• পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    বেশরিয়ত জামানার গোলাপসুন্দরীগণ

    পাকিস্তান এখনো উর্দু ও পাঞ্জাবি সাহিত্য, তার সুফি কালামসহ বিচিত্র গানের ভাণ্ডারে ধনী, কিন্তু কোথায় জানি মুক্ত হাওয়া নিরুদ্দেশ! মরমি সংস্কৃতির আধার করাচিতে প্রতিদিন কোনো-না-কোনো মাজারে আক্রমণ হয়। শিয়া ও অন্য মতাবলম্বীদের মসজিদসহ খ্রিস্টানচার্চ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ইরানের মতোই অবরুদ্ধ খোপে বসে পাকিস্তানি মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে মিশেন। সবই আছে, তবু কী যেন নাই…! কিছু একটা মিসিং বুল্লে শাহর পাকিস্তানে। ইমরান-মিয়াদাদ, ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনূস আর শোয়েব আখতারে ঠাসা ক্রিকেটত্রাস পাকিস্তানে। গানের কোকিল নূরজাহান, গজল সম্রাট মেহদী হাসান, কাওয়ালের বাদশাহ নুসরাত ফতেহ আলী খান, রোমান্টিক মেলোডি কিং আদনান সামী থেকে আজকের প্রমিজিং আতিফ ইসলামদের পাকিস্তানে কী মিসিং, সেইটা কেবল তার খাতুনরা জানেন!

  • পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    যুগল কবিতা

    গভীর রাতে মেঘনীল আকাশের নীচে বাঁশিওয়ালা খুব চুপচাপ, যেন সুর ভাসালে বাতাসের ঘুম ভেঙে যাবে অথচ - মিলনপিপাসু বুনো মনের অসীম দুটি ডানা অর্থহীন পড়ে আছে অর্ধচরাচরে।

  • পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    মানুষ

    ভেবে দেখলে, মানুষ বয়ানবন্দি প্রাণী। সে স্বয়ং অথবা তার হয়ে অন্যরা বয়ান তৈরি করে, এর ওপর ভিত্তি করে ঠিক-বেঠিকের মীমাংসায় পৌঁছায়। মানুষ যে-কারণে ঈশ্বরতুল্য নয়। আবার ঈগল অথবা শূকরও নয়। সে হচ্ছে এমন জীব, ধরায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে সকলের ওপর তাকে নির্ভর করতে হয়, কিন্তু তার ওপর কেউ নির্ভর করে না।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    মুজিবমিথ ও না-লেখা প্রেমচুক্তি

    ওরিয়ানা ফাল্লাচির কাছে মুজিবকে মনে হইছিল ফ্যাসিস্ট। হওয়া স্বাভাবিক। উনার মানসগঠন ও সাক্ষাৎকার নেওয়ার ধরন কদাপি বিতর্কমুক্ত ছিল না। মুজিবের ব্যাপারে উনি যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তখন, যাদের সঙ্গে উনার সংযোগ ও আলাপ, এবং উনার উগ্র নারীবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিষয়ে বদ্ধমূল ধারণা... এসব বিবেচনায় নিলে মুজিব সম্পর্কে উনার পর্যবেক্ষণ তীক্ষ্ম হলেও এর কতটা সত্য আর কতটা সেকালের ক্লিবেইট এইটা নিয়া সন্দেহের অবকাশ থেকেই যাইতেছে। মুজিব ক্যান উনার সামনে আমিই বাংলাদেশ বইলা জাঁক করছিলেন সেইটা ফাল্লাচির বোঝার কথা নয়।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    মৃত্যু কি কেবলই নাম্বার?

    মানুষের চেয়ে ভয়ংকর প্রাণী পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। নিজেকে মারতে গিয়ে অন্যকে অবলীলায় সাবাড় করে। এখন এই জায়গা থেকে যদি একাত্তরকে বিচার করি তাহলে এর ভয়াবহতা আমরা বুঝতে পারব। প্রথম কথা, সাত কোটি মানুষ টানা নয় মাস অনিশ্চিত আতংকে রাতদিন পার করেছেন। আকাশ থেকে যুদ্ধবিমান বোমা ফেলছে, মাটিতে দফায়-দফায় বন্দুকবাজি চলছে, প্রাণভয়ে লুকাতে গিয়ে অনেকে মারা পড়েছে তাৎক্ষণিক। নির্যাতন কক্ষে বন্দি করে মেরেছে শত-শত। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রেল-সেতু-সড়কের কিছু অক্ষত থাকেনি। সোজা কথায় সার্বক্ষণিক যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে প্রাণের মূল্য থাকে না। প্রাণ তখন স্রেফ গাণিতিক সংখ্যায় পরিণত হয়।