যাদির ওপর সহানুভূতিশীলরা সংখ্যায় এখনো নগণ্য নয়। জামায়াত বা এই টাইপের দলকে আপাতত সহ্য করলেও তলে-তলে তারা সুদিন ফেরার অপেক্ষায় আওয়ামীদের নীরব সমর্থন দিয়া যাবে। আজ-নয়-কাল আওয়ামী লীগের হাল যারা ধরবেন, উনাদেরকে এখন এই সিম্প্যাথিওয়ালাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে। কঠিন এই পলিটিক্সে জারি থাকার নিনজা টেকনিক সফল করতে হাসিনা আমলে সম্পাদিত উন্নয়নের ছবি মওকা বুঝে বারবার প্রজেক্ট করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধসহ একাত্তরে সক্রিয় সকল উপাদান আর বর্তমানে এসবের হালত নিয়া সিম্প্যাথিওয়ালারা যেন তুলনায় যাইতে পারে সে-উপায় জীবিত রাখতে হবে সবসময়।
দিল্লি হইতে দলের প্রবাসী নেতাকর্মী এবং মাঝেমধ্যে দেশে বায়বীয় ফোনালাপে শেখ হাসিনা স্বয়ং ভূমিকাটি ভালোমতো নিভাইতেছেন এখন। সেইসঙ্গে গণহত্যার অভিযোগটি কেন তাঁর উপ্রে বর্তায় না সেইটা তুলে ধরতে বেশ নিরলস আছেন শেখের বেটি। এর মনস্তাত্ত্বিক চাপ অলরেডি ইউনূস সরকারের উপ্রে আসর করছে বোঝা যায়। ভারত বরাবরে হাসিনার ফোনালাপে নিষেধ টানার হাস্যকর কূটনীতি সেই প্রমাণ দিতেছে বৈকি।
তিন. দলের প্রতি অঙ্গে ব্যাপক জামায়াতি ছাগু ঢুকছিল। তারা সব ফুল গিয়ারে বাহিরও হইছে। জামায়াতের সেন্ট্রাল কমান্ড যদিও দলের অনুমতি ছাড়া এভাবে নিজেকে এক্সপোজড না করতে হুকুম জারি করছেন বেশ আগে। মানে দাঁড়াইতেছে, লীগ ছদ্মবেশে লীগের উপ্রে গোয়েন্দাগিরি চালাইয়া যাওয়ার মতলব উনারা বিবেচনায় রাখছেন। লীগকে সর্বাগ্রে এই ছাগুদের শনাক্ত ও তালিকায় আনতে হবে। তারপর মওকা বুঝে অ্যাকশন… কাট… অ্যাকশনে যাইতে পারলে ভালো ফল পাবে তারা।
দলের সাচ্চা ছেলেমেয়েদের এই সুবাদে চিনতেও পারবে। ছাত্র ও যুব লীগের বড়ো সমস্যা ছিল গুণ্ডামি। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে গুণ্ডামিকে জামায়তসহ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে জানবাজি রাখার লড়াইয়ে যদি রূপ দিতে পারে,- দলকে ক্ষমতায় নিতে এইটা কাজে দিতেও পারে। আওয়ামীরা মাঠে নামলে সহজে পালায় না;- জনমনে অকাট্য ধারণাকে সত্য প্রমাণে খাটবে দল। বিএনপির অন্যতম চারিত্রিক দোষ ছিল, বলদারা মাঠে টিকতে পারে না। তাদের সাহস বলতে জাসদ হইতে বিএনপিতে যোগ দেওয়া পোলাপান। বয়সের ভারে তারা এখন ক্লান্ত। মারপিটের হ্যাডম রাখে না। আওয়ামীর এই প্রব্লেমটা নাই।
চার. আমাদের সোনা মোড়ানো সিভিল সমাজে যারা আছেন, যারা তলে-তলে আওয়ামীদের উপ্রে সহানুভূতিশীল ছিলেন বা আছেন। অনেকে অবশ্য অভিমানে দূরে সরে গেছেন গত পনেরো বছর। আওয়ামীদের কাজ হবে উনাদেরকে দ্রুত কন্ট্যাক্ট করা। বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতা কেবল অমি পিয়ালদের পক্ষে একলা টানা সম্ভব না। আরো লোক সেখানে লাগবে। সেইসঙ্গে অমি পিয়ালদের অ্যাক্টিভিজমকে উনারা যদি অ্যানক্যাশ করতে পারে তাহলে বাংলার ইয়াং জেনারেশনের মনোতলে সক্রিয় আওয়ামীবিদ্বেষ জোর ধাক্কা খাবে। গেঞ্জিদের বড়ো অংশ এখন আগের অবস্থায় নাই। ইউনূস সরকার আর সমন্বয়কদের উপ্রে ভরসা শূন্য বলা চলে। এখন সেইটা যেন আবার জামায়াত-হিযবুতরা অ্যনক্যাশ করতে না পারে, তার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশল অবলম্বন ভীষণ জরুরি।
পাঁচ. বৈদেশিক কূটনীতি ও লবিং। এইটার কোনো বিকল্প নাই। আওয়ামীদের হয়ে কাজটা করার ক্ষমতা রাখেন এমন লোকজন প্রবাসে যথেষ্ট আছেন। উনাদেরেক আস্থায় নিতে হবে।
ছয়. জয় ও হাসিনাকে পরাক্ষ ভূমিকায় রেখে আগাইতে থাকা। এতে করে শেখ পরিবার একটা প্রতীকে রূপ নিবেন এবং ডমিনেট করার পরিবর্তে সহায়ক শক্তি রূপে উনাদেরকে ব্যবহার করতে পারবে আওয়ামীরা।
রাজনীতি নোংরা খেলা। সকল কালে নোংরা ছিল, নোংরা আছে, নোংরা থাকবে। সুতরাং নোংরা গায়ে মাখতে লীগের দ্বিধা করার প্রয়োজন নাই।
. . .