গানের ভিত্রে ব্রায়ান শুরু থেকে ক্লিয়ার ছিল,- পাষাণীরে আটকানো যাবে না। এর জন্য নিজেকে দায়ী করতেছে সে। কিন্তু ওই যে চলে যাইতেছে, এইটা এখন বেচারা নিতে পারতেছে না। ভালোবাসা হয়তো এ-কারণে এতটা মর্মঘাতী! তাসনিফের উৎসর্গ এখানে ব্রায়ানস্বরে চলে যাওয়াকে মেনে নিলেও গানের প্রতিটা চরণে কাউন্টার জারি রাখে সে। কারণটা ওই অন্ধ চোখের উপমায় নিহিত। অন্ধকে যে আলো দিলো, সে যখন আলোটা ফেরত নিয়ে চলে যায় তখন নিজেকে অভিশপ্ত ভাবা ছাড়া উপায় থাকে না। তার জীবনে এরচেয়ে বড়ো প্রলয় আর নাই। তাসনিফের গায়কি এতটাই নিখাদ... ধাক্কাটা ভিত্রে গিয়া লাগে!
-
-
মানুষ জন্মদোষে গোল্ডফিশ। তার সভ্যতাযাত্রা মানে হইতেছে মহা বিস্মরণের পানে যাত্রা। বিস্মরণে সহজাত হওয়ার কারণে সে নিষ্পাপ। শত হাজার আউশভিৎস, অগণিত গণকবরকে নিমেষে বিস্মৃত হয়ে কবিতা লিখতে পারে। সকল হত্যা ও নারকীয়তা তার কাছে মমিকরা তুতেনখামেন। তুতুনেখামেনকে সে তাই আদর জানাইতে চুম্বন করে। মৃত ফারাওর মুখচুম্বনের ক্ষণে তার দেহে দ্যুতি দেখা যায়। বড়ো সুন্দর দ্যুতি! যেমন সুন্দর তার এই অনায়াস রোমন্থন,- ওল্ড ইজ অলওয়েজ গুড। এখন যেমন আছি তারচাইতে তখন ভালো ছিলাম;- এই বিস্মরণ ছাড়া তার পক্ষে মানুষ থাকা সুকঠিন।