• বিবিধ ও বিচিত্র

    বিসর্জনে প্রতিরোধ

    থিক কোয়াং ডুকের মতো মানুষ বাধ্য হয়েছিলেন রাষ্ট্রকে এই বার্তা দিতে,—নিখিল প্রকৃতিতে কেউ কারো দেহের মালিক নয়। না-কারো হক আছে এটি বলার,—এখন থেকে তার ইচ্ছা ও ফরমানে সব চলবে। এখানে এসে তিউনিসিয়ার ফলবিক্রেতা মোহাম্মেদ বুয়াজিজি কিংবা ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের রোহিত ভেমুলারা অভিন্ন হতে থাকেন।

  • আসুন ভাবি

    দগ্ধ সমাজে বুয়িং-চুল হান-৩

    বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি মানুষের প্রতিটি পদক্ষেপকে পর্যবেক্ষণে রাখে। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, ক্যামেরা,—সবকিছু তার গতিবিধি অনুসরণ ও লিপিবদ্ধ রাখায় নিয়োজিত। মানুষ এখন ‘ডিজিটাল প্যানোপটিকন’ (digital panopticon)-এ বসবাস করে। নিজেও জানে না,—তাকে সেখানে কারা, কখন ও কীভাবে নজরে রাখছে। নজরদারির ভয় তাকে তাড়া করে বেড়ায়! ওই ভয় থেকে স্বেচ্ছায় তার আচরণ পালটে নিচ্ছে সে। নিজেকে নিয়ন্ত্রিত রাখার অভ্যাস তার মধ্যে তীব্র হতে দেখছি আমরা। এই মানুষকে সুতরাং স্বেচ্ছা-শৃঙ্খলিত বলা যেতেই পারে।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    এক পপ কুইনের বইয়ের জগৎ

    সেলেবদের বুক ক্লাব, অস্বীকার করা যাবে না, তথাপি একটি পণ্যমূল্য ও বাজার তৈরির ভাবনা মাথায় রেখে জন্ম নিয়েছে। এটি একজন সেলিব্রিটিকে বাকিদের চোখের সামনে রাখছে সবসময়। ডুয়া লিপার বুক ক্লাবটিও ব্রান্ডিংয়ের প্রয়োজন মেটাচ্ছে সেখানে, তবে বাকি সেলেবদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এর চরিত্র।

  • নেটালাপ

    আপনি থাকছেন স্যার

    মার্কস কাজেই এমন এক নাইটমেয়ার, ইচ্ছা না থাকলেও তাকে আমরা ঘুমঘোর দেখে ফেলি। দুঃস্বপ্ন হয়ে লোকটি বেঁচে থাকে ধরায়। আচমকা হানা দেয়। দরোজার সামনে দাঁড়িয়ে কড়া নাড়ে। আমরা তাকে দরোজা খুলে দিতে বাধ্য হই। এক ডেলিভারিম্যানকে তখন দেখি সেখানে। তার হাতে বাক্সে মোড়ানো বই। আমরা তা হাতে নেই। মোড়ক উপড়ে ফেলি। এবং দেখি,—লালরক্ত মেশানো বইয়ের মলাটে কুখ্যাত শব্দটি লেখা রয়েছে! শব্দটিকে ভুলে থাকার জন্যই তো প্রাণপণ খাটছি সবাই! এখন ডেলিভারি ম্যান বাধ্য করছে তাকে ইয়াদ করতে!