অন্ধ এই Growth Compulsion—এর উৎস কী? হান বলছেন,—প্রবৃদ্ধির এই অন্ধপ্রেরণা আসে গভীর Ontological ভয় থেকে। আর তা হলো মরণের ভয়। পুঁজিবাদে মানুষ ধ্বংস হতে চায় না। ক্ষয়প্রাপ্ত হতে চায় না। হারিয়ে যেতে চায় না। অস্তিত্বকে সে তাই সঞ্চয়, উন্নয়ন ও অর্জনের মতো ন্যারেটিভে অবিনাশী রাখতে মরিয়া হয়। Capital is accumulated as a defence against death, against absolute loss.—পুঁজির মধ্যে মানুষ নিরাপত্তা খোঁজে; সে খোঁজে অমরত্ব! এটি তাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করবে;—এই বিশ্বাসে অধীর দেখায় তাকে।
-
-
দেহকে ঘিরে রাহুল পুরকায়স্থর ফ্যান্টাসিঘন টানাপোড়েন, আর, তাকে ফিরে-ফিরে অনিকেত টের পেয়ে সমাধিফলক লিখে ওঠার চেষ্টায় দেশভাগের যন্ত্রণা মনে হচ্ছে বড়ো অবিচ্ছেদ্য ছিল! তাঁর বাংলাদেশী কবিবন্ধুরা রাহুলের হৃদযন্ত্রে কান পেতে কখনো শুনেছেন কি সেই রক্তক্ষরণ?
-
অশুভ কি আসমানি কেবল? মোটেও তা নয়। ওজির প্রতিটি গানের চরণে পরিষ্কার বিঘোষণ পায় শ্রোতা :—অশুভ বাস করে আমাদের অন্তরে; এবং অধিকতরভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিসীমায়। আমাদের বানিয়ে তোলা জীবনধারায়;—যেখানে আলোকায়নের মধ্যে সংগোপন থাকে ফুকোর মানব। সংগোপন থাকে নির্দয় যত পীড়ন, শোষণ, আর নরকতুল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণের ইতিহাস। স্বাধীন ইচ্ছার ঠাঁই মানবধরায় হয়নি কখনো। না কেউ অন্তরতম নিখাদ উচ্চারণ ‘ভালোবাস’-র দেখা পেয়েছে কোনোদিন।
-
জানতে চেয়েছিলাম,—ইলেকট্রনের অনিশ্চিত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে ফেইক ট্রিকস কতখানি কার্যকর ফল এনে দিতে পারবে? যেখানে আমরা বাস্তবিক কোয়ান্টাম বিটস নিয়ে কাজ করছি না, কিন্তু কোয়ান্টাম বিটস ব্যবহার করলে যে-গতি পাওয়ার কথা,—কম্পিউটার প্রসেসর তা দিতে থাকবে। উত্তরে সে আপনাকে যা বলেছিল, তার কাছাকাছি তথ্য আমাকেও দিয়েছে। তার মতে, তাত্ত্বিকভাবে এটি সম্ভব,—যদি আমরা কোয়ান্টাম সিমুলেটর (quantum emulator) নামক কিছুর কথা ভাবি। তবে সীমাবদ্ধতাগুলো সে ভাগ করে দেখিয়েছে সেখানে
-
সিলেট অঞ্চলে বাউলা গান সিলসিলা কেন্দ্রিক নয়, বরং গ্রামীণ জনসমাজে সহজাত পন্থায় চর্চিত হওয়ার ঐতিহ্যে তা গরিয়ান। বাংলাদেশের যে-বিবর্তন এখন দেখছি আমরা, সেখানে এ-কথা ভেবে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে,—সিলেট অঞ্চলের আপামর শ্রেতাসাধারণ দীর্ঘকাল যেভাবে এই বাউল মহাজনদের গানকে স্বেচ্ছায় লালন ও ধারণ করেছেন, —সেটি আগামীতে কঠিন হতে চলেছে।