সমাজ ও অর্থনীতির চালক হিসেবে বণিকনির্ভর সুগঠিত বুর্জোয়া শ্রেণি পাকিস্তান ও বাংলাদেশে গড়ে না উঠায় এখানকারর শ্রেণিশোষণের ছক বা এর বিরুদ্ধে লড়াই সর্বদা ঘোলাটেই থেকে গেছে। হাসিনা আমলে ব্যবসায়ীদের দাপট আমরা দেখেছি, তবে খেয়াল করা প্রয়োজন,—ব্যবসায়ী শ্রেণিটি সেখানে মার্কসকথিত পুঁজবাদী শক্তিতে নিজেকে রূপান্তরিত করতে সক্ষম ছিল না। সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে নেপথ্য চালিকাশক্তি মেনে নিয়ে তারা কেবল লুম্পেনে পরিণত করেছে নিজেকে। আর গেল তিরিশ বছরের ছকে এই অলিগার্কিকে পূর্ণতা দিতে মোল্লারা যুক্ত হয়েছেন। আলভীর অতি উন্নত রাষ্ট্রের পরিহাসকে যেটি বাংলাদেশে সত্য প্রমাণ করছে।
-
-
সারসংক্ষেপ করলে প্রশ্নগুলো এমন : মার্কসের মানি ম্যানেজমেন্ট স্কিল দুর্বল, এপিকিউরিয়ানদের মতো ছিল তাঁর জীবন, সবসময় দেনার ওপর থাকত ইত্যাদি। দুর্বল মানি ম্যানেজমেন্টের কারণে সে বুর্জোয়াদের বিরোধিতা করেছে, ওদিকে জীবনযাপন করেছে বুর্জোয়া পরিবেশে। ছোটবেলা থেকে অগোছালো জীবনে অভ্যস্ত।মদ, সিগারেট টানত, আর গোসল করত না। মার্কসের আর্থিক অবস্থা যদি খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে এতোগুলো বাচ্চা নিলো কেন? তার ওপর অনেকে আধ্যাত্মিকতা আরোপ করে থাকেন অথচ বাস্তবে সে ছিল ভোগবাদী;—আধ্যাত্মিকতার লেশমাত্র তাঁর মধ্যে ছিল না... ইত্যাদি... ইত্যাদি। এখন এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর কি হয় আসলে? এভাবে বিচার করা কতটা যুক্তিসংগত?
-
প্রথমত, ইন্টেলেকচুয়ালের পরিভাষা হিসেবে বুদ্ধিজীবী শব্দের ব্যবহার আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি কখনো। শব্দটির মধ্যে পরগাছাসুলভ ভাব বেশ তীব্র। বুদ্ধি বেঁচে জীবিকা নির্বাহে সম্পৃক্ত থাকায় শুরুতেই সংকীর্ণ একটি ভাব মনে চলে আসে। কলিম খানরা এখানে মনীষী শব্দটির ব্যাখ্যায় যে-অর্থে পৌঁছান, সেটি বরং আমার কাছে অধিক যৌক্তিক মনে হচ্ছে।